আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ১৩:৫৮, ২ অক্টোবর ২০২০
আসুন আজ প্রাণ খুলে হাসি
হাসি
পৃথিবীতে ৩৬৫ দিন। বলা হয় প্রতিদিনই কোন না কোন দিবস পালন করা হয়। আর প্রতি বছর সাড়ে চার’শর বেশি দিবস পালন করা হয়। যেমন বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস, ক্রেতা দিবস, বিশ্ব পাখি দিবস, আন্তর্জাতিক কবুতর দিবস, আন্তর্জাতিক বাহাতি দিবস, বিশ্ব মশক দিবস। তেমনি একটি দিবস যাছে যা সারা দুনিয়া ব্যাপী পালন করা হয়, সেটি বিশ্ব হাসি দিবস।
রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই লিখেছেন, হাসতে নাকি জানে না কেউ কে বলেছে ভাই? এই শোন না কত হাসির খবর বলে যাই। খোকন হাসে ফোঁকলা দাঁতে চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে, কাজল বিলে শাপলা হাসে হাসে সবুজ ঘাস। খলসে মাছের হাসি দেখে হাসে পাতিহাঁস। টিয়ে হাসে, রাঙ্গা ঠোঁটে, ফিঙ্গের মুখেও হাসি ফোটে. দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা হাসতে সবাই চায়…
১৯৬৩ সালে শিল্পী হারভে রোজ বল হলুদ রঙের বৃত্তের মধ্যে দুটো চোখ আর অর্ধচন্দ্রাকৃতির মুখের ছবি আঁকেন। যা ‘স্মাইলি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। স্মাইলির বাণিজ্যিক ব্যবহারে ব্যাপক পরিচিতি পান যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী হারভে। তার চেষ্টায় ১৯৯৯ সাল থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবারটি ‘ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
মানুষ কেন হাসে? হাসলে কি হয়? হাসি দিবস কেন এসেছে? এমন অনেক প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে। চিকিৎসকরা বলেন হাসি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। হাসলে ফুসফুস ভাল থাকে, মাইন্ড থাকে ফ্রেস। কখনও কখনও একটা হাসি পুরোটা দিনকে উজ্জ্বল করে দিতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ বেশি করে হাসুন। প্রাণ খুলে হাসুন।
আন্তর্জাতিক হাসি দিবস পালনের লক্ষ্য শুধু দেহের সুস্থতা নয়। সবাই যেন এভাবে হাসি আর ভালোবাসা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারে সে লক্ষ্যে অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার পালন করা হয় বিশ্ব হাসি দিবস।
তবে হাসতে চাইলেও পৃথিবীর সকল মানুষ হাসতে পারে না। সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইয়েমেনসহ পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, গৃহযুদ্ধসহ নানান জালে ফেঁসে গিয়ে মন খুলে হাসতে পারেন না অনেক সময়।
আজকের এই সুন্দর দিনটাকে উদযাপন করতে হলে একদম চোখ কান খোলা রাখতে হবে। খুব ভালো করে আশেপাশের মানুষদের দেখতে হবে। তাদের বুঝতে হবে, আর চেষ্টা করতে হবে আজকের দিনে যেন তাদের মুখে হাসি ফোটে।
এর জন্য সবার প্রতি একটু যত্নশীল হতে হবে। যেমন মাকে তাঁর কাজে সাহায্য করতে পারা যায়। নিজের জামা কাপড় গুছিয়ে রাখার সময় ভাই বা বোনেরটাও গুছিয়ে ফেলা যায়। অথবা টেবিলের বইগুলো গুছিয়ে দেওয়া যায়। স্বামী স্ত্রীর জন্য অথবা স্ত্রী স্বামীর জন্য একগুচ্ছ ফুল নিয়ে বাসায় ফিরবেন। শুধু যে মানুষকেই খুশি করতে হবে তাও কিন্তু নয়। চাইলে অন্য প্রাণীকে, পাখি এমনকি একটা গাছকেই খুশি করা যায়। তাহলে চারপাশে উপচে পড়বে হাসি।
আইনিউজ/এসডিপি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ