Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৩ ১৪৩২

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৪ জুলাই ২০২০

গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ: মারাত্মক ক্ষতি, ধ্বংস হয়েছিল প্রাণ

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমরা হয়তো খবর রাখি না, মাঝেমধ্যেই বিশাল আকারের পাথরখণ্ড পৃথিবীর গা ঘেঁষে চলে যায়৷ যেমন আজও কিন্তু ‘২০২০ এনডি’ নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। লন্ডন আইয়ের চেয়ে দেড়গুণ বড় এই গ্রহাণু। ঘটনাটি আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই নাসা হঠাৎ সতর্ক বার্তা জারি করেছে বিশ্বজুড়ে।

২০১৮ সালের এপ্রিলে ‘২০১৮জিইথ্রি’ নামের ৫০ মিটার ব্যাসের একটি গ্রহাণু খুবই পৃথিবীর কাছে চলে আসে৷ মাত্র ২১ ঘণ্টা আগে জ্যোতির্বিদরা এটির উপস্থিতি টের পান। তারও পাঁচ বছর আগে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি উল্কা রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে আঘাত হানে৷ আকারের তুলনায় বিপর্যয় কম মাত্রারই হয়েছিল৷ কয়েক হাজার বাড়িঘর এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল,  প্রায় এক হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন৷ তবে ভাগ্যক্রমে এর আঘাতে কেউ প্রাণ হারাননি৷

আজ থেকে প্রায় ৮০ কোটি বছর আগের ঘটনা। বিশালাকার এক গ্রহাণুর টুকরো উল্কাবৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে পৃথিবী আর চাঁদের বুকে। আছড়ে পড়ার আগে পৃথিবী আর চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়। চাঁদের বুকে তেমন দাগ কাটেনি। কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল পৃথিবীর। সেই উল্কাপাতে প্রায় এক তৃতীয়াংশের বেশি প্রাণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল পৃথিবীতে। বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বেশ কিছু প্রজাতির প্রাণী।

জাপানের তানেগাশিমা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ২০০৭ সালে চাঁদে রওনা দেয় ‘সেলিনে’ নামের একটি মহাকাশযান। এর লুনার অরবিটারের কাজ হল চাঁদের জন্মরহস্য ও তার বিবর্তনের ইতিহাসের খোঁজ করা। সেই গবেষণাতেই ধরা পড়েছে সেই উল্কাপাতের ঘটনা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১০ কোটি বছরে একবার এমন ভয়ংকর উল্কাপাত হয় পৃথিবীতে। সে কারণে চাঁদের বুকে ৬০টি গহ্বর তৈরি হয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। ওসাকা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বড় গহ্বরগুলোর বয়স ও তাদের উৎসের রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছেন।

বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর বয়স আনুমানিক ৪৫০ কোটি বছর। জন্মের প্রথম ৫০ কোটি বছরে পৃথিবী পৃষ্ঠ অনেক বেশি উত্তপ্ত ছিল। সেই সময়েই বারে বারেই উল্কাপিণ্ডের মতো মহাজাগতিক বস্তুরা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল। তার একটা বড় প্রমাণ মেক্সিকোর চিকসুলুব খাত। যে গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার কারণে চিকসুলুব খাত তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

আকারে কয়েকশ’ মিটার ব্যাসের গ্রহাণু বড় আকারের বিপদে ফেলতে পারে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যে৷ যেসব গ্রহাণুর কক্ষপথ পৃথিবী থেকে ৫০ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে, সেগুলোকে পৃথিবীর ‘নিকটতম’ গ্রহাণু বলে ধরে নেয়া হয়৷ এই তালিকায় ২০ হাজারেরও বেশি এমন গ্রহাণু আছে। প্রতি বছর নতুন করে যোগ হচ্ছে আরো ৭০০টি এমন গ্রহাণু৷

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়