হেলাল আহমেদ
আপডেট: ১৪:২৯, ২৩ নভেম্বর ২০২০
জগদীশ চন্দ্র বসু: পেটেন্ট না নেওয়া এক বাঙালি বৈজ্ঞানিকের কথা
বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু
মানুষের যাপিত জীবনে জীবনের ন্যায় উদ্ভিদেরও যে জীবন আছে, আছে অনুভূতি শক্তি তা আবিষ্কার করেছিলেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বাঙালি বিজ্ঞানীর এ আবিষ্কার বিশ্বদরবারে সে কালে ঝড় তোলেছিল। তারই আবিষ্কৃত এসকোনোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ভিদের যে জীবন আছে তা তিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। আজ সেই বাঙালি বিজ্ঞানীর মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর নাম জগদীশ চন্দ্র বসু।
জগদীশ গবেষণা করে দেখিয়েছিলেন যে উদ্ভিদের উপর বিভিন্ন প্রকার বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ঘটনা ঘটতে পারে। একে এক সময় রাসায়নিক ক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা হত। তিনি এই ধারণাকে পরবর্তীকালে পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি উদ্ভিদের টিস্যুর উপর মাইক্রোওয়েভের প্রভাব এবং এর ফলে কোষ মেমব্রেনের বিভব পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন। কোষ মেমব্রেনের বিভব বলতে বোঝায় কোষের অন্তঃত্বক ও বহিঃত্বকের ভেতর ঘটিত তড়িৎ বিভবের পার্থক্য (সাধারণত -৪০ মিলিভোল্ট থেকে -৮০ মিলিভোল্ট পর্যন্ত)।
গাছকে আঘাত করলে গাছ কীভাবে সাড়া দেয়, সেটা জগদীশ বসু যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করে দেখান, যা ছিল উদ্ভিদ বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা আবিষ্কার। - ড. দ্বিজেন শর্মা
১৯০১ সালে এই বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন অবস্থায় এবং বিভিন্ন সময়ে কোষ মেমব্রেন বিভবের পর্যবেক্ষণ করে অনুমিত করেন যে উদ্ভিদও প্রাণীর মতো বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে সাড়া দিতে সক্ষম, অর্থাৎ তাদের ভেতর কিছু সাদৃশ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তারা ব্যথা অনুভব করতে সক্ষম, আনন্দ অনুভব করতে সক্ষম, এমনকি স্নেহ অনুভব করতেও সক্ষম। তিনি আরও প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদের একটি সঠিক জীবন চক্র এবং প্রজনন তন্ত্র রয়েছে যা প্রাণীর অনুরূপ। তার এই গবেষণাপত্র তখন লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে স্থান করে নিয়েছিল।
বাঙলাদেশে জন্ম নেওয়া বিজ্ঞানি জগদীশ চন্দ্র বসু ব্রিটিশদের কাছে জে.সি. বোস নামেই পরিচিত ছিলেন। আজ বিশ্বে বেতার টেলিগ্রাফের আবিষ্কারকের নাম জিজ্ঞেস করলে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাটিও অনায়াসে যে নাম বলে দেব সেটি হলো গুলিয়েলমো মার্কোনি। কেননা বেতার টেলিগ্রাফের আবিষ্কারক হিসেবে তার নামই লিপিবদ্ধ রয়েছে বিশ্বের খাতায়। কিন্তু জে সি বোস নামটি হয়তো কারো মুখ দিয়েই বেরোবে না। বরং নামটি অপরিচিত ঠেকবে। কিন্তু ব্রিটিশদের কাছে জে সি বোস নামে পরিচিত এই মহান বৈজ্ঞানিক ব্যাক্তিটি আমাদের জগদীশ চন্দ্র বসু তা হয়তো অনেকেই জানেন না। জানলেও কালের পরিক্রমায় ভুলতে বসেছেন।
ভারত বর্ষে বিজ্ঞান সাধনায় যেসব বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত সাফল্যের ছাপ রাখতে পেরেছেন তাদের সকলের পথিকৃত বাঙালি বিজ্ঞানি স্যার আচার্জ জগদীশ চন্দ্র বসু। যিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রের আবিষ্কারক হলেও করলেও থেকে গেছেন অগোচরে। এমনকি রেডিও সিগনাল শনাক্তকরণে সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবহার বিষয়ে তাঁর করা গবেষণাপত্রটিও তিনি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন অন্যান্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার সুবিধার্তে।
নিরহংকারী বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ বসুর পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল গ্রামে। ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর ময়মনসিংহে তার নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার তৎকালীন ফরিদপুরের ম্যাজিস্ট্রেট ভগবান চন্দ্র বসু। এবং মায়ের নাম সুরুজ বালা সাহা। পৈত্রিক চাকরির সুবাদে ফরিদপুর থেকেই জীবনের যাত্রা শুরু হয় ছোট্ট জগদীশের।
ফরিদপুরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি ১৯৬৯ সালে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য প্রথমে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হলেও সেখানে বেশি দিন থাকা তার ভাগ্যে ছিলো না। ফলে সে বছরই তিনি ভর্তি হন তৎকালে ভারত বর্ষের নাম করা বিদ্যাপীঠ সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে। জেভিয়ার্সে পড়ার সময় কলেজের খ্রিষ্টান যাজক বা ফাদার ইউজিন ল্যাফোন্টের নিবিড় সান্নিধ্য লাভ করেন জগদীশ এবং তাঁর প্রকৃতির প্রতি অনুসন্ধান করার মানসিকতা তৈরী হয় ফাদারের প্রভাবেই।
১৮৭৫ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনি বৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে পাস করেন। পড়ে তিনি ১৮৭৭ সালে একই বিদ্যালয় থেকে এফএ পাস করেন এবং ১৮৮০ সালে তিনি বিজ্ঞান শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ডিগ্রি লাভের পর জগদীশ চন্দ্রের ইচ্ছা ছিলো বিলেতে গিয়ে ইন্ডিয়া সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) ডিগ্রি লাভ করার। কিন্তু এ পর্যায়ে বাঁধ সাধলেন তার বাবা। যদিও তার বাবা নিজেই ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী। কিন্তু তিনি (জগদীশ চন্দ্রের বাবা) চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে এমন কিছু করুক যেন কারো অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের কাজ করতে পারে। সেই সুবাদে বোস চলে গেলেন ইংল্যান্ডে এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হলেন। কিন্তু বেশিদিন পড়তে পারলেন না। মেডিসিন পড়াকালীন অবস্থায় প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন তিনি। লাশঘরের লাশ ও ওষুধের তীব্র দুর্গন্ধ তাঁর এই অসুখকে আরো বৃদ্ধি করেছিলো। ফলে শেষটায় ছেড়েই দিলেন।
পরবর্তীতে তৎকালীন ভারতের বিশিষ্ট বিতার্কিক ও জগদীশ চন্দ্রের বোনের স্বামী আনন্দমোহন বসুর সুপারিশক্রমে কেমব্রিজের ক্রাইস্টস কলেজে ভর্তি হলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যাচারাল সায়েন্সে (Natural Sciences Tripos**) লাভ করলেন বিএ ডিগ্রী, ১৮৮৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রী এবং তারপর ১৮৯৬ সালে ডিএসসি ডিগ্রী (উল্লেখ্য ন্যাচারাল সায়েন্স বলতে বিজ্ঞানের সেই শাখাকে বোঝায় যা পৃথিবীর বাহ্যিক প্রকৃতি নিয়ে জ্ঞান দান করে। মূলত পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ভূতত্ত্ব ও জীববিজ্ঞানের সমন্বিতরূপেই ন্যাচারাল সায়েন্সের পরিধি)।
কেমব্রিজের ছাত্রাবস্থায় বোস শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন নোবেল বিজয়ী লর্ড র্যালে, মাইকেল ফস্টার, জেমস ডিউয়ার, ফ্রান্সিস ডারঊইন, ফ্রান্সিস ব্যালফার এবং সিডনি ভাইন্সসহ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গকে। যখন বোস কেমব্রিজের ছাত্র ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে বাংলার আরেক কিংবদন্তি, রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এডিনবার্গের ছাত্র ছিলেন। লন্ডনে থাকাকালীন তাদের দুই জনের পরিচয় ও ঘনিষ্টতার সূত্রপাত। বোস পরবর্তীতে বিশিষ্ট নারী আন্দোলনের প্রবক্তা ও সমাজকর্মী অবলা বোসের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।
ইংল্যাণ্ড থেকে স্বদেশে ফেরার পর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন।
রেডিও গবেষণায় তাঁর অবদান
স্কটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ম্যাক্সওয়েল বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাড়িৎচৌম্বক বিকিরণ তরঙ্গের অস্তিত্ব গাণিতিকভাবে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেই তত্ত্ব পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ হওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ১৮৮৬ থেকে ১৮৮৮ সালের মধ্যে জার্মান পদার্থবিদ হেনরিক হার্জ তাড়িৎচৌম্বক তরঙ্গের উপর করা তাঁর পরীক্ষার গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন এবং শূন্য স্থানে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের অস্ত্বিত্ব প্রমাণ করেন। হার্জের মৃত্যুর পরে ব্রিটিশ পদার্থবিদ অলিভার লজ তাড়িতচৌম্বক নিয়ে আরো গবেষণা করেন এবং হার্জিয়ান তরঙ্গের আপাত-আলোক প্রকৃতির (Quasi-optical nature) কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন এই তরঙ্গ দৃশ্যমান আলোর মতোই প্রতিফলন, প্রতিসরণের মতো বৈশিষ্ট্য সমন্বিত। সেই সময়ে তাঁর এই গবেষণা বোস সহ আরো অনেক বিজ্ঞানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো।
লজের গবেষণাপত্র প্রকাশের প্রায় একবছরের মধ্যেই ১৮৯৫ সালের মে মাসে বোস তাঁর প্রথম গবেষণা পত্র “On polarization of electric rays by double-refracting crystals” প্রকাশ করেন। একই বছর অক্টোবর মাসে তাঁর দ্বিতীয় গবেষণাপত্রটি লর্ড র্যালের হাত দিয়ে পৌছায় লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে। ১৯৯৫ সালে ডিসেম্বরে লন্ডনের ‘Electrician’ নামক জার্নালে তার রচিত ‘On a new electro-polariscope’ প্রকাশ হওয়ার পর ‘Electrician’ মন্তব্য করেছিলোঃ
“Should Professor Bose succeed on perfecting and patenting his ‘Coherer’***, we may in time see the whole system of coast lighting throughout the navigable world revolutionized by a Bengali Scientist working single handed in our Presidency College Laboratory.”
জগদীশ বসুর প্রায় সমসাময়িক ইতালীয় বিজ্ঞানী গুগলিয়েমো মার্কনি একই সময়ে বৈদ্যুতিক চুম্বক তরঙ্গ ব্যবহার করে শব্দ তরঙ্গ পাঠাতে সফল হয়েছিলেন। কিন্তু জগদীশ বসু তাঁর আবিষ্কারকে নিজের নামে পেটেন্ট না করায় বেতার আবিষ্কারের জন্য স্বীকৃত দাবিদার হন মার্কনি।
শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ বাঙালি জগদীশ চন্দ্র বসু
দুই হাজার চার সালে সংবাদ সংস্থা বিবিসি বাংলা একটি 'শ্রোতা জরিপ'-এর আয়োজন করে। জরিপের বিষয় ছিলো - সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? তিরিশ দিনের ওপর চালানো জরিপে শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ বিশ জন বাঙালির জীবন নিয়ে বিবিসি বাংলায় বেতার অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সেই জরিপে রোতাদের মনোনীত শীর্ষ কুড়িজন বাঙালির তালিকায় সপ্তম স্থানে আসেন জগদীশ চন্দ্র বসু। আজ তাঁর জীবন-কথা।
তবে যতোই আড়ালে থাকেন না কেন, বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদান মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তিনি একাধারে পদার্থবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদবিদ্যায় অসামান্য অবদান রেখে নিজের নাম শুধু বাঙালির ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও স্বর্ণাক্ষরে লিখে গিয়েছেন।
সম্মানে, শ্রদ্ধায় জগদীশ চন্দ্র বসু
জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর গবেষণা জীবনে নিজের গবেষণা বা আবিষ্কারের জন্য কোনো পেটেন্ট গ্রহণ করেন নি সত্য। কিন্তু বিজ্ঞানমহলও এই বিজ্ঞানীকে সম্মান জানাতে পিছপা হয়নি। বর্তমান বিজ্ঞানী সমাজ রেডিও তরঙ্গের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান স্বীকার করেন অম্লানবদনে। তাকে আখ্যা দেয়া হয় বেতার যোগাযোগের জনক হিসেবে। মিলিমিটার তরঙ্গ আবিষ্কার করে তিনি বেতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে একজন অগ্রপথিক হিসেবে আজ গণ্য হন। তাঁর আবিষ্কৃত অনেক যন্ত্র আজও ব্যবহার হয়ে আসছে যাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার এন্টেনা, পোলারাইজার এবং ওয়েভগাইড উল্লেখযোগ্য। যদিও এখন এদের আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
বহুবিদ্যাজ্ঞ এই বিজ্ঞানী ২৩ নভেম্বর, ১৯৩৭ সালে ৭৮ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর স্মরণে চাঁদের একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের নামকরণ করা হয়েছে ‘বোস ক্রাটার’ (Bose Crater) নামে। বোস ক্রাটার-এর ব্যাস প্রায় ৯১ কিলোমিটার।
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ