Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১৪ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১ ১৪৩২

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১৭, ২১ অক্টোবর ২০২০

প্রতিবছর এভারেস্টকে জয় করা ক্রেন পাখি

এভারেস্ট জয়ী পাখিরা

এভারেস্ট জয়ী পাখিরা

মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় সবসময়ই চরম প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করে। সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাইল উঁচু। এর উচ্চতা এখনো বাড়ছে। 

নেপালিদের লোকগাথা অনুসারে, কোনো পাখিই এটিকে অতিক্রম করতে পারে না। তবে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজা ডেমোসেল ক্রেন হিমালয় অতিক্রম করতে রওনা হয়। 

মঙ্গোলিয়ার বজ্রকঠিন ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে এরা ভারতে শীতকাল অতিবাহিত করে। ভারতে যেতে তাদেরকে হিমালয়ের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গগুলো পার হতে হয়। 

সূর্যের তীর্যকরশ্মি পাহাড়ি ঢালগুলোকে উত্তপ্ত করে তোলে। ফলে দুপুরে শুরুতেই তৈরি হয় বাতাসের মারাত্মক ঘূর্ণি।ক্রেন পাখিরা বাতাসের ভয়ঙ্কর আলোরণের মুখোমুখি হয়। 

তখন এদেরকে পিছু হটতে হয় অথবা নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়। বিকেলে সূর্যের উত্তাপ কমে আসলে বাতাসের ঘূর্ণিও দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর নতুন দিনের জন্য ক্রেনরা অপেক্ষা করে। 

নতুন দিন মানেই নতুন সুযোগের হাতছানি। তরুণরা অভিজ্ঞদের নেতৃত্বে এই ভয়ঙ্কর অভিযাত্রায় আবারও এগিয়ে চলে।

৫০ হাজার পাখি এভারেস্ট পাড়ি দেয়

সকাল হতেই বাতাস উত্তপ্ত হয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। ক্রেনরা উপরে উঠতে এই ঊর্ধ্বগামী বাতাসকে ব্যবহার করে। 

এই সময় যদি আবারো বাতাসের ঘূর্ণি শুরু হয় তখন ক্রেনরা বিপদে পড়ে যায়। তখন পর্বত অতিক্রম করা হয়ে উঠতে পারে অসম্ভব। যদি এমনটি হয় তবে তার আবার ফিরে আসে ও যথারীতি পরবর্তী দিনের জন্য অপেক্ষা করে।

চূড়ান্ত সময় পাখার প্রতিটি স্পন্দন যেন হিম শীতল বাতাসের বিরুদ্ধে নিদারুণ লড়াই। অবশেষে ক্রেনরা ঊর্ধ্বগামী বাতাসের সঙ্গে এভারেস্ট পার হলে সফল হয়। 

এভাবেই ক্রেনরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা জয় করে। পর্বতের এ পাশেই রয়েছে স্বর্গীয় নাতিশীতোষ্ণ জলাভূমি। 

সময় এবং পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে কঠোর পরিশ্রম ও বিফলে যেতে বাধ্য সঠিক সময়ে কঠোর পরিশ্রম পৌঁছে যায় সফলতার স্বর্ণ শিখরে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়