ফিচার ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষকের শাস্তি যেমন
ফাইল ছবি
আমাদের সমাজে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণ নামক ব্যাধি। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ মহিলারা। শুধু যে নারীরাই এর শিকার হচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। ছেলে শিশুরাও রয়েছে এই তালিকায়।
এই ধরণের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে বিক্ষোভ, মিছিল, সড়ক অবরোধ। তবে তাতেও কমছে না জঘন্যতম এই অপরাধ। এদিকে দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এই অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ধর্ষণের পরিমাণ কমবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই।
তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ধর্ষকের শাস্তি কেমন জানেন কি?ভারত, ইরান, চীন, গ্রিস, রাশিয়াসহ এশিয়া-ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়েসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ৩০ বছর কারাদণ্ড।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রচলিত আইনে ধর্ষণের শাস্তি কী?
ভারত
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০১৩ সালে ধর্ষণের শাস্তি আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে। দেশটিতে বিশেষ ক্ষেত্রে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। তবে সচরাচর সাত থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
চীন
এশিয়ার বৃহৎ দেশ চীনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় ধর্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে দেয়া হয়।
ইরান
এশিয়ার আরেক দেশ ইরানে সাধারণত ধর্ষককে জনসম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্ষিতার অনুমতি নিয়ে ধর্ষককে জনসম্মুখে ১০০ দোররা (চাবুক) মারা অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
গ্রিস
গ্রিসে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আর এই শাস্তি কার্যকর করা হয় আগুনে পুড়িয়ে।
মিসর
মিসরে জনাকীর্ণ এলাকায় জনসম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষককে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে মাথায় গুলি করে এই শাস্তি কার্যকর করা হয়।
আফগানিস্তান আফগানিস্তানে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আদালতের রায়ের চার দিনের মধ্যে ধর্ষকের মাথায় গুলি করে এই রায় কার্যকর করা হয়। সৌদি আরব : সৌদি আরবে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। জনসম্মুখে ধর্ষকের শিরশ্ছেদ করে এই সাজা কার্যকর করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতে যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড। রায়ের সাত দিনের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাজা কার্যকর করা হয়।
ফ্রান্স
ফ্রান্সে ধর্ষণের শাস্তি কী তা ভিকটিমের ক্ষতি কতটা গুরুতর, তার ওপর নির্ভর করে। সেখানে ধর্ষকের সাজা ৩০ বছরের কারাদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড।
নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে চার থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই দেশে যেকোনো ধরনের যৌন নিপীড়ন, অনুমতি ছাড়া জোর করে চুম্বনও এ ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দেয়া হয়ে থাকে।
রাশিয়া
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়ায় ধর্ষণের শাস্তি তিন থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের শীর্ষ শক্তিধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের আইন প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো অঙ্গরাজ্য আইন এবং ফেডারেল আইন। ফেডারেল আইনে মামলা হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে অঙ্গরাজ্য আইনে একেক অঙ্গরাজ্যে একেক রকম শাস্তি।
নরওয়ে
নরওয়েতে ধর্ষকের সাজা চার থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড।
ইসরায়েল
ইসরায়েলে ধর্ষণের শাস্তি চার থেকে সর্বোচ্চ ১৬ বছরের কারাদণ্ড।
সৌদি আরব
ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে শাস্তি প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়।
মঙ্গোলিয়া
ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দেশটিতে।
আইনিউজ/এসডিপি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ