Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ২ ১৪৩২

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ৫ আগস্ট ২০২০

এ যাবতকালে ভয়াবহ যত বিস্ফোরণ

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

যুগে যুগে মানবসৃষ্ট নানা দুর্যোগের শিকার হয়েছে পৃথিবী। যেগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এখনো সামলে উঠতে পারেনি অনেক ক্ষেত্রেই। শত্রুতা আর প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন দেশ বা গোষ্ঠী অন্যদের উপর চালায় অমানবিক আক্রমণ। এমনকি কিছু কিছু দুর্ঘটনা ঘটে যায় অসতর্কতায়।

হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। যারা সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়, তারা দুর্বিষহ স্মৃতি আর স্বজন আর সর্বোস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একে বিপর্যয় বলে আখ্যা দেয়া হলেও মানবসৃষ্ট এক দুর্যোগ এটি। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ।

এর আগেও বিভিন্ন সময় অসংখ্যবার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তেমন কয়েকটি ঘটনা নিয়েই এই আয়োজন-

হিরোশিমা ও নাগাসাকি হামলা

হিরোশিমা ও নাগাসাকি হামলা

এ যাবতকালে যত ভয়াবহ হামলা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হিরোশিমা ও নাগাসাকি হামলা। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর ‘লিটল বয়’ নামের নিউক্লিয়ার বোমা ফেলে। এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের আরেকটি নিউক্লিয়ার বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার লোক মারা যান। আর নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪ হাজার লোক মারা যান।

এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে বিস্ফোরণ

বিমানটি আইরিশের আকাশ সীমানায় ১৯৮৫ সালের ২৩ জুন বিস্ফোরিত হয়। বিমানে বোমা বিস্ফোরণে সব যাত্রী এবং কর্মী মারা যান। বিমানে যাত্রী ছিলেন ৩২৯ জন। বিমানটির ধংসস্তুপ আটলান্টিক সাগরে পতিত হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এ হামলার সময় নারশিয়া বিমানবন্দরেও বোমা হামলা হয়।

ইরাকে বোমা বিস্ফোরণ

ইরাকের ইয়াজিদী এবং জাজিরা শহরে ২০০৭ সালের ১৪ আগস্ট চারটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা করা হয়। তিনটি গাড়ি এবং একটি তেলের ট্যাংকার প্রায় দুই টনের মত বিস্ফোরক বহন করছিল। এ হামলায় ৭৯৬ জন নিহত এবং এক হাজার ৫৬২ জন আহত হন। এ বোমা বিস্ফোরণে ভবনসহ চারপাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

ইরাকে গাড়ি বোমা হামলা। ছবি: সংগৃহীত

প্যারিসে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ

২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্যারিস ও সেন্ট-ডেনিসে ধারাবাহিক ও সমন্বিত সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়। ফ্রান্সের বাইরে তিনটি আলাদা আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়। অন্যদিক প্যারিসের কাছাকাছি চারটি ভিন্ন স্থানে গণহত্যা ও আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ চালায় সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় অন্তত ১২৮ জন নিহত হন। আহত ৪১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে সাত আক্রমণকারীও মারা যায়।

আতাতুর্ক বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণ

২০১৬ সালের ২৮ জুন গুলি আর বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দর। এ হামলায় নিহত হন ৪৭ জন এবং আহত হন ২৩৯ জন। প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে আন্তর্জাতিক টার্মিনালের এক তলায়, দ্বিতীয়টি দোতলায় এবং তৃতীয়টি গাড়ি পার্কিংয়ে।

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়