ফিচার ডেস্ক
গাছে ওঠার বাইক আবিষ্কার করলেন এই কৃষক
বাইকের আবিষ্কারক গণপতি ভাট
নারকেল গাছে ওঠার কথা উঠলেই বিশেষ দক্ষতার কথা মনে হয় ৷ কারণ ডালপালাহীন এই গাছে ওঠা তেমন সহজ কথা নয় ৷ তাই সেই গাছে ওঠার একটি সহজ পন্থা আবিষ্কার করলেন এক কৃষক ৷
এরই মধ্যে সারাদেশ থেকে কয়েকশো অর্ডারও পেয়েছেন তিনি। মোটরসাইকেলের মতো দেখতে একটি যন্ত্র দিয়ে গাছ বেয়ে ওপরে উঠে সুপারি ও নারকেল পাড়া হচ্ছে।
আর ভিন্নধর্মী এই যন্ত্রটি কোনো বিজ্ঞানীর আবিষ্কার না। এর আবিষ্কারক ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের এক কৃষক, যার নাম গণপতি ভাট। নিরাপদে গাছে ওঠার জন্য আস্ত একটি ‘বাইক’ বানিয়ে ফেলেছেন ওই ভারতীয় কৃষক।
নিরাপদে গাছে ওঠার সেই অভিনব পদ্ধতিতে মুগ্ধ হয়েছে নেট দুনিয়া। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাইকের মতো একটি যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই নারকেল ও সুপারি গাছে উঠছেন ওই ব্যক্তি।
ব্যাঙ্গালোরের কৃষক গণপতি ভাট বানিয়েছেন। এই বাইক এক লিটার তেল ভরলেই অনায়াসে চড়া যায় ৮০টি সুপারি ও নারকেল গাছে। ২৮ কেজি ওজনের এই বাইকে করে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কি.মি. বেগে গাছে ওঠা যায়।
অনেকেই এখন এই বাইক কিনছেন
আর এতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় পেট্রোল। গণপতি ভাট জানান, বেশকিছু যন্ত্রের সমন্বয়ে এটি তৈরি করেছেন তিনি। বর্ষায় সুপারি ও নারকেল গাছে পোকার সংক্রমণ আশঙ্কা থাকে। ফলে এইসময় গাছে কীটনাশক ছড়াতে হয়। কীটনাশক নিয়ে লম্বা গাছে ওঠা ভীষণ সমস্যাজনক ভরা বর্ষায় অনেকেই গাছে ওঠার ঝুঁকি নিতে চান না।
গণপতি এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বানিয়ে ফেলেন এই বাইক। এই বাইকে চড়ে ৩০ সেকেন্ডে উঠে যাওয়া যায় গাছে। গণপতি বলেন, কৃষকরা যেই জানতে পারছেন এই বাইকের বিষয়ে, তারা ফোন করে কিনতে চাইছেন।
মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। এই বাইকের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন গণপতির বিশেষ এই আবিষ্কার বহু কৃষকের জীবন বদলে দিবে। গণপতি তার পরিবারের সদস্যদেরকেও এ কাজে যুক্ত করেছেন।
মুহূর্তেই গাছে ওঠা যায় এই যন্ত্র দিয়ে
গণপতি ভাটের মেয়ে বলেন, বাবার দেখাদেখি আমিও যন্ত্রটি দিয়ে গাছে উঠার চেষ্টা করি। শুরুতে একটু ভয় লাগলেও এখন কিছুই মনে হয় না। একটি গাছে যেখানে স্বাভাবিকভাবে চড়তে অন্তত ১০ মিনিট লাগে সেখানে এই যন্ত্রটির সাহায্যে এক ঘণ্টায় ৮০ বার ওঠা নামা করা যায়।
যন্ত্রটি কৃষকদের কষ্ট অনেকটা লাঘব করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তারা বলেন, ভাট যা করেছেন তা অবশ্যই কৃষকদের উপকারে আসবে। এর দামও খুব বেশি না।
ভিন্নধর্মী যন্ত্রটি কেউ কিনতে চাইলে তাকে ৭৫ হাজার রুপি খরচ করতে হবে বলে জানান ৪৮ বছর বয়সী এই কৃষক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই গেল এক সপ্তাহে অন্তত ৩০০টি যন্ত্রের অর্ডার পেয়েছেন তিনি।
আইনিউজ/এসডিপি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ