Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৩ ১৪৩২

ফিচার প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ১৪ জুলাই ২০২০

যেভাবে পাবেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

চাকরি, উচ্চশিক্ষা বা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। তবে কীভাবে এই সার্টিফিকেট পেতে হয় জানা নেই অনেকেরই। তাই পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ সবার সুবিধার্থে এ সংক্রান্ত সাধারণ জিজ্ঞাসার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।

অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য http://pcc.police.gov.bd এ আবেদন করা যায়। সরাসরি আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএসবি অফিস (পুলিশ সুপারের কার্যালয়) থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন করতে পারবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন পত্রে স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ঠিকানাই দিতে হয়।

কোনো প্রার্থীর বর্তমান (অস্থায়ী) ঠিকানা যদি পাসপোর্টের ঠিকানা থেকে ভিন্ন হয় সেক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত ফটোকপি, বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের ৫০০ টাকা ট্রেজারি চালানের ফটোকপি বা অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে ই-চালানের ফটোকপি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।

একজনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য যে কেউ নিজের নামে বা অন্য কারো নামে আবেদন করতে পারবেন। প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ও বিদেশি নাগরিকরা নিজ দেশের জাস্টিস অব পিস থেকে পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত কপির স্ক্যান কপি এবং অনলাইনে ই-চালানের স্ক্যান কপিসহ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ৫০০ টাকা লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে (১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১ কোডে) ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অনুকূলে ওই ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের তদন্তের সময় প্রার্থীকে থানায় যেতে হয় না। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রার্থীর ঠিকানায় তদন্ত করতে যাবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের তদন্তের সময় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে যেসব ডকুমেন্ট দিতে হয়- পাসপোর্টের তথ্য পাতার ফটোকপি, ট্রেজারি চালানের বা অনলাইন পেমেন্টের ফটোকপি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের থেকে প্রাপ্ত প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি ও অন্যান্য ডকুমেন্ট। তবে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার চাইলে এসব ডকুমেন্টের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে আবেদন সাবমিট করার পর ঢাকার মধ্যে ৭ কর্মদিবস আর ঢাকার বাইরে হলে ১০ কর্মদিবসের বেশি নয়। মেট্রোপলিটন এলাকায় সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টার্সের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার থেকে ও জেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএসবি অফিস (পুলিশ সুপারের কার্যালয়) থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ করতে হয়।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে প্রার্থীকে যদি কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয় সে ক্ষেত্রে প্রার্থী মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) বরাবর এবং জেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ জানাতে পারবেন।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- http://pcc.police.gov.bd

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়