মো. রওশান উজ্জামান রনি
আপডেট: ২১:৪৭, ৪ অক্টোবর ২০২৩
সাকিব আল হাসান
বিশ্ব সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান । ছবি অনলাইন
সাকিব আল হাসান নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্রিকেট বিশ্বে আরেকজন সাকিবের আগমন কত শত বছর পর্যায় ঘটবে তা বলাই বাহুল্য। গত দশ বছরের দিকে তাকালে দেখা যায় ক্রিকেট বিশ্বে একজন সাকিবের মতো প্রতিভা নিয়ে আগমন ঘটেছিল পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ, ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা, শ্রীলংকার অ্যাঞ্জেলো মাথিউস, অস্ট্রেলিয়ার জেমস পপনার, আফ্রিকার বার্ন ফ্রিল্যান্ডের, ইংল্যান্ডের মোইন আলী, নিউজিল্যান্ডের করিয়ান্ডারসনের মতো বড় বড় কত অলরাউন্ডার।
এদের মাঝে কেউ কেউ একদম হারিয়ে গেছেন, আবার কেউ কেউ রয়ে গেলেও তাদের শুরুর সেই অল রাউন্ডিং তেজ আর কখনোই ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু একজন সাকিব আল হাসান আজও রয়ে গেছেন সেই সাকিব আল হাসান হয়েই। সে সকল ক্রিকেটারদের বিপরীতে একজন সাকিব আল হাসান গত সতেরো বছরে নিজেকে হারানোর বিপরীতে নিয়ে যাচ্ছেন উচ্চ থেকে উচ্চতর স্থানে। সেই সাকিব আল হাসানই আবারও এ দেশের ষোলো কোটির মাঝে চোদ্দ কোটি মানুষেরই চোখের বিষ। সাকিব আল হাসান খেলা পারে না, লোভি, টাকার জন্য খেলে, অহংকারী, বউ পাগল, বেয়াদব আরো কত কি। সাকিব আল হাসান একমাত্র বাংলাদেশি মানুষ হিসাবে বাংলাদেশকে বিশ্বসেরার খেতাব এনে দেওয়া এই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে মানুষের যে কেন এত চুলকানি সত্যি সেটার কোনো উত্তর নেই।
সাকিব আল হাসান কি সত্যিই এতটা বাজে আচরণ অনুভব করেন? নাকি তার প্রতি এদেশের মানুষের এসবই অন্যায় অবিচার আর এই সকল তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।
সাকিব আল হাসান ছোটবেলা থেকে ফয়সাল নামে পরিচিত ছেলেটি মাগুরের এক ব্যাঙ্ক কর্মকর্তার ছেলে হিসেবে ১৯৮৭ সালের চব্বিশে মার্চ জন্মগ্রহণ করেছেন। জন্মের আগে থেকেই তার রক্তে মিশে ছিল ফুটবল। জন্মের পরও নিজের সবচেয়ে বড় ফ্যাশনের জায়গাটা বরাবরই ছিল সেটাই। কিন্তু বরাবরই দারুণ সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী সাকিব আল হাসান পরে যেন পেলে আর ম্যারাডোনা হতে চাইলেন না। তিনি চাইলেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে বিশ্ব মাতাতে। তাই ফুটবল পাগল বাবা মাসুদ রেজা যখন তাকে বললেন যে ক্রিকেট ছেড়ে ফুটবলে মনোযোগ দিতে, সে সময় সাকিব পরিষ্কার করে বলে দিলেন ক্রিকেট খেললে বিশ্বকাপ খেলা যাবে। এত কম বয়সে কি দিপ্ত উচ্চারণ আর কি দারুন আত্মবিশ্বাস। মামাতো ভাই মেহেদী হাসান উজ্জ্বল ফুটবলার ছিলেন। বাবাও ছিলেন একজন ফুটবলপ্রেমী ফলে বাড়িতে খেলাধুলার অনুকূল পরিবেশ সে সময় বরাবরই ছিল। তবে প্রথম দিকে তার বাবা তার খেলাধুলায় সেভাবে উৎসাহ দিতে চাননি। তার ভয় ছিল পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ফয়সাল শেষমেষ না আবার খেলাধুলা করতে গিয়ে তার পড়াশোনা দেখেই হারিয়ে ফেলে।
সৌভাগ্যবশত সাকিব আল হাসান সে সময় পাশে পেয়েছিলেন তার মা সিরিন আকতারকে। আরো একজনকে পাশে পেয়েছিলেন তিনি। তিনি হচ্ছেন সাদ্দাম হোসেন বর্গী। যিনি কিনা প্রথম সাকিবকে আবিষ্কার করেন। এরপর তাকে ক্রিকেটে নিয়মিত এবং মনোযোগী করে তোলেন। সেখানেই কিন্তু শেষ নয়, শুরুতে সাকি পেজ বোলিং করতেন এবং বর্কি তাকে প্রথম স্প্রিন বোলিং করে দেখতে বলেন। আর তারপর সাকিব নিজ হাতে করেছেন তাঁর নিজের ইতিহাস। মাগুরার ছেলে ফয়সাল থেকে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন সাকিব আল হাসান। আর তাই যতদিন সাকিব আল হাসান থাকবেন নেপথ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ হিসেবে কোন না কোন ভাবে নিশ্চয়ই নাম আসবে স্থানীয় এক অখ্যাত কোচের যার নাম সাদ্দাম হোসেন গুরকি। কিন্তু সাকিবের কি মনে আছে তার কথা? গোর্কি কিন্তু শুনিয়েছেন ইতিবাচক কিছু। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার খুবই ভালো সম্পর্ক। সাকিব বাড়ি আসলে আমার সঙ্গে কখনোই দেখা বা কথা না বলে যান না। এবং যখন যা দরকার সব কিছু তিনি আমাকে বলেন। ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অবশ্যই খোঁজ খবর রাখে। সমস্ত খেলার সরঞ্জাম দেয় নিজের খোঁজ খবরও নেই নিয়মিত। আমার দল এখন যে কিটস নিয়ে খেলে তার বেশিরভাগই সাকিব আল হাসানের দেওয়া। সাকিব আল হাসান যে এসব বিষয় কেমন তা আপনারা বাইরে থেকে ঠিক বুঝতে পারবেন না। তারপরেও সাকিব মানে কি শুধুই একজন নিজের মতো করে থাকতে চাওয়া অন্তরমুখী স্বভাবের একজন মানুষ। কাছের মানুষদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় দূর থেকে তাকে যতই আত্মকেন্দ্রিক, উগ্র মেজাজি কিংবা অসচেতন বলে মনে হোক না কেন নিজের দুনিয়াতে তিনি বরাবরই দারুণ মনখোলা আত্মবিশ্বাসী, স্বপ্নবাজ এবং দারুন আড্ডাবাজ একজন ছেলে।
সাকিব আল হাসানের মনস্তত্ত্ব বোঝার জন্য এই তথ্যটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শুধুই অন্তর মুখেই নন নিজের চারপাশে পরিচিত জগৎটা পেয়ে গেলে মন খুলে আড্ডা মারতেও তিনি যথেষ্ট পারঙ্গম। তবে তার যে একেবারেই কোন খারাপ দিক নেই কিংবা কখনোই ছিল না সেটা কিন্তু নই। বিতর্ক কখনোই তার পিছু ছাড়েনি। বারবার বিভিন্ন ভাবে বিদ্ধ হয়েছেন সমালোচনায়। আর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও তার সম্পর্কটা বরাবরই অম্লমধুর। অভিযোগ আছে বিশেষ কিছু সংবাদপত্রের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতের। কোন একটি পত্রিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব ভালো তো অন্য কোন একটি পত্রিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই খারাপ। ইদানিং তাকে নিয়ে নতুন কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। যে তিনি নাকি টাকা ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না। এমনকি এমন অভিযোগও মাঝে মাঝে উঠতে দেখা যায়। তিনি নাকি ভারতের বিপক্ষে খেলা হলে ইচ্ছে করেই খেলা ছেড়ে দেন। এত বড় একটা বাজে রকম অভিযোগ করতে গেলে ন্যূনতম কিন্তু কিছু প্রমাণ থাকা চাই। কিন্তু আমরা কিন্তু আমরা অত্যন্ত অনায়াসেই তার নামে এই ধরনের অমূলক প্রোপাগান্ডা ছড়াতে কখনোই ভুল করি না। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহতম বিতর্কটা অন্যখানে। যেটি কিনা তার স্ত্রীকে নিয়ে। নিশ্চিতভাবে তারকাদের মাঠের বাইরের জীবন নিয়ে বরাবরই চর্চা চলে এবং সারা জীবনই তা হতে থাকবে। ফলে তারকাদের পক্ষে একান্তই ব্যাক্তিগতভাবে জীবনযাপন করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে অত্যন্ত কঠিন। কখনো কখনো অসম্ভবও বটে। সাকিব আল হাসান তার সহধর্মিণী উম্মে আহমেদ শিশিরকে প্রচন্ড রকমভাবে ভালোবাসেন। আর তাই তাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খেতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়াতে চেকিং দেওয়াটা একেবারেই কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়। বরং সাম্প্রতিক সময়ের বাস্তবতাই তিনি যদি সেটা না করেন তাহলেই বরং সেটা অস্বাভাবিক বলা হয়। অথচ সাকিব তার স্ত্রীকে নিয়ে কোন ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করলে তার যেন আর রেহাই নেই। পেইজ কিংবা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বাজে সব মন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়। এমনকি শিশিরের সম্পর্কে অশ্লীল এবং ইঙ্গিতপূর্ণ সব কথাবার্তাও দেখতে পাওয়া যায়। ঠিক কি পরিমান নিচু মানসিকতা হলে যে এই ধরনের বাজে ব্যবহার করা যায় তা ভাবতেও লজ্জা লাগে। এমনকি শাকিব আল হাসানের পিচ্চি মেয়েটাকে নিয়েও সেসব জঘন্য লোকরা বাজে মন্তব্য করতেও ছাড়েনি। এদিকে সাকিব আল হাসানের এইসব মন্তব্য দেখে কিন্তু বড্ডই হাসি পায়। কারণ তিনি কোনো ভাবেই খুঁজে পান না যে তার ব্যাপারে বানানো এইসব নেগেটিভ ব্যাপার গুলো নিয়ে মানুষের কেন এত মিথ্যে আগ্রহ। এবং সে মিথ্যে আগ্রহগুলো কিছু জঘন্য মানুষ যেন সুস্বাদু খাবারের মতো সেগুলো নিয়মিত গিলছে। এ কারণে সাকিব আল হাসান এসব বাজে রকমের মন্তব্যের ঝড় দেখে বরাবরই হেসেছেন। কি অসম্ভব ধৈর্য এবং কি বিশাল একটা হৃদয় থাকলে সত্যি এমনটা ভাবা যায় কিংবা বলা যায়। ভাবুন তো একবার, আপনার আমার স্ত্রীকে নিয়ে কেউ যদি এমন বাজে মন্তব্য করে তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়াটা ঠিক কেমন হতো।
আমাদের মত সাধারণ ভক্তদের জন্য বিশেষ এক নাম্বার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দেখা পাওয়াটা অনেকটা ঈদের চাঁদের মতই ঠিক নয় কি? যদিও তারা আদতে একেবারেই ধরা ছোঁয়ার বাহিরের কোনো মানুষ নন। আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার যে ক্রিকেট দলের কোনো তারকাই এতটা নাকচে স্বভাবের নন, যে তাকে একনজর দেখাটা আকাশে চাঁদের সঙ্গে তুলনা করতে হবে। তবুও তর্কের খাতিরেই ধরে নিলাম তাদের দেখা পাওয়া নিতান্তই সহজ নই। ধরা যাক যে কোনো এক ভাবে আমরা সাকিব আল হাসানের দেখা পেয়ে গেলাম। তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথম চাওয়াটা অধিকাংশ সময় অনেকটাই এরকম, সাকিব একটা সেলফি তোলেন আমার সাথে। প্রথমত অপরিচিত কারো সঙ্গে দেখা হওয়ার শুরুতেই শুধু মাত্র সাকিব বলে সম্বোধন করাটা কতটা যে ভদ্রচিত একটা ব্যাপার সেটা কিন্তু প্রশ্ন সাপেক্ষ। তবুও সেটাতে আমরা যাচ্ছি না। কিন্তু এই সেলফি তোলার বিড়ম্বনাও কিন্তু কম নয়। সবার সঙ্গে একসঙ্গে গ্রুপ সেলফি তুললে কোনোভাবেই হবে না। তুলতে হবে সবার সাথে আলাদা আলাদা করে। শুধু কোন মতে তুল্লেও হবে না ফেসবুকে আপলোড দেয়ার মত করে তুললেই হবে। শুধু ফেসবুকে আপলোড দেয়ার মত করে তুললেই হবে না, হাসি হাসি মুখ করে একদম কাঁধে হাত দিয়ে তুলতে হবে। তাতে সে কি বিমানবন্দরের রিসিপশনে আছেন নাকি রাস্তায় নাকি হাসপাতালে তাতে কারোই কিছু আসে যায় না। শুধুই দরকার একটি সেলফি তাতে আমাদের চলে যায়। তিনি নিজে বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাঝে আছেন কিনা কোন কারণে তিনি কিছুটা বিষন্ন কিংবা হতাশ হয়ে আছেন কিনা সেটা যেন আমাদের দেখার কোন প্রয়োজনই নেই। আমরা তার ভক্ত তাই আমাদের আবদার মেটানো যেন সাকিবের একমাত্র দায়িত্ব। কি এক অবাক এবং হাস্যকর ব্যাপার তাই না।
সাকিব আল হাসান হেলিকপ্টার করে মাগুরায় গেছেন আর এই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি ব্যক্তিগত জীবনের স্বচ্ছল এবং প্রতিষ্ঠিত একজন মানুষ। তিনি নিজের বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে যাবেন নাকি ভ্যানে চলে যাবেন সেটা কিন্তু একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা নিয়ে টাকা বেশি বলে সাপের পাঁচ পা দেখছে, টাকার গরম দেখায় এই টাইপের নিচু মন মানসিকতার কথাবার্তা বলাটা কোনোভাবেই ভালো দেখায় কি? তা নিশ্চয়ই নয়। এছাড়া ঢাকা থেকে তার বাড়ি মাগুরা যেতে কি পরিমাণ কষ্ট হয় সেই কষ্ট না করে হেলিকপ্টারে করে যদি তিনি তার গ্রামে চলে যান তবে সেখানে আমাদের বিতর্কের অবকাশ কোথায়। আর সেটা নিয়ে বিতর্ক করার অধিকারটাই বা আমাদেরকে কে দিয়েছে। এসব ন্যূনতম ভদ্রতা বোধের প্রশ্নগুলো কি আমরা নিজেকে কখনোই করেছি। না কখনোই করিনি। একজন সাকিব আল হাসানের নেগেটিভ বিষয় নিয়ে চর্চার যেন আজকের আর নতুন বিষয় নয়। তিনি যখন থেকে তারকা বনেছেন তারপর থেকেই শুরু হয়েছে এই ধরনের নোংরা বিষয়। কেরিয়ারে দেশে সর্বকনিষ্ঠ ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দেশ-বিদেশের মাটিতে ইতিহাসের সেরা সাফল্য লাভের পর এমনকি নিজে ব্যাট বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পরেও তাকে বিতাড়িত করা হয়েছে অধিনায়ক থেকে। শাকিব আল হাসানই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ম্যাচের হবার পরের ম্যাচে অধিনায়ক থেকে বাদ পড়েছেন। ২০১৪ সালে বোর্ডের সাথে বিদেশি লীগ খেলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য সকল রকমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সে সময় তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। অথচ সেই ভুল বোঝাবুঝিতে সাকিব আল হাসানের একাই দায় ছিল না। এখনো সময় পেলেই মিডিয়াতে তাকে বানানো হয় বলির পাঠা। আর বাইরে থেকে একজন ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে এই নির্দোষ প্রশ্নটা আমরা করতেই পারি যে, পত্রিকাদের কি লাভ শাকিবের সঙ্গে এই ধরনের রূঢ় আচরণ করার। তবে লাভ তো অবশ্যই আছে আর তা হচ্ছে সাকিবের এই বিষয়গুলো পত্রিকার দর্শকরা বরাবরই ভালো খায়। তবে এই কথা জেনে রাখুন, যে এই সব খাওয়াতে একজন সাকিব আল হাসান কোন ভাবেই কেয়ার করেন না। তিনি চলেন তা নিজের গতিতে নিজের ইচ্ছে মত। তাই ক্যারিয়ারে এত শত বিতর্ক কিংবা সমালোচনার পরেও তিনি দেশের একজন গর্বিত ক্রিকেটার। তিনি সব কিছু ঊর্ধ্বে বরাবরই তার ক্রিকেটার স্থান দিয়েছেন। আর সে কারণে বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের তিনটি সংস্করণের সেরা অলরাউন্ডার হবার খেতাব থেকে শুরু করে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড, দেশের পক্ষে সবচাইতে বেসি ম্যাচ সেরা, সিরিজ সেরা পুরস্কার, দেশের সবচাইতে বড় ম্যাচ উইনার প্রায় সকল রেকর্ড তার নামের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। একজন সাকিব আল হাসান ব্যাট বল হাতে বাংলাদেশকে কি দিয়েছেন এসব ব্যাখ্যা করতে গেলে একটি প্রতিবেদন যথেষ্ট নয়। সে কারণেই সেসব গল্পে আমরা নাইবা গেলাম। হয়তো অন্য কোন একদিন সেসব গল্প আপনাদেরকে আবারো শোনাবো। তবে ২০২৩ এর বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান ক্যারিয়ারের সবচাইতে ভালো পারফরমেন্সটাই দেখাতে চেস্টা করবে। সেই সাথে সাকিব আল হাসান যেন আর ভালো পারফর্ম করতে পারেন তাই মিস্টার অলরাউন্ডার এর প্রতি রইল আমাদের অনেক অনেক শুভকামনা। সাকিব আল হাসান সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন উইকিপিডিয়া।
আই নিউজ/আর
আরও পড়ুন
- চেন্নাই সুপার কিংস বনাম গুজরাট টাইটান্স লাইভ স্কোর
- ভারত বনাম নেপাল লাইভ স্কোর | India Vs Nepal Live
- অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড লাইভ | Aus বনাম New
- অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান লাইভ | Aus Banam Afg
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান লাইভ স্কোর এশিয়া কাপ
- বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া লাইভ খেলা
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান লাইভ স্কোর | Ban Vs Afg Live Score
- আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান লাইভ স্কোর | Pak vs afg Live
- পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকা লাইভ টিভি | Pakistan Vs Srilanka Live
- ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান লাইভ খেলা