বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ১৬:৫০, ১৫ নভেম্বর ২০২১
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হারানোর এক বছর
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
ভারতের চলচ্চিত্র জগতের এক নক্ষত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি একাধারে অভিনেতা, কবি, অনুবাদক। অভিনেতা হিসেবে তিনি কিংবদন্তি হলেও, আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে সবাই তাকে ভালোবাসে।একসঙ্গে অনেককিছু নিয়েই তিনি ছিলেন অনন্য। ৮৬ বছর বয়সে গত বছর থেমে গেলেন তিনি। তাকে ঘিরে চারপাশের প্রিয় মানুষেরা শতবর্ষ জন্মদিন পালনের যে ইচ্ছেটা পুষে রেখেছিলেন, সেটা আর পূর্ণতা পায়নি।
আজ ১৫ নভেম্বর নন্দিত এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল কলকাতার সিনেমায় কারো প্রিয় সৌমিত্রবাবু, কারো প্রিয় সৌমিত্র জেঠু না থাকার।গত বছরের এইদিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। সৌমিত্রর পরিবারের আদি বাড়ি ছিল অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কাছে কয়া গ্রামে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন সৌমিত্র। বিশ্ব বিখ্যাত নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরেই বড় পর্দায় নামেন তিনি। ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায়ের পঞ্চম চলচ্চিত্র অপুর সংসারের নাম ভূমিকায় দেখা যায় সৌমিত্রকে। এর পরে সত্যজিৎ রায়ের ১৪ টি ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
সৌমিত্র সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন সত্যজিতের ফেলুদা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। ‘সোনার কেল্লা’ চলচ্চিত্রে তিনি এতটাই দুর্দান্ত অভিনয় করেন যে সিনেমা রিলিজের পর স্বয়ং পরিচালক সত্যজিত রায় পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, ‘তার চেয়ে ভাল আর কেউ অভিনয় করতে পারতেন না।’
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তার জীবনে মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মতো পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। সিনেমার পাশাপাশি নাটক, যাত্রা ও টিভি ধারাবাহিকে তার প্রচুর খ্যাতি রয়েছে।
তার উল্লেখযোগ্য কিছু ছবির মধ্যে আছে— অপুর সংসার, ক্ষুধিত পাষাণ, দেবী, স্বরলিপি, তিনকন্যা, পুনশ্চ, অতল জলের আহ্বান, অভিযান, বর্ণালী, প্রতিনিধি, চারুলতা, আকাশকুসুম, মনিহার, হঠাৎ দেখা, অজানা শপথ, অরণ্যের দিনরাত্রি, বসন্ত বিলাপ, অশনি সংকেত, দত্তা, জয় বাবা ফেলুনাথ, দেবদাস, গণদেবতা ও হীরক রাজার দেশে।
অভিনয়ের জাদুতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জয় করেছিলেন সবই। উপমহাদেশে যে কারোর চেয়ে তার প্রাপ্তির পাল্লা ভারি বটে। ফ্রাঞ্চের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘অফিসার দেস আর্টস এট মিটারস’ লাভ করেছেন তিনি। ইতালির নেপলস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ১৯৭০ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় পদক পদ্মশ্রী, ২০০৪ সালে পদ্ম ভূষণ-এ ভূষিত হন তিনি।
এছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার বিএফজেএ পুরস্কার, দুইবার ফিল্মফেয়ার পূর্ব পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার সাউথ পুরস্কারে আজীবন সম্মাননাসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এর পর দিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছু দিন পর করোনা থেকে মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু তার শরীরে বাসা বাঁধে অন্যান্য জটিলতা। যার ফলে আর ফেরা হয়নি বরেণ্য এই অভিনেতার। ১৫ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে