মো. রওশান উজ্জামান রনি
JAWAN- মুভি বাংলা এক্সপ্লেন
JAWAN- মুভি বাংলা এক্সপ্লেন । ছবি অনলাইন
জাওয়ান সিনেমায় নিজেকে ভিন্নভাবে তুলে ধরেছে শাহরুখ খান। চোখ কপালে তোলা টুইস্ট! মারাদাঙ্গা অ্যাকশন! যা আছে ৩০০ কোটি রুপি বাজেটের জওয়ান সিনেমার গল্পে তাই জানাতে JAWAN- মুভি বাংলা এক্সপ্লেনে তুলে ধরবো।
আই নিউজের আজকের সিনেমার গল্পে আপনাদের সাথে শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার সুপার হিট জাওয়ান মুভির কাহিনী শেয়ার করতে চলেছি। তো চলুন আর দেরি না করে জাওয়ান মুভিতে যাওয়া যাক।
JAWAN- জাওয়ান মুভির কাহিনী শুরু হয় একটা আইল্যান্ডকে দেখিয়ে। যেখানে এক সিবিআই অফিসার যার নাম রাজ ঠাকুর। রাজ ঠাকুরের রোল জাওয়ান মুভিতে শাহরুখ খান নিয়েছে। রাজ ঠাকুর সিবিআই টিম নিয়ে আইল্যান্ডে কাউকে ধরার জন্য সিক্রেট অপারেশনে যায়। আইল্যান্ডের চারপাশে আগে থেকেই বোমা আর ল্যান্ডমাইন্ড পাতা ছিল। যখন রাজ ঠাকুর আর তার সিবিআই টিম আইল্যান্ডে পৌঁছায় তখন বোমাগুলো বিস্ফোরণ হয়। আর রাজ ঠাকুর আর তার সিবিআই টিম ওখানেই মারা যায়। ইন্ডিয়ান নিউজ মিডিয়াতে খবর ছড়িয়ে পড়ে। আইল্যান্ডের সিক্রেট অপারেশন করতে গিয়ে রাজ ঠাকুর আর তার টিম সেখানেই মারা গেছে।
এবার জাওয়ান মুভির কাহিনী একটু পেছনে আসি। যেখানে তিন মাস আগের ঘটনা দেখানো হয়। ওই আইল্যান্ডে একজন লোক রয়েছে যার অর্ধেক চেহারা জ্বলে গেছে। লোকটা তার চেহারায় পট্টি বাঁধতে ছিল। হতে পারে লোকটার সাথে ভয়ঙ্কর কিছু হয়েছে। যে কারণে তার অর্ধেক চেহারা জ্বলে গেছে। লোকটা বড় একটা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। লোকটাকে দেখে অনেকটা রাজ ঠাকুরের মতই মনে হচ্ছিল। কিন্তু রাজ ঠাকুর এখানে কি করছে। সে তো তার সিবিআই টিমের সাথে কোন একটা সিক্রেট অপারেশনে আছে। তাহলে আইল্যান্ডের রাজ ঠাকুরের মতো দেখতে এই লোকটা কে। লোকটার ব্যাপারে আমরা সামনে গিয়ে জানতে পারবো। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা করি আপনারা জাওয়ান মুভি ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
জাওয়ান মুভি তে এবার দেখানো হয় রাজ ঠাকুর তার সিবিআই টিমকে নিয়ে একটা সিক্রেট মিশনে রয়েছে। রাজ ঠাকুরের সাথে যে সিবিআই টিম রয়েছে তারা আসলে সিবিআই টিম ছিল না। রাজ ঠাকুর তার পার্সোনাল কাজের জন্য একটা সিবিআই টিম নিজে গঠন করেছে। এবার ক্যামেরায় একজন ড্রাক ডিলার গ্যাংস্টার শঙ্করকে দেখায়। শঙ্করের রোল মুভিতে বিজয় সেতুপতি নিয়েছে। রাজ ঠাকুর শঙ্করের থেকে বদলা নেওয়ার জন্য মুম্বাই আসে। রাজ ঠাকুর তার টিমের কাছ থেকে খবর পায় শঙ্কর তার ফ্যামিলি নিয়ে শপিংমলে আসবে। রাজ ঠাকুর প্লান বানায় রাস্তার মধ্যেই শঙ্করের উপর অ্যাটাক করবে। পরের দিন শঙ্কর তার ফ্যামিলি নিয়ে শপিংমলে যাওয়ার জন্য বের হয়। রাজ ঠাকুর রাস্তার মধ্যে শঙ্করের উপর হামলা করে। এরপর রাজ ঠাকুর জানতে পারে যে গাড়ির ভেতরে শঙ্কর নেই কিন্তু তার স্ত্রী অনু রয়েছে। অনু রোল জাওয়ান মুভিতে সোনিয়া মালহোত্রা নিয়েছে। পুলিশ চার দিক থেকে রাজ ঠাকুরকে ঘিরে ফেলে। রাজ ঠাকুর শঙ্করের স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে পড়ে। রাজ ঠাকুর শঙ্করকে গাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু পুলিশ কোনো ভাবেই পিছু ছাড়ছিল না। রাজ ঠাকুর কোন রকম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে শঙ্করের স্ত্রী অনুকে নিয়ে চলে আসে আইল্যান্ডে। রাজ ঠাকুরের চেহারায় পট্টি বাধা ছিল। তারপরেও একটা পুলিশ অফিসার রাজ ঠাকুরকে চিনে ফেলে।
কিন্তু রাজ ঠাকুর আর তার টিম তো আইল্যান্ডে বোমা বিস্ফোরণ হয়ে মারা গেছে। তাহলে এই রাজ ঠাকুর কে? পুলিশ কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না। শঙ্কর তার স্ত্রী কিডন্যাপ হওয়া নিয়ে অনেক টেনশনে রয়েছে। শংকর ভাবতে থাকে তার নতুন দুশমন কে যে তাকে মারতে চায়। পুলিশের রাজ ঠাকুরের উপর সন্দেহ হয়। এই জন্য রাজ ঠাকুরের স্ত্রী সপ্নার কাছে জিজ্ঞেস করে এই লোকটাকে চেনে কিনা। সপ্নার রোল জাওয়ান মুভি তে নয়নতারা নিয়েছে। সপ্না দেখেই চিনে ফেলে যে এ ই রাজ ঠাকুর। কিন্তু সে পুলিশকে মিথ্যা বলে। অর্ধেক চেহারা ঢেকে রাখার জন্য সে তাকে চিনতে পারছে না। এবার আমরা জানতে পারি যে শঙ্করের স্ত্রীকে কিডন্যাপ করেছে সে রাজ ঠাকুর নয়। রাজ ঠাকুর তো আইল্যান্ডে বোমা বিস্ফোরণে সেদিনই মারা গেছে। আর যে শঙ্করকে মারতে চাই সে রাজ ঠাকুরের ভাই রাজা। আমরা এটা জানতে পারি শাহরুখ খান জাওয়ান মুভি তে মুভিতে ডাবল রোল করছে।
এবার জাওয়ান মুভি র কাহিনী প্লাসবেঁকে যায়। অন্ধপ্রদেশের একটা ছোট্ট গ্রামে রাজা আর রাজ তার পিতা মাতার কাছে থাকতো। দুই ভাই অনেক বুদ্ধিমান আর বিচক্ষণ ছিল। তারা দুই ভাই সব সময় মিলেমিশে থাকতো। এবার তারা বড় হয়ে গেছে। রাজা আর রাজ আর্মিতে ভর্তি হয়। তাদের ট্রেনিং শেষ হয়ে গেছিল। আজকালকার ভিতর চাকরিতে জয়েন দেবে এমন সময় রাজা খবর পায়। মাফিয়া ডন সংকর বর্ডার এর কাছে একটা ড্রাগের ডিল করতে চলেছে। রাজা তার সিনিয়রদেরকে না জানিয়ে শঙ্করকে ধরার জন্য চলে যায়। রাজা একে একে শঙ্করের সব লোকেদের মারতে থাকে। শঙ্কর তার মালগুলো যেন আর্মিদের হাতে না লাগে এই জন্য সে তার মালগুলো লুকিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রাজা শঙ্করকে মালগুলো লুকাতে দেখে ফেলে এবং মালগুলোকে সে আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। এবার রাজা তার আর্মি ক্যাম্পে ফিরে আসে এবং আর্মি অফিসারদের এই ঘটনার ব্যাপারে খুলে বলে। তখন আর্মি অফিসার রাজার উপরে অনেক রেগে যায়। কারণ রাজা আর্মিদের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। সে তার সিনিয়রদেরকে না জানিয়ে এসব কাজ করেছে। এই জন্য আর্মি অফিসার রাজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়। কিন্তু রাজার ভাই রাজ সে আর্মির অফিসার হয়ে গেছিল। এবার রাজা তার পিতা মাতার কাছে বাড়িতে চলে আসে।
শঙ্কর জেনে গেছিল যে তার ড্রাগে আগুন লাগিয়েছে রাজা। এই কারণে সে রাজা কে মারার জন্য রাজার বাড়িতে চলে আসে। আর রাতের বেলা রাজার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুন জলে রাজার পিতা-মাতা তো মারা যায় কিন্তু রাজা কোনরকম ভাবে বেঁচে যায়। রাজার ভাই রাজ মনে করে তার পিতা মাতার তার ভাই বাড়িতে আগুন লাগার কারণে এক্সিডেন্টলি মারা গেছে। কিন্তু কয়েক বছর পর রাজ জানতে পারে যে, তার ভাই রাজা এখনো বেঁচে আছে। রাজ এটাও জানতে পারে যে তার পিতা মাতাকে মাফিয়া ডন শঙ্কর আগুনে জ্বালিয়ে মেরেছে। যে কারণে রাজা শঙ্করকে মেরে তার পিতামাতার মৃত্যুর বদলা নিতে চায়। রাজ এসব কথা তার স্ত্রী কেউ বলে। এতদিনে রাজ বিয়েও করে ফেলেছে।
এবার জাওয়ান মুভির কাহিনী প্লাস ব্যাক থেকে বাইরে আসে। শঙ্কর জেনে গেছে যে কয়েক বছর আগে রাজা কে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিল সে এখনো বেঁচে আছে। আর সে তার স্ত্রীকে কিডন্যাপ করে আইল্যান্ডে লুকিয়ে রেখেছে। এবার শঙ্কর তার সব লোকেদের হাতিয়ার দিয়ে আইল্যান্ডে চলে আসে। রাজা শঙ্করকে মারার জন্য আইল্যান্ডের চারপাশে আগে থেকে বোমা আর ল্যান্ডমাইন্ড পুতে রেখেছে। কিন্তু শঙ্কর আসার আগেই রাজার ভাই রাজ ঠাকুর তার সিবিআই টিমকে নিয়ে আইল্যান্ডে পৌঁছায়। রাজ ঠাকুর তার ভাইকে কোন প্রকার ক্রাইম করতে দিতে চাচ্ছিল না। সে চাচ্ছিল শঙ্করকে আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া হোক। যখন রাজ ঠাকুর তার সিবিআই টিম নিয়ে আইল্যান্ডে প্রবেশ করে তখন রাজার পুতে রাখা বোমা আর ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়ে রাজ ঠাকুর আর তার টিম ওখানে মারা যায়। তার কিছুক্ষণ পর শঙ্কর আইল্যান্ডে তার লোকজন নিয়ে চলে আসে। বাইরে রাজ ঠাকুরের লাশ দেখে শঙ্কর মনে করে রাজা মারা গেছে। এই জন্য সে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য ঘরের ভিতরে যায়। ঘরে ঢুকে শঙ্কর রাজা কে দেখে। শঙ্কর জানতো না যে রাজারা দুই জমজ ভাই। শঙ্কর ভিতরে রাজাকে দেখে বুঝে যায় যে এরা দুজন জমজ ভাই। পুলিশের কাছে খবর চলে আসে যে রাজা আর শংকর আইল্যান্ডে রয়েছে। পুলিশ তাদের দুজনকে ধরার জন্য আইল্যান্ডে চলে আসে। রাজা এক এক করে শঙ্করের সব লোকেদের মেরে দেয়। এরপর যখন রাজা শঙ্করকে মারতে যাবে তখনই বাইরে থেকে একটা পুলিশ অফিসার মাইকে বলতে থাকে রাজা আর শঙ্কর আমি জানি তোমরা দুজন এখানেই আছো। যদি বাঁচতে চাও তাহলে আমাদের কাছে সারেন্ডার করো। না হলে আমরা বাইরে থেকে ফায়ার করা শুরু করব। পুলিশ আশা দেখে রাজা শঙ্করকে গুলি করে মেরে দেয়। আর সে একা বাইরে যেয়ে পুলিশের কাছে সারেন্ডার করে। এবার রাজাকে কোর্টে পেশ করা হয়। রাজার ১০ বছরের সাজা হয় আর জাওয়ান মুভি র কাহিনী এখানেই শেষ হয়।
আই নিউজ/আর
আরও পড়ুন
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে