Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ২ ১৪৩২

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ৩ আগস্ট ২০২০

স্পেসএক্স-এর ‘ঐতিহাসিক’ মহাকাশ যাত্রা সফল

মহাকাশ থেকে নভোচারীরা লাফ দিলেন সমুদ্রে

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

খানিকটা চিন্তা ছিল বটে, কিন্তু থমকে যাননি তারা। নভোচারীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রথম মনুষ্যবাহী বাণিজ্যিক স্পেস মিশন শেষ হল সফলভাবে। ঐতিহাসিক মিশন শেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুস।

রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে দুই নভোচারী ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন নেমে আসেন ফ্লোরিডা উপকূলের পেনসাকোলার দক্ষিণের সাগরে।

রয়টার্স জানায়, ক্রু ড্রাগনে চড়েই দুই মাস আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন। মিশন শেষে তারা চারটি প্যারাসুটে ভর করে তাদের নিয়ে বাহনটি নির্বিঘ্নে নেমে আসে।

৪৫ বছর পরে এই প্রথম সমুদ্রে নামল মার্কিন মহাকাশ-ক্যাপসুল। গতকাল পর্যন্ত দুই নভোচারীর ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ, বাহামার দিক থেকে ধেয়ে আসছে ঝড় ‘ইসাইয়াস’। অশান্ত হচ্ছে সমুদ্র। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে তারা কীভাবে সমুদ্রে নামবেন তা নিয়েই চিন্তায় ছিল নাসা। একবার এ-ও শোনা গিয়েছিল, দু’দিন পর রওনা দেবেন তারা। কিন্তু শেষমেশ আর তা করা হয়নি। মার্কিন সময় অনুযায়ী, আজ ভোরে রওনা দেয় যানটি।

মিশনের সফল সমাপ্তিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে নাসার কন্ট্রোলরুম। উদ্ধারকারী নৌযান গিয়ে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনে দুই নভোচারীকে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে চড়ে তারা ফিরে আসেন উপকূলে।

ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেন

গত ৩০ মে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায় টেক ধনকুবের এলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স। ২০১১ সালের পর এই প্রথম আমেরিকার মাটি থেকে মহাকাশে কোনো মহাকাশযানকে অভিযানে পাঠানো হলো। এই অভিযানের আরেকটি বিশেষত্ব ছিল, প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মহাকাশে যাওয়া।

দুই নভোচারী ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেন কেবল নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থারই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেননি বরং তারা নাসার জন্য নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলেরও সূচনা করেছেন।

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়