ফিচার ডেস্ক
২৫ বছর ধরে নির্যাতিত হাতিদের দেখাশোনা করেন তিনি
হাতির সঙ্গে লেক চাইলার্ট
লেক চাইলার্ট, থাইল্যান্ডের এক স্বেচ্ছাসেবক নারী। পর্যটকদের কাছে থাইল্যান্ডের হাতির আকর্ষণ কম নয়। কিন্তু মানুষের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে হাতির জীবন প্রায়ই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এই নারী অসহায় সেইসব হাতির সুরক্ষার জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন। তিনি অসহায় এবং বয়স্ক হাতিদের জন্য একটি পার্ক করেছেন।
থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট নেচার পার্কের কথা হয়তো অনেকেই এরইমধ্যে জেনেছেন। একবার তাকালেই লেক চাইলার্ট প্রত্যেকটি হাতিকে আলাদা করে চিনতে পারেন। তার কাছে প্রায় ৮০টি হাতি রয়েছে। এরা সবাই জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। প্রাণীগুলোর জীবনের সব ঘটনাই তার জানা।
এখানকার একটি হাতি কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এক রাইডিং ক্যাম্পে কাজ করতো। প্রতিদিন পর্যটকদের পিঠে নিয়ে ঘুরতে হতো। নির্দেশ অমান্য করলে মালিক বুলহুক দিয়ে হাতিটির চামড়া চিরে দিতো। তবে এখন চাইলার্টের সহযোগিতায় পার্কে স্বাধীন জীবনযাপন করছে হাতিটি।
প্রায় ২৫ বছর ধরে হাতির সুরক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের এই অ্যাক্টিভিস্ট। নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি হাতির জীবনযাত্রার উন্নতির চেষ্টা করছেন। তিনি মারাত্মক নিপীড়নের শিকার হয়েছে এমন হাতি কিনে নেন। অর্থের যোগান হয় অন্যদের দান আর পর্যটকদের থেকে।
রাইডের কাজে ব্যবহার করা প্রাণীগুলো একসময় এসে বাতিল হয়ে পড়ে। বয়সের ভারে কাজ করতে না পারায় তারা মালিকের বোঝা হয়ে যায়। ঠিক এই মহামারির সময়টাতে একই অবস্থা। পূ্র্ণবয়স্ক একটি হাতির দাম সাধারণত ২০ লাখ বাট অর্থাৎ ৫০ হাজার ইউরোর একটু বেশি। কিন্তু মহামারির কারণে এই প্রাণী মালিকের জন্য বোঝা হয়ে উঠছে। খোরাক ও দেখাশোনার জন্য তাদের মাসে প্রায় এক হাজার ইউরো ব্যয় হয়। চাইলার্টের ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে হাতি-প্রতি কমপক্ষে ১০ লাখ বাট পেয়ে মালিক থানাপত কায়ার বেশ খুশি।
বেশিরভাগ হাতিগুলো কয়েক দশক ধরে মানুষ বহন করেছে অথবা মনোরঞ্জনের খোরাক হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু চাইলার্টের ‘এলিফ্যান্ট নেচার পার্ক’-এ সেই প্রাণীগুলোকে কাজ করতে অথবা শিকলে বন্দি থাকতে হয় না। অতিথিরা অর্থের বিনিময়ে শুধু হাতির দর্শন পেতে পারেন। চাইলার্ট বলেন, মানুষ এসে আমাদের প্রকল্প দেখে যান। তারা হাতিদের বিরক্ত করেন না, শুধু দেখেন। সেই অর্থ দিয়ে আমরা আরো হাতি উদ্ধার করতে পারি।
এখানে তারা হাতিদের সুরক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। খাবার, চিকিৎসা সব কিছুর ব্যবস্থা করেছেন এদের জন্য। চাইলার্ট এদের সঙ্গে সময় কাটান। আঘাতপ্রাপ্ত কোনো হাতি থাকলে তার সেবা এবং চিকিৎসা দেন। এখানে হাতিগুলো বন্দিদশা কাটিয়ে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করে।
আইনিউজ/এসডিপি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ