বিনোদন ডেস্ক
‘আর্মি’দের মন খারাপ, ভেঙে গেলো বিটিএস
বেশিদিন আগের কথা নয়, বিটিএস আর্মিরা মেতে ছিলো তাঁদের প্রিয় কে-পপ দল বিটিএসের নবম বছরের সেলিব্রেশনে। কিন্তু তার মধ্যেই শোনা গেলো নতুন খবর, ভেঙে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল বিটিএস।
১৩ জুন ছিলো বিটিএস-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ঠিক নয় বছর আগে যাত্রা শুরু ব্যান্ডটি নয় বছর পরে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন কোটি ভক্তের মনে। ভক্তদের এই ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০ জুন মুক্তি পেয়েছে ব্যান্ডটির নতুন অ্যালবাম 'প্রুফ'।
নতুন গান প্রকাশের পর তিন দিনের মধ্যেই ইউটিউবে গানটির ভিউ ৭৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে রেকর্ড তিন মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এরইমাঝে গুঞ্জন উঠেছে একসাথে আর মঞ্চে দেখা যাবে না বিটিএসের সাত সদস্যকে। ভক্তদের মনে প্রশ্ন বিটিএস কি তবে ভেঙে যাবে?
হ্যাঁ, বিটিএস ভেঙে গেছে। আর কখনোই এক মঞ্চে দেখা যাবে না আরএম, হোপ, জিমিনদের।
কোরিয়ান মিউজিকের দুনিয়ায় বিটিএস অনন্য। শুধু কোরিয়া নয়, বিশ্ব মিউজিকে তারা ভিন্ন নজির গড়েতে সক্ষম হয়েছে। তাদের গ্লোবাল ফ্যান ফলোয়িং কিংবা মিউজিকের সঙ্গে তুলনা হয় না কারোরই। এদিকে গতকাল (১৫ জুন) সন্ধ্যাবেলা ফিসটা ডিনারের সময়ই তারা চমকে দিলেন সবাইকে। এরপর থেকেই চোখের জল বিসর্জন দিচ্ছেন আর্মিরা।
জানানো হয়, তারা একেবারের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন না বরং নিজেদের সোলো মিউজিকের প্রতি আরও বেশি করে মনোযোগ দেবেন। কিছুদিন মঞ্চে একসঙ্গে পারফর্ম করবেন না। আর নিজেদের এত বছরের জার্নি ব্যাখ্যা করতে গিয়েই চোখের জল ফেললেন লিডার আরএম। তার বক্তব্য, ‘‘ডায়নামাইট’ রিলিজের পর থেকেই কেমন যেন সবকিছু আলগা হতে শুরু করলো। গ্রুপের ছন্দ এখন অনেকটা আলাদা।’’
আর্মিদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘কখনোই ভাববেন না যে বিটিএস নেই! আমরা সবসময় বিটিএস আছি আর থাকবো। আমরা মনে প্রাণে এক থাকতে চাই। প্রতিবার যখন গান লিখতাম বা সুর করতাম তখন মনে হতো ভালো একটা মেসেজ দিতে হবে। সেটাই চেষ্টা করতাম, তবে ‘পারমিশন টু ড্যান্স’ রিলিজের পরেই যেন সবকিছু বদলে গেল। গানের মাধ্যমে একটা স্পেশাল মেসেজের বিষয়টা এখন হারিয়ে গেছে। আমরা আমাদের দিক হারিয়েছি, ফিরতে একটু সময় লাগবে! তবে কথা দিচ্ছি ফিরবো।’’
বিটিএসের আরেক সদস্য জে-হোপ বলেন, ‘আমাদের এখন আলাদাভাবে সময় কাটাতে হবে। শিখতে হবে কীভাবে আবার একত্র হওয়া যায়। আশা করি, আপনারা এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখবেন না।
বিটিএস অফিসিয়াল সূত্রে খবর, তারা নতুন চ্যাপ্টার নিয়ে মন জয় করতে চান সবার। স্টেজে একসঙ্গে তারা খুব শিগগিরই ফিরবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল বিটিএস
কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএস, বিশ্বজোড়া যাদের তুমুল খ্যাতি। দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আরএম, জিন, সুগা, ভি, জে-হোপ, জি-মিন ও জাংকুক। তরুণ গায়কদের এই দল গানের সঙ্গে আকর্ষণীয় নাচের সমন্বয় ঘটিয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে এই ব্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক। সেই সুবাদেই একের পর এক বিশ্বরেকর্ড গড়ে যাচ্ছে দলটি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বিটিএস ২৩টি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে। যা বিরল অর্জন। আর সেজন্যই হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে দলটি। ২০২২ সালেই হল অব ফেমে যুক্ত হয়েছে বিটিএসের নাম।
এক বিবৃতিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিখেছে, ‘বিটিএস সংগীত ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ২৩টি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছে। বিস্ময়কর এ নজির স্থাপনের জন্য দলটির ভক্তদের ধন্যবাদ।’
২০১০ সালে বিটিএস ব্যান্ডটি গঠিত হয়। তবে তারা প্রকাশ্যে আসে ২০১৩ সালে। বিটিএসের আরও কিছু অনন্য রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে, ইউটিউবে গান প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ভিউ, ২৪ ঘণ্টায় স্পোটিফাইয়ে সবচেয়ে বেশিবার শোনা গান, কে-প দলগুলোর মধ্যে ইউটিউবে সর্বোচ্চ ভিউ, সবচেয়ে কম সময়ে টিকটকে এক মিলিয়ন অনুসারী, লাইভ কনসার্টে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫৬ হাজার টিকিট বিক্রি ইত্যাদি।
স্পোটিফাইয়ে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএস। প্রায় ৫ কোটি অনুসারী নিয়ে ইনস্টাগ্রামে গানের দল হিসেবে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে তারা। টুইটারেও ব্যান্ডটি রয়েছে শীর্ষে। এছাড়া টিকটকেও বিটিএসের ফলোয়ার ছাড়িয়েছে ৪ কোটি। এমন বহু রেকর্ডের দখল এখন কোরিয়ান তরুণদের কাছে।
বিটিএস কী?
বিটিএস একটা কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বি ডি এস-এর পুরো নাম। বিটিএস বাংটন বয়জ (bangtan boys), বাংটন সোনিয়ন্দন (bangtan sonyandan), বিয়ন্ড দ্যা সিন (Beyond the seen) এবং বুলেটপ্রুফ বয় স্কাউট (bulletproof boys scout) নামে পরিচিত।
বিটিএস-এর সদস্য সংখ্যা সাতজন। এর সমর্থকদের আর্মি বলা হয়। তাদের যুক্তি যে বিটিএসরা অনেক কালারফুল ও তাদের যান্ত্রিক সুরকে তারা পছন্দ করেন। এবং সমালোচকদের বিটিএস হেটার্স বলা হয়। বাংলাদেশের বিটিএস হেটার্সদের মতামত, তারা আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় না, তারা ছেলে হয়ে কেন মেয়েদের পোশাক পরবে। বাংলাদেশও এদের প্রচুর ফ্যান রয়েছেন। 2010 সাল থেকে এদের যাত্রা শুরু। এরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ব্যান্ড। বিটিএসের সাত সদস্যের নাম :
১. জিম (jim)
২.সুগা (suga)
৩. জে হোপ (j hope)
৪. আরএম (R M)
৫.জিমিন (jimin)
৬. ভি (V)
৭.জাংকুক (jangkook)
ফেরার আশাও দিয়েছে বিটিএস
দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসিসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভক্তদের মন খারাপ করা খবর দিয়েছে ব্যান্ডটি। প্রতিষ্ঠার নয় বছর পর দলগত বিরতির ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা। মূলত ব্যান্ডের সদস্যদের একক ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে ‘আরও শক্তিশালী দল’ হয়ে ফেরার কথাও বলেছে বিটিএস।
আইনিউজ/এসডি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে