বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ১৬:৫৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী
উপমহাদেশের সঙ্গীত জগতে আবারও নক্ষত্রপতন। কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ৬৯ বছরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। তবে রেখে গিয়েছেন ভারতীয় সিনেমাকে দেওয়া একেবারে নতুন ধরনের সুরের ঘরানা।
ডিস্কোর পাশাপাশি বিভিন্ন অসাধারণ গানে সুর দিয়েছেন বাপ্পী লাহিড়ী। এর মধ্যে রয়েছে ‘শরাবি’, ‘চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখ না’, ‘কভি অলবিদা না কেহনা’। এছাড়াও বাংলা সিনেমা জগতের বিভিন্ন গান যেগুলি ইতিহাস তৈরি করেছে যেমন ‘অমর সঙ্গী’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘গুরুদক্ষিনা’ এই সব গানের সুরেও ছিল বাপ্পি লাহিড়ির ছোঁয়া।
সাতের দশকের শেষ থেকে আটের দশকের পুরোটা এবং তার পরেও বলিউড এবং টলিউড দুই জায়গাতেই সমানতালে চলেছে বাপ্পী লাহিড়ীর যুগ।আসুন জেনে নেওয়া নেওয়া যাক তার সম্পর্কে-
বাপ্পী লাহিড়ীর জন্ম
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ীর জন্ম ১৯৫২ সালে কলকাতায়। পুরো নাম আলোকেশ বাপ্পী লাহিড়ী। সিনেমার জগতে আসার পরে নাম নেন বাপ্পী। তবে সঙ্গীত জগতে তিনি বাপ্পী-দা নামেও সমধিক পরিচিত।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সমৃদ্ধ এক পরিবারে ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পী লাহিড়ী। তাঁর বাবা অপরেশ লাহিড়ী ছিলেন একজন বাংলা সঙ্গীতের জনপ্রিয় গায়ক। মা বাঁশরী লাহিড়ীও ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও গায়িকা, যিনি শাস্ত্রীয় ঘরানার সঙ্গীত এবং শ্যামা সঙ্গীতে বিশেষ পারঙ্গমতা দেখিয়েছিলেন। তাদের পরিবারের একমাত্র সন্তান বাপ্পী লাহিড়ী।
বাবা-মায়ের সাথে ছোট্ট বাপ্পী
তিন বছর বয়সেই তবলার তালিম
তিন বছর বয়সে ছোট্ট বাপ্পী লাহিড়ী হাতে একটা তবলা পেয়েছিল। তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল তার তবলার তালিম। বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমার এবং এস. মুখার্জী ছিলেন সম্পর্কে তার মামা। পিতা-মাতার সান্নিধ্যে থেকেই তিনি সঙ্গীতকলায় হাতে খড়ি ও প্রশিক্ষণ নেন।
বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ
বাপ্পী লাহিড়ী ১৯ বছর বয়সে ‘দাদু‘ (১৯৭২) নামক বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন। তখনই তিনি পাড়ি দেন মুম্বাই নগরীতে। শাস্ত্রীয় সংগীত এবং তবলা থেকে শুরু হয় তার যাত্রা। মুম্বাইতে গিয়েই বাপ্পী লাহিড়ী নাম লেখান বলিউডের খাতায়।
যুবক বয়সে কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী
গীত রচনা
১৯৭৩ সালে হিন্দী ভাষায় নির্মিত ‘নানহা শিকারী ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ী প্রথম গীত রচনা করেন। এরপর তাহির হুসেনের ‘জখমী’(১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এতে তিনি গীত রচনাসহ গায়কের দ্বৈত ভূমিকায় অংশ নেন। মোহাম্মদ রফি এবং কিশোর কুমারের সঙ্গেও দ্বৈত সঙ্গীতে অংশ নেন। তার পরের চলচ্চিত্র হিসেবে ‘চালতে চালতে’ছবিটির গানও দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। রবিকান্ত নাগাইচের ‘সুরক্ষা’ ছবিতে গান গেয়ে সঙ্গীতকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান।
বাপ্পী লাহিড়ী রচিত গান
বাপ্পী রচিত সঙ্গীতগুলো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম, এক বার কহো (১৯৮০); সুরক্ষা; ওয়ারদাত; আরমান; চলতে চলতে; কমাণ্ডো; ইলজাম; পিয়ারা দুশমন; ডিস্কো ড্যান্সার; ড্যান্স ড্যান্স; ফিল্ম হি ফিল্ম; সাহেব; টারজান; কসম পয়দা করনে ওয়ালে কি; ওয়ান্টেড: ডেড অর এলাইভ; গুরু; জ্যোতি; নমক হালাল; শরাবী (১৯৮৫: ফিল্মফেয়ার সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার); এইতবার; জিন্দাগী এক জুয়া; হিম্মতওয়ালা; জাস্টিস চৌধুরী; নিপ্পু রাব্বা; রোদী ইন্সপেক্টর; সিমহাসনম; গ্যাং লিডার; রৌদী অল্লাদু; ব্রহ্মা; হাম তুমহারে হ্যায় সনম এবং জখমী।
এছাড়াও তিনি মালায়ালম চলচ্চিত্র (কেরালা) দ্য গুড বয়েজ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
স্ত্রী চিত্রাণীর সাথে কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী
নেপথ্যে কণ্ঠশিল্পী
বাপ্পী লাহিড়ী নিজের লিখিত বেশ কিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে অন্যতম, রাহি হু মে (ওয়ান্টেড: ডেড অর এলাইভ); বোম্বাই সে আয়া মেরা দোস্ত (আপ কি খাতির); মৌসম হ্যায় গানে কা (সুরক্ষা); তুম জো ভি হো (সুরক্ষা); তু মুঝে জান সে ভি পিয়ার হ্যায় (ওয়াদাত); ইয়াদ আ রাহা হ্যায় (ডিস্কো ড্যান্সার); সুপার ড্যান্সার (ড্যান্স ড্যান্স); দেখা হ্যায় ম্যায়নে তুমহে ফির সে পলাতকে (ওয়ারদাত); দিল মে হে তুম (সত্যমেব জয়তে); জে লা লা (টারজান); বাম্বাই নাগারিয়া (ট্যাক্সি নং ৯২১১) ।
ডিস্কো কিং বাপ্পী লাহিড়ী
রচনা করেছেন গজলও
শুধুমাত্র ডিস্কো সঙ্গীতের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেন নি বাপ্পী লাহিড়ী। বেশ কিছু গজল গানও রচনা করেছেন তিনি। কিসি নজর কো তেরা ইন্তেজার আজ ভি হ্যায় (এইতবার); আওয়াজ দি হিয়া (এইতবার) তার মধ্যে অন্যতম।
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ীর সাথে মিঠুন চক্রবর্তী
বাপ্পী লাহিড়ী ও মিঠুন চক্রবর্তী
দুর্গাপূজাসহ যে কোনো অনুষ্ঠানে ‘আই এম এ ডিস্কো ড্যান্সার…’ গানটা এখনো বাজে। আর তার সাথে মিঠুন চক্রবর্তীর নাচের স্টেপ। আর এই কালজয়ী গানটার স্রষ্টা হলেন কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী। দুই বাঙালি কিভাবে বলিউড কাঁপাতে পারে, এই গানটা ছিল তারই নজির। ১৯৮০’র দশকে মিঠুন চক্রবর্তী এবং বাপ্পী লাহিড়ী একসাথে আরও কিছু ভারতীয় ডিস্কো চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
এছাড়াও, তিনি দক্ষিণ ভারত থেকে পরিচালিত অনেক হিন্দী চলচ্চিত্রের গানে অংশ নিয়েছেন। তাই কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতের ‘ডিস্কো কিং’।
বলিউডের ‘গোল্ডেন ম্যান’ বাপ্পী লাহিড়ী
ব্যক্তিত্বেও আলাদা বাপ্পী লাহিড়ী
গানে তো বটেই, ব্যক্তিত্বেও অন্যদের চেয়ে অনেকটা আলাদা ছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। নন্দিত এই সংগীতশিল্পী সবসময় অনেকগুলো গয়না পরে থাকতেন। গলায় মোটা স্বর্ণের চেইন, ব্রেসলেট, আংটিতে ভরে থাকতো তার অঙ্গ। এটা তার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য ছিল। এজন্য তাকে বলা হয় বলিউডের ‘গোল্ডেন ম্যান’।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগত এত গয়না পরতেন কেন বাপ্পী লাহিড়ী? এ প্রশ্নের জবাব জীবিত থাকাকালীন দিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি জানিয়েছিলেন, গহনার প্রতি ভালোবাসার প্রধান কারণ তিনি মার্কিন মিউজিশিয়ান এলভিস প্রেসলির দ্বারা অনুপ্রাণিত।
বাপ্পী লাহিড়ী বলেছিলেন, ‘মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলি সোনার হার পরতেন। আমি প্রেসলির বড় ভক্ত ছিলাম। আমি ভাবতাম, যদি কোনো দিন সফল হই, তাহলে নিজের অন্যরকম ভাবমূর্তি গড়ে তুলব। ঈশ্বরের আশীর্বাদে সোনার মাধ্যমে সেটা করতে পেরেছি। আগে লোকে ভাবত, আমি সবাইকে দেখানোর জন্যই সোনার গয়না পরি। কিন্তু সেটা ঠিক না। সোনা আমার কাছে পয়া। আমার এগিয়ে যাওয়ার সাহস।’
সঙ্গীত জগতে তিনি বাপ্পী-দা নামে সমধিক পরিচিত
সঙ্গীতজগৎ ছাড়তে চেয়েছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী
কিশোর কুমারকে মামা বলে ডাকতেন বাপ্পী লাহিড়ী। কিশোর কুমারও অত্যন্ত স্নেহ করতেন তাকে। বাপ্পীর সুরে একের পর গান গেয়েছেন কিশোর কুমার।কিন্তু এই কিশোর কুমারের জন্যই বাপ্পী লাহিড়ী ঠিক করেছিলেন সঙ্গীতজগৎ ছেড়ে দেবেন।
জানা গেছে, কিশোর কুমারের মৃত্যুর পর একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন বাপ্পী। আর তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর কোনো দিন গানে সুর দেবেন না। যদিও পরে সে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি।
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী নেমেছিলেন রাজনীতিতেও
রাজনীতিতে বাপ্পী লাহিড়ী
সঙ্গীতের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের একটা পর্যায়ে বাপ্পি লাহিড়ী রাজনীতিতে পা রাখেন। যোগ দেন বিজেপিতে। পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েন। যদিও তিনি রাজনীতিতে কখনোই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না।
গিনেস বুকে বাপ্পী লাহিড়ী
গোটা ক্যারিয়ারে ৫০০টি ছবিতে পাঁচ হাজারের বেশি গানে সুর দিয়েছেন বাপ্পী লাহিড়ী। একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গানের রেকর্ডিং করায় তার নাম ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড’।
সমাজসেবক বাপ্পী লাহিড়ী
গায়ক, সুরকারের পাশাপাশি সমাজসেবকও ছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জাস্টিস ফর উডোসে তার অবদানের জন্য বাপ্পী লাহিড়ীকে ‘হাউজ অব দ্যা লর্ড’ সম্মানও দেওয়া হয়েছিল।
পরিবারের সাথে কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী
পরিবার
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। সংসারে তার স্ত্রী-চিত্রাণী, কন্যা-রিমা এবং পুত্র-বাপ্পা রয়েছে।
ডিস্কো কিংয়ের বিদায়
১৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শেষ মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন তিনি। আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভারতীয় সিনেমাকে তিনি দিয়েছেন নতুন ধরনের সুরের ঘরানা
যে রোগে বাপ্পী লাহিড়ীর মৃত্যু
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ড. দীপক নামজোসি জানিয়েছেন, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মারা গেছেন বাপ্পী লাহিড়ী।
এই রোগে ঘুমানোর সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায়। অর্থাৎ শ্বাস কখনো শুরু হয়, কখনো আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তবে সবচেয়ে বেশি যা দেখা যায়, তা হলো অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া।
এই রোগে আক্রান্তের গলার পেশি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শিথিল হয়ে যায়। এই পেশি মুখগহ্বরের টাকরা, আল জিভ, জিহ্বা ও টনসিলের মতো অংশগুলোকে ধরে রাখে। ফলে এই পেশির শিথিলতায় শ্বাস নেওয়ার পথটি রুদ্ধ হয়ে আসে ও ঘুমের সময় আচমকা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।
এই রোগের একটি লক্ষণীয় উপসর্গ হলো সশব্দে নাক ডাকা। এছাড়াও ঘুমের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে আসা, আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়া ও মুখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায় এই রোগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ সেকেন্ডের বেশি এমন অবস্থা থাকলে দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশ কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত ওজন, বার্ধক্য উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসনালীর সমস্যা এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ীর মৃত্যুতে স্তব্ধ গোটা উপমহাদেশ
বাপ্পী লাহিড়ীর মৃত্যুতে মুহ্যমান তারকারা
কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ীর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকে মুহ্যমান তারকারা। কেউ ছুটেছেন মুম্বাইতে শিল্পীর বাড়িতে, কেউ শোক প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সকালবেলা এই খবর পেয়ে আমি স্তম্ভিত। বাপ্পীদা চলে যাবেন, আমি সত্যি ভাবতে পারিনি। প্রসেনজিৎ-বাপ্পী লাহিড়ী জুটি অদ্ভুতভাবে কাজ করেছিল। 'অমর সঙ্গী' থেকে শুরু করে আমার অনেক ছবিতে বাপ্পীদা গান গেয়েছেন। তার বাইরেও আমার হিন্দিতে যে ক'টা ছবি, তার সবকটিতেই বাপ্পীদার সুর ছিল। বাংলাতেও আমাদের জুটির প্রতিটি গান হিট। ’
বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগণ লিখেছেন, ‘চলতে চলতে’, ‘সুরক্ষা’, ‘ডিস্কো ডান্সার’ দিয়ে বাপ্পীদা হিন্দি সিনেমায় সমসাময়িক ধারার সংগীতকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আমরা তাঁকে মিস করব।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান লিখেছেন, তাঁর গানে আনন্দ উৎসব, তাঁর গানে জীবনের উদযাপন..তাঁর সুরে অমলিন থেকে যাবে চিরসবুজ হৃদয়ের অভিযান। বিদায় বাপ্পী লাহিড়ী..সংগীতে, সুরে, অমর হয়ে আমাদের মনে থেকে যাবেন আপনি।
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে