ফিচার ডেস্ক
১০ বছর ধরে হেলে দাঁড়িয়ে আছে বিলাসবহুল এই ভবন
ক্যাপিটাল গেইট
রৌদ্রজ্জ্বল নীল আকাশের নীচে ঝিকমিক করা কাঁচের দেয়ালে আচ্ছাদিত ৩৫ তলা একটি ভবন ক্যাপিটাল গেইট। আকাশচুম্বী এই অট্টালিকাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অবস্থিত।
৩৫ তলার এই ভবনটিকে ১০ বছর ধরে হেলে রয়েছে। দেখলে বোধ হয় ভবনটি পড়ে যাবে। তবুও এতোগুলো বছর ধরে ভবনটি ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। ভবনটির এমন আকৃতি সচরাচর দেখা যায় না। ভিন্ন আকৃতির জন্য দেয়ালে ব্যবহৃত গ্লাস প্যানেলগুলো বিশেষভাবে বানানো হয়েছে। ৩৫ তলার এই ভবনটিকে গগনচুম্বী অট্টালিকা বললে এর প্রকৃতি বোঝা যায়না।
ভবনটির নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী ও স্থপতিদের ভবনটির উচ্চতার চেয়ে স্থপতি বিদ্যার প্রচলিত নিয়মের চেয়ে আলাদা করে বানানোর জন্য বলা হয়, বলে জানান আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন কোম্পানির পরিচালক ও নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী আহমেদ আল মানসুরি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্যানুযায়ী, নির্মাণের ১০ বছর পরও ক্যাপিটাল গেট এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দূরত্বে হেলে থাকা ভবন। ভবনটি ১৮ ডিগ্রি কোণে পশ্চিমদিকে হেলে আছে, প্যারিসের পিসা টাওয়ারের চেয়েও এটি প্রায় পাঁচ গুণ বেশি কোণে হেলে আছে। ভবনটির উপরের ১৭ তলা ঝুঁকে থাকায় নিচের তলার ওপর হাজার হাজার টন ভরের চাপ সৃষ্টি হয়।
আল মানসুরি বলেন, এই ভিন্ন আকৃতির জন্য ভবনটি ধসে পড়বে বলে মনে হয়। তবে এই ঘটনা যাতে না ঘটে সেভাবেই নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটির ১৫ তলা অফিসের জন্য বরাদ্দ, এছাড়াও আছে রেস্টুরেন্ট, বার ও অ্যান্দাজ ক্যাপিটাল গেট নামের একটি হোটেল।
২০০টি কক্ষের পাশাপাশি এই হোটেলে আছে একটি বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। হোটেলের একজন কর্মকর্তা জুলিয়া গিমাদেভা জানান, ভবনটির আকৃতির কারণে হোটেলের প্রতিটি কক্ষই অন্যটির চেয়ে আলাদা।
ভবনটির উপরের রেস্টুরেন্ট থেকে আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টার দেখা যায়। এছাড়াও পারস্য উপসাগর ও আবুধাবির দ্বীপের অপূর্ব দৃশ্যও দেখা যায়। আবুধাবির ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থাই ভবনটির নকশার অনুপ্রেরণা ছিল জানান আল মানসুরি। প্রকৌশলী দলের জন্য এক্সিবিশন সেন্টারের মুখোমুখি করে হোটেলের রেস্টুরেন্ট ও সুইমিংপুল বানানোর কাজ অন্যতম কঠিন ব্যাপার ছিল।
ইতিহাদ টাওয়ার, আলদার ভবন ও বিনোদন কেন্দ্র ফেরারি ওয়ার্ল্ডের মতো আবুধাবির অনেক স্থাপনাই ক্যাপিটাল হেটের সমসাময়িক সময়ে গড়ে উঠেছে। ২০১৭ সালে নির্মিত ভাসমান ল্যুভর আবুধাবি জাদুঘর দেখতে দেশ-বিদেশের অনেক শিল্প প্রেমীরা ছুটে আসেন।
পর্যটনের জন্য আবুধাবি দুবাইয়ের চাকচিক্যের আড়ালে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে আবুধাবি আরব আমিরাতের সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে। অ্যান্দিজ হোটেলের নকশাও আমিরাতের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে।
আইনিউজ/এসডিপি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ