Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২৪ মে ২০২৩

যে কারণে ভেঙে গেছে নাস ডেইলি ও ডিয়ার এলিনের ছয় বছরের সম্পর্ক! 

‘এই ছিল এক মিনিট, আবার কাল দেখা হবে!’ এক মিনিট সিরিজের ভিডিও দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া নাস ডেইলির একটিও ভিডিও দেখেননি, এমন মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমই আছেন।

সারাক্ষণ হাসতে থাকা জনপ্রিয় ইউটিউবার নাস ওরফে নুসের ইয়াসিরকে প্রায় সময়ই বিভিন্ন ভিডিওতে তাঁর প্রেমিকা এলিনের সঙ্গে দেখা যেত। আর মনে হয় দেখা যাবে না। কারণ, ছয় বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন তাঁরা। গতকাল নিজেদের ফেসবুক ও ইউটিউবে একটি সংযুক্ত ভিডিও প্রকাশ করে খবরটি সামনে আনেন তাঁরা।

‘এলিন এবং আমি একটি ঘোষণা দিতে চাই। আমাদের ছয় বছরের সম্পর্ক শেষ হতে চলেছে। আমরা আলাদা হয়ে যাচ্ছি। পেছনের কারণগুলো দুঃখজনক; কিন্তু আমরা শুরু থেকে সব বলতে চাই,’ ভিডিওর শুরুতেই বলেন নাস ও এলিন। পরে সাড়ে ১২ মিনিটের ভিডিওতে নিজেদের সম্পর্কের পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
 ২০১৬ সালের জুনে নাস–এলিন সম্পর্কের শুরু। ইউটিউব জগতে তখন একেবারেই নতুন নাস। অন্যদিকে সদ্য বিবাহ বিচ্ছেদের পর পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এলিন। ইউটিউবে নাসের ভিডিও দেখে এলিনই প্রথমবার মেসেজ করেন নাসকে। অনলাইনে প্রথম দিন কথার পর দুজনেরই দুজনকে ভালো লেগে যায়।

‘এলিনের প্রথম মেসেজেই আমি প্রেমে পড়ে যাই। তার কথা বলার ধরন, হাস্যরসবোধ, ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি—সব কিছুই ভালোবেসে ফেলি। এবং আমি এখনো তোমার এসব কিছুকে ভালোবাসি,’ এলিনের দিকে তাকিয়ে বলেন নাস। ‘আমিও তোমার অনেক কিছু এখনো ভালোবাসি,’ উত্তর দেন এলিন। তিনি বলেন, ‘নাসের লক্ষ্য, বুদ্ধিমত্তা, উদারতা, চেতনাবোধ, এত এত মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা, সবই ভালোবাসি।’
সম্পর্কের পুরো সময় তাঁরা সব কিছুই করেছেন একসাথে। ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবী, করেছেন টাকা উপার্জন, দেখা করেছেন অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে, এমনকি নকল বিয়ে পর্যন্ত। ‘তবে খুব ভালো কিছুরও শেষ আছে। আমি এলিনকে সময় দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কোম্পানি সামলাতে ও ভিডিও বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ধরেই নিয়েছিলাম, সম্পর্ক ঠিকই আছে; কিন্তু আসলে তা ছিল না,’ বলেন নাস।

ভিডিওতে দেখা যায়, মুখোমুখি বসে সম্পর্ক ভাঙার কারণগুলো আলোচনা করছেন তাঁরা। দুজনেই দাবি করেন যে কেউ কারও চাহিদা পূরণ করতে পারছিলেন না। এলিন বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে আমার প্রতি তোমার মনোযোগের অভাব লক্ষ্য করছিলাম। কেমন যেন নিজের দুনিয়াতে চলে যাচ্ছিলে তুমি। নিজেকে তোমার মতো করে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু অবশেষে বুঝতে পারছিলাম যে আমিও নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চাই।’  

‘সব সময় আমি সেটাতেই বিনিয়োগ করতে চাই যা ভবিষ্যতে সাফল্য বয়ে আনবে। সম্পর্কের চার-পাঁচ বছর পর মনে মনে হয়তো বুঝে গিয়েছিলাম যে আমাদের সম্পর্কের আসলে কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কারণ, খুব সাধারণ বিষয়গুলোতেও আমরা একমত হতে পারছিলাম না,’ বলেন নাস।

‘আমি অনুভব করেছিলাম যে তোমার কাছে কখনোই আমি তোমার কোম্পানির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারব না।  তবুও আমি ছয় বছর অপেক্ষা করেছি। কিন্তু আর না। জীবন একটাই। তাই আমি এখন নিজেকে গুরুত্ব দিতে চাই,’ বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এলিন।
‘অবশ্যই তোমার তা–ই করা উচিত,’ বলেন নাস।

নাস ও এলিন দুজনই আলাদা, তাঁদের জীবনের লক্ষ্যগুলোও আলাদা। দুজনই চান আলাদা জীবন। ছয় বছরে তাঁদের জীবনের পথও আলাদা হয়ে গিয়েছে। তাই গত ৯ এপ্রিল সম্পর্ক ছেদ করেন তাঁরা। শুধু ভালো মুহূর্তগুলোকে মনে রাখতে এবং একে অপরকে শেষবিদায় জানাতে একসঙ্গে একটি শেষ ছবি তোলেন।

ভিডিওটির শেষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ দেন নাস ও এলিন। একসঙ্গে গেয়ে ওঠেন, ‘কে সেরা সেরা (যা হওয়ার তা–ই হবে)।’

আইনিউজ/ইউএ

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়