ডেস্ক নিউজ
আপডেট: ২১:৪৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
বানরের জন্য কলেজ
সংগৃহীত ছবি
সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশে যতটা না পর্যটকের ভিড় থাকে। তার চেয়ে বেশি থাকে সাদা হাতির দেশ থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ডের অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। বালি ছাড়াও এদেশের সবকিছুই পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
এক হাজার ৪০০ টির ও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দেশের মুদ্রা হলো থাইবাট। এক থাইবাট বাংলাদেশী টাকায় দুই টাকা ৫৫ পয়সার সমান। থাইল্যান্ড যে শুধু পর্যটকদের জন্য পৃথিবী প্রসিদ্ধ তা নয়। এর অদ্ভুত সব সংস্কৃতির জন্যও থাইল্যান্ড মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। যে তথ্যগুলো আপনাকে বেশ চমকপ্রদ করবে। জানেন কি? থাইল্যান্ডে রয়েছে বানরের কলেজ।
অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। বানরের জন্য থাইল্যান্ডে রয়েছে একটি কলেজ। সেখানে বানরদের নানা বিষয়ে পারদর্শী করে তোলা হয়। বিশ্বের যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সে গুলোর সবগুলোতে পড়াশোনা করে মানুষ। কিন্তু থাইল্যান্ডের এমন একটি কলেজ রয়েছে যার শিক্ষার্থী বানর। এই কলেজটিতে পড়াশোনা করে বানররা। এর শিক্ষকরা আবার মানুষ। এখানে বানরদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই কলেজটির নাম থাই মানকি কলেজ। এছাড়াও থাইল্যান্ডে বানরের জন্য আছে টোপবুরি মানকি ট্যাম্বল মানে বানরের মন্দির। এই শহরকে বানরের শহরও বলা হয়। ভাবতে পারছেন বানরের জন্য কলেজ এবং মন্দির।
আচ্ছা চলুন থাইল্যান্ডের আরো মজার মজার কিছু তথ্য জেনে নেই-
হাতির পায়ের ম্যাসেজ
থাইল্যান্ডে ভ্রমণে গেছেন। দীর্ঘ পথ ভ্রমণে শরীরে ব্যথা করছে। চিন্তা নেই, সহজেই সারিয়ে ফেলতে পারবেন শরীরের ব্যথা। হাতির এক ম্যাসাজে আপনার সব ব্যথা গায়েব। এই শহরে একটি স্পা আছে। যেখানে হাতিরা পা দিয়ে আপনার শরীর ম্যাসাজ করে দেবে। এমনকি আপনি যে ভাবে চাইবেন হাতি সেই ভাবে আপনাকে ম্যাসাজ করে দেবে। ভয় নেই, এখানকার হাতিগুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
সব বালককে সন্ন্যাসী হতে হয়
থাইল্যান্ড এমন একটি আজব দেশ যেখানে সব ছেলেকে একবার সন্ন্যাসী হতে হয়। তবে এটি যেকোনো পুরুষ এর ২০ তম জন্ম দিবসের আগে হতে হবে। এই শিক্ষা আনুবিস কাল হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে তিন মাস যে সব পরিবার বৌদ্ধ ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসারী তারা এটি বাধ্যতামূলক হিসেবে নিয়ে নেয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির বৌদ্ধের মূর্তি রয়েছে চীনে। তবে সবচেয়ে বড় সোনার তৈরি মূর্তি রয়েছে থাইল্যান্ডে। এটি রয়েছে থাইল্যান্ডের ওয়াট ট্রেয়ামিট মন্দিরে। এটি প্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ কেজি ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি। মুর্তিটি ৯ দশমিক আট ফিট লম্বা।বর্তমানের সোনার মূল্যে, মুর্তিটির দাম প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার হবে!এই মূর্তি দেখতেই এখানে প্রতি বছর হাজারো পর্যটক ভিড় জমান।
বিস্ময়কর সুন্দর ছিমছাম এই দেশটিকে আপনিও দেখে আসতে পারেন। যেকোনো ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন। চাইলে হাতির পায়ের ম্যাসাজ নিতে ভুলবেন না কিন্তু।
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ