Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৫ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১ ১৪৩২

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৯ জুলাই ২০১৯
আপডেট: ০৮:০৭, ৯ জুলাই ২০১৯

ভালুকায় পুলিশের গুলিতে ধর্ষক নিহত

আইনিউজ ডেস্কঃ  ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার এক আসামি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সোমবার (৮ জুলাই) রাত প্রায় সোয়া ১টার দিকে ভালুকা মডেল থানার পুলিশের সাথে এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পাইপগানসহ বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে। ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন জানান, গত ১৬ জুন ভালুকার উথুরা ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় সাইফুল এক নম্বর আসামি ছিলেন। নিহত ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম (৪০), বাবার নাম জাবেদ আলী। ভালুকা উপজেলার কৈয়াদি গ্রামে সাইফুল ইসলামের বাড়ি। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে একদল লোক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাত সোয়া ১টায় পুলিশ সেখানে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি করে। আত্মরক্ষার তাগিদে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালায় এবং একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়। পুলিশ আরও জানায়, নিহত সাইফুল ইসলাম ছাড়াও ডাকাতদলের আরও চার জন আহত হয়েছেন। তাদের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গত ১৬ জুন সকালে উপজেলার সোনাউল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাইফুল ও রমজান নামের দুই ব্যক্তি মেয়েটিকে জাপটে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যান। তাঁরা ঐ স্কুলছাত্রীর গলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনাটির ভিডিও করেন। এই ধর্ষণের কথা অন্য কাউকে জানালে মেয়েটিকে এসিড নিক্ষেপ করা হবে এমন ভয় দেখিয়ে তাঁরা তাকে ছেড়ে দেন। গত ২৪ জুন একই রাস্তা দিয়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলো ঐ স্কুলছাত্রী। সাইফুল ও রমজান তখন তাকে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আবার ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সাইফুল ও রমজানকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করে। আসামিদের কেউ ধরা না পড়ায় ভালুকায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে। পরে স্থানীয় সাংসদের স্ত্রী জেসমিন এরশাদ আসামিদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য গত রবিবার (৭জুলাই) এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। সবশেষ সোমবার (৮ জুলাই) রাতে এক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন। এসডি/ইএন  
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়