Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৭ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ২৪ জুলাই ২০১৯
আপডেট: ১৮:৫৫, ২৪ জুলাই ২০১৯

গ্রেফতার এড়াতে মাথা ন্যাড়া করে হৃদয়

গ্রেফতার এড়াতে মাথা ন্যাড়া করে হৃদয়। চলে যায় নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে। নানীকে কাপড় পুড়িয়ে ফেলতে বলে। তবে তার কাপড় পোড়ানো হয়নি। গোয়েন্দা পুলিশ সেই কাপড় উদ্ধার করেছে।

আইনিউজ ডেস্ক : গ্রেফতার এড়াতে মাথা ন্যাড়া করে হৃদয়। পুলিশ তাকে খুঁজছে বুঝতে পেরে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। চলে যায় নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে। অনেকটা ছদ্মবেশ ধারণ করার চেষ্টা করে।

হৃদয়কে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, তাসলিমা হত্যার পর পুলিশ ঘটনার মূল হোতা হৃদয়কে খুঁজতে থাকে। সেটা বুঝতে পেরে নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে চলে যায় হৃদয়। পাশেই তার খালার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বাড়িতে মাথা ন্যাড়া করে ফেলে। নানীকে কাপড় পুড়িয়ে ফেলতে বলে। তবে তার কাপড় পোড়ানো হয়নি। গোয়েন্দা পুলিশ সেই কাপড় উদ্ধার করেছে।

এই হত্যাকাণ্ডে হৃদয়সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে বাড্ডা থানা পুলিশ। হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, হৃদয়ের বাবা-মা নেই। স্কুলের সামনে সবজি বিক্রি করতেন হৃদয়। থাকেন বাড্ডা এলাকায়।

“ঘটনার দিন সে রেনুকে স্কুলে ঢুকতে দেখেছিল জানিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, রেনু একজন মহিলা অভিভাবকের সাথে কথা বলছিল। কথা বলার এক সময় সেই অভিভাবক রেনুকে লক্ষ্য করে ছেলে ধরা বলে। সেই কথা শুনে সবজি বিক্রি বন্ধ করে এগিয়ে যায় সে।

পরে রেনুকে দোতালায় নেওয়ার পর গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। হৃদয়সহ আরও ১০-১২ জন গেটে জড়ো হয়। পাশেই ছিল বাজার, সেই বাজারে খবর ছড়িয়ে পড়লে আরও লোকজন এসে হৃদয়সহ সবাই মিলে তালা ভেঙে রেনুকে বাইরে এনে পিটিয়ে হত্যার বর্ণনা হৃদয় তার প্রাথমিক বক্তব্যে বলেছে।

এই ঘটনার ঢাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, “সোশাল মিডিয়াও মনিটর করা হচ্ছে। কোন গুজব বা গণপিটুনির সাথে জড়িত তথ্য পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়