নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের ‘আনন্দালয়’ পেল প্রখ্যাত ওবেল পুরস্কার
‘আনন্দালয়’; ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশে দিনাজপুরে নির্মিত ‘আনন্দালয়’ এবং সেটির জার্মান স্থপতি আনা হেরিংগার এ বছরের ওবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। লাইফস্টাইল সাইট ওয়ালপেপার ডট কম বুধবার এ খবর জানায়।
ভবন ও স্থাপত্য শিল্পে এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করে থাকে কোপেনহেগেন ভিত্তিক দ্য হেনরিক ফ্রোড ওবেল ফাউন্ডেশন।
বেসরকারি সংস্থা ‘দ্বীপশিখা’র গড়ে তোলা আনন্দালয় মূলত প্রতিবন্ধীদের জন্য কমিউনিটি থেরাপি সেন্টার। নান্দনিক স্থাপত্য-সৌন্দর্যে গড়ে তোলা ভবনটিতে স্থানীয় নারীদের জন্য একটি টেক্সটাইল ওয়ার্কশপও স্থাপন করা হয়েছে।
মাটি ও বাঁশ দিয়ে নির্মিত আনন্দালয় ভবনের মূল কারিগর জার্মান স্থপতি আনা হেরিংগার। স্থানীয় আদি রীতির ঘর তৈরির কৌশল ব্যবহার করে ভবনটির নকশা ও নির্মাণ করেন তিনি।
ভবনটির ভেতরের দৃশ্য
দ্বি-তল বিশিষ্ট ভবনটির নিচতলা প্রতিবন্ধীদের থেরাপি সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং দ্বিতীয় তলায় স্থাপিত টেক্সটাইল ওয়ার্কশপে কাজ করেন স্থানীয় নারীরা।
ওবেল পুরস্কারের জুরি বোর্ড এক বিবৃতিতে জানায়, আনন্দালয় ভবন শুধু মৌলিক ও নির্দিষ্ট কমিউনিটির প্রয়োজনের সমাধান নয়, এটি টেকসই, সামাজিক ও স্থাপত্য নকশার কঠিনতর চ্যালেঞ্জের বহুমাত্রিক সমাধান।
এ ভবনটি গড়ে তুলতে গিয়ে জীবনের কিছু সময় বাংলাদেশে কাটান হেরিংগার। তিনি বলেন, ‘আমার মূল অনুপ্রেরণা হলো স্থাপত্য শিল্পকে জীবনের উন্নতির জন্য কাজে লাগানো।’
৪৩ বছর বয়সী এ নারী বলেন, ‘অনুসন্ধান করাই হচ্ছে কাজের পেছনে আমার চিন্তা ও প্রেরণার জায়গা। স্থাপত্যশিল্পকে আমি ব্যবহার করি সাংস্কৃতিক শক্তি এবং স্বাতন্ত্র্যময় আস্থা থেকে, স্থানীয় অর্থনীতিকে সহায়তা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বাড়াতে। আনন্দময় জীবনযাপন একটি সৃজনশীল এবং সক্রিয় প্রক্রিয়া। সমাজ টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশের প্রতি আমি গভীরভাবে আগ্রহী।’
আনা হেরিংগার
আনা হেরিংগার জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর আর্থেন আর্কিটেকচার, বিল্ডিং কালচার্স ও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান।
জার্মানির দক্ষিণে বাভারিয়ারে বেড়ে ওঠা এ স্থপতির। অস্ট্রিয়ার লিনজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা এবং শিল্প নকশা বিভাগের স্থাপত্য বিষয়ে ২০০৪ সালে তার স্নাতক সম্পন্ন করেন। তার আগে ১৯৯৭ সালের দিকে বাংলাদেশকে নিয়ে তার আগ্রহ তৈরি হয়। এরপরে তিনি দিনাজপুরের বেসরকারি সংগঠন ‘দীপশিখা’র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় দ্বীপশিখা চত্বরে অবস্থিত প্রকৃতিবান্ধব, ভিন্নধর্মী নির্মাণশৈলী দিয়ে নির্মিত আরেকটি ‘মেটি স্কুল’। সেটিও নির্মাণের পেছনে ছিল হেরিংগার অনন্য অবদান। ভিন্নধর্মী স্থাপত্য শিল্পের জন্য স্কুলটি এবং তিনি ২০০৭ সালে জিতে নিয়েছিলেন প্রখ্যাত আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড।
আইনিউজ/এসডিপি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ