মো. রওশান উজ্জামান রনি
শাকিব খান
বাংলা চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়ক শাকিব খান
শাকিব খান
বাংলা চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। বাংলাদেশের বর্তমান সিনেমার প্রেক্ষাপটে যিনি সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেতা। যার নামের আগে কিংখান এবং সুপারস্টার কথাটি এসে যায় এবং বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায় পনেরো বছর ধরে যিনি একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন শাকিব খান। সাকিব খান এখন পর্যন্ত একশো একাত্তরটির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
শাকিব খান ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদীতে মাসুদ রানা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। খানের আদি নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। তার বাবা আব্দুর রব ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী এবং মাতা নূরজাহান একজন গৃহিণী। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই।
শাকিব খান, যাঁর আসল নাম মাসুদ রানা। তিনি অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁকে বিবেচনা করা হয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম সফল অভিনেতা হিসেবে। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে। তবে, তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সবাইতো সুখী হতে চায়। শাকিব খান ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের শীর্ষ নায়ক।
শাকিব খান যখন প্রথম সিনেমায় আসেন উনিশশো নিরানব্বই সালে তখন তিনি অনেক সিনেমাতেই কাজ করেছেন বিনা পারিশ্রমিকে। তবে সেই বছরের শেষের দিকেই শাকিব ত্রিশ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে সিনেমায় অভিনয় করেন। দুই হাজার সাল থেকে তার পারিশ্রমিক সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। তার তারকা খ্যাতি বাড়ার সাথে সাথে তার পারিশ্রমিক চল্লিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চলে যায়। এভাবেই তিনি বর্তমানে সিনেমার প্রতি ৬০ লক্ষ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। শাকিব খান বিজ্ঞাপনেও নিয়মিত কাজ করেন। বিজ্ঞাপনের কাজ করার জন্য তিনি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন স্টেজ শো এবং টেলিভিশনের শো এর জন্য শাকিব খান দুই লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। তিনি বছরে প্রায় বিশ লক্ষ থেকে শুরু করে চল্লিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে আসছেন বিভিন্ন stage শো, Tok শো এবং সিনেমার প্রচারণার থেকে।
শাকিব খানের একটি প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে যার নাম হলো SK films। এখান থেকে তিনি বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা আয় করেন সাকিব খান। শুধুই যে একজন অভিনেতা তাই নয় তিনি একই সাথে একজন প্রযোজকও। তিনি তার এসকে ফিল্মসের ব্যানারে এখন পর্যন্ত তিনটি সিনেমা রিলিজ করেছেন। যার সব কয়টিই ছিল ব্যবসা সফল। তার প্রযোজিত সিনেমা পাসওয়ার্ড বিদেশেও মুক্তি পেয়েছে। সেখান থেকেও বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দুই কোটি টাকা আয় করেছে তার এই সিনেমাটি। শাকিব খান বছরে দেড় কোটি টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চোদ্দ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন।
শাকিব খানের কালেকশনে বেশ আকর্ষণীয় মডেলের গাড়ি রয়েছে। তিনি দুই হাজার চোদ্দ সাল থেকে প্রতিটা ঈদের সময়ই নতুন গাড়ি কিনে আসছেন। শাকিব খান ক্রাউন ব্র্যান্ডের একটি ক্লাসিক মডেলের গাড়ি অনেকদিন ধরেই ব্যবহার করছেন। দুই হাজার ষোলো সালে কিনেছেন সাদা রঙের প্রাডও। ২০১৭ সালের ঈদুল আজহার সময় কিনেছেন টয়টো মডেলের সাদা রঙের গাড়ি। ২০১৮ সালে কিনেছেন মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের একটি নতুন মডেলের গাড়ি। তার কালেকশনে বর্তমানে পাঁচটি গাড়ি রয়েছে। যেই পাঁচটি গাড়ির মূল্য প্রায় তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। গাড়ির কালেকশনের দিক দিয়েও শাকিব খানের ধারের কাছে কোন বাংলাদেশী সেলিব্রেটি নেই। শাকিব খান তার বাৎসরিক আয়ের দশ শতাংশ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় করেন এবং তার মা বাবা দুজনেই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কাজ করেছেন। বর্তমানে শাকিব খানের স্থাবর অস্থাবর সব মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ চারশো সত্তর কোটি টাকা। এটা শুনে হয়তো অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাওয়ার কথা। তবে হ্যাঁ, এটাই সত্যি। শাকিব খানকে আপনাদের কাছে কেমন লাগে? আপনারা কি সাকিব খান অভিনীত কোন সিনেমা দেখেছেন? দেখে থাকলে কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না।
আই নিউজ/আর
আরও পড়ুন
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে