Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

দেড় বছর আগেই ডিভোর্স চেয়েছিলেন রাফসান

আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান সাবাব ও তাঁর স্ত্রী সানিয়া এশা।

আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান সাবাব ও তাঁর স্ত্রী সানিয়া এশা।

বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের অনেকের আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন দেশের আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান সাবাব ও তাঁর স্ত্রী সানিয়া এশা। সম্প্রতি এই জুটির সংসারে ভাঙণের চির ধরেছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানিয়েছেন ‘হোয়াট অ্যা শো’খ্যাত এই উপস্থাপক সাবাব নিজেই। তার এই খবর প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে এই বিচ্ছেদের পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিওতে বিস্তারিত কথা বললেন রাফসান সাবাব।  তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে ১৪ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আরো দেড় বছর আগে থেকেই এই বিচ্ছেদ চেয়েছেন তিনি। 

যদিও তার স্ত্রী এক স্ট্যাটাসে জানান, বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার জন্য যে সময়, সেটাও তাকে দেওয়া হয়নি। এমনকি ডিভোর্স লেটারে স্বাক্ষর করেননি এশা। দাবি করেছেন এই বিচ্ছেদ তিনি চাননি।

রাফসান সাবাব তাঁর ভিডিওতে বলেন, ‘ডিভোর্সের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে অনলাইনে গত তিন দিন ধরে যতভাবে আমাকে বুলিং, হেরাস, নেগেটিভ কথাবার্তা, যা-তাভাবে অপমান, যত ধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে আমি সব কিছুর জন্য এত দিন নীরব ছিলাম। কারণ আমি আমার পোস্টে লিখেছিলাম, আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথ চলার শেষটা আমি চাই সম্মানজনকভাবেই হোক।’

বিচ্ছেদ নিয়ে এই সমালোচনা চাননি রাফসান। তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে একটা ডিভোর্স দুজন মানুষের জন্য খুব কঠিন এবং এটা একটা ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কখনোই চাইনি কাদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে, দোষারোপ করার মাধ্যমে সম্পর্কটা শেষ হোক। আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত আলোচনা হোক আমি তা চাইনি।’

রাফসানের সাবেক স্ত্রী এশার পোস্টে ভুল তথ্য ছিল, তা জানিয়ে রাফসান বলেন, ‘পোস্টের পর থেকে সবাই ডিভোর্সের কারণ খুঁজতে থাকেন।

গতকাল আমার সাবেক স্ত্রী একটা পোস্ট দেয়, যেখানে অনেক ভুল তথ্য দেওয়া আছে। যার জন্য আমার আজকের এই ভিডিও বার্তা বা স্টেটমেন্ট। 

তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী তার স্ট্যাটাসে লিখেছে, এটা মিউচুয়াল ডিভোর্স ছিল না। সে চায়নি এই ডিভোর্সটা হোক। এখানে একটা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার,  আমিও এই বিয়ে নিয়ে সিরিয়াস ছিলাম। আমার বিয়েটা তিন বছর আগে হয়, আর এটা লাভ মেরেজ ছিল। আমি আমার পরিবারকে রাজি করিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করে বিয়েটা করি। সেই জায়গা থেকে যখন আমি ডিভোর্স চাই এবং এই বিয়েটা থেকে বের হতে চাই, এর পেছনে অনেক ধরনের কারণ রয়েছে। 

বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনেক আগের তা জানিয়ে রাফসান বলেন, ‘আমাদের বিয়েটা তিন বছর আগে হলেও আমি আরো দেড় বছর আগে এই ডিভোর্সটা চেয়েছিলাম। হঠাৎ করেই কিন্তু ডিভোর্সটা হয়নি যে ঘুম থেকে উঠলাম আর একটা স্ট্যাটাস দিয়ে দিলাম। এটা আরো দেড় বছর আগে থেকেই আমি চাচ্ছিলাম।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে রাফসান বলেন, ‘যখন একজন মানুষ আরেকজনকে পছন্দ করে বিয়ে করে, বিয়ে করার পর নানা ধরনের সমস্যা, অমিল, প্রত্যাশা বেড়ে যায়। আমি অনেক বিষয় নিয়ে খুশি ছিলাম না, সেটা আমার কাজ নিয়ে হোক অথবা আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনো ইস্যু হোক। আমি আমার বিয়েতে খুশি ছিলাম না। আমার জন্য এই জায়গাটা কখনো সুখের ছিল না। যার জন্য আমি এই বিয়ে থেকে বের হতে চেয়েছি।’

তাদের এই বিচ্ছেদের জন্য তৃতীয় পক্ষ দায়ী নয়। তা জানিয়ে রাফসান বলেন, ‘কারো কারণে আমার সংসার ভাঙেনি, কারো সঙ্গে যদি আমাকে পাবলিক প্লেসে দেখা যায়, তাকে জড়িয়ে আমাকে নিয়ে নানা কথা বলা হয় এটাও সঠিক নয়। আমার সংসার ভাঙছে- সেই দোষটা শুধু আমার ওপরই দেন। আমি  এই যন্ত্রণাময় সম্পর্ক থেকে বের হতে চেয়েছি। তাই ডিভোর্স দিয়েছি।’

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়