হেলাল আহমেদ
তরুণদের ভাবনায় বিজয় দিবস (দ্বিতীয় পর্ব)
প্রতিকৃতি: আইনিউজ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ তরুণদেরই স্বপ্ন এবং সাহসিকতার ফসল। তরুণরা সক্রিয় ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সহজ হয়েছে। বিজয়ের পর স্বাধীন দেশের অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ, বিজয়ের সূবর্ণ জয়ন্তিকে সামনে রেখে পূরণ হয়েছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
কিন্তু বিজয়ের এতবছর পরেও কি আমরা মুক্ত হয়েছি বিভিন্ন বৈষম্য থেকে? এ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিমত নিয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রতিবেদন তোলে ধরছেন আইনিউজের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি খালেদুল হক।
এ দিবস আত্মোপলব্ধি করার জি এম মহিউদ্দিন জুনাইদ শিক্ষার্থী,আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। কায়রো,মিশর
দীর্ঘ প্রায় আড়াইশ’ বছর ইংরেজ শাসনের অবসানের পর ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। সৃষ্টি হয় নতুন দুই ভূখণ্ড; যার একটি ভারত দ্বিতীয়টি পাকিস্তান। দুঃখজনক হলেও সত্য- যে সাম্য, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হলো ভারতীয় উপমহাদেশের দু’টি ভূখণ্ড। সেখানে পাকিস্তানের উভয় ভূখণ্ডে পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচার নির্যাতন থেকে পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ মুক্ত হতে পারেনি।
বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জোরালো সংগ্রামে ভীতু হানাদাররা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর শুরু করে কামানের গোলাবর্ষণ। নিরস্ত্র বাঙালী অতর্কিত আক্রমণে দিশেহারা প্রায়। মুক্তির লক্ষ্যে শুরু হয় বীর বাঙালীর মুক্তি সংগ্রাম।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অসংখ্য প্রাণের আত্মদান, অত্যাচার-নির্যাতন ও কারাভোগের মাধ্যমে অবশেষে অর্জিত হয় কাঙ্খিত স্বাধীনতা। আজকের বিজয় দিবস, ১৬ ডিসেম্বর- দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফসল।
গৌরবের এই ইতিহাস আমাদের আছে, তারপরও ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান, লুটপাটতন্ত্র আর চৌর্য্যবৃত্তি, ধর্মীয় সংকীর্ণতার উত্থান, সামাজিক অসাম্য আর অগণতান্ত্রিকতা আমাদের সব অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
যে লক্ষ্য ও আদর্শকে সামনে রেখে আমদের এই রক্তে কেনা স্বাধীন দেশের পথ চলা শুরু হয়েছিল, তা থেকে আমরা সরে দাঁড়াচ্ছি কি না, এ প্রশ্নও আজ দেখা দিয়েছে। তাই আমাদের এ সমস্ত অভিযোগ থেকে বেরিয়ে এসে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানের শপথ নিতে হবে আজই।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরিপূর্ণ বিজয় লাভ করে বাঙালী জাতি। সেদিন অত্যাচারী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বীর বাঙালীর আত্মত্যাগের কাছে পরজয় বরণ করে বশ্যতা স্বীকার করেছিল।
এ দিবস শুধুই উদযাপনের নয়; তা হৃদয় দিয়ে আত্মোপলব্ধি করার। বিজয় দিবস নিয়ে রয়েছে ইসলামের ভাবনা। ইসলাম বিজয় দিবস উদযাপনের বিরোধী নয়। বরং দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বিজয় উদযাপন উপলক্ষে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করাই ইসলামের নির্দেশ।
তাছাড়া দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। আর দেশপ্রেমের সঙ্গে স্বাধীনতা ও বিজয় এক সুতোঁয় গাঁথা। এ আনন্দ উদযাপন ও-সিম্পোজিয়াম ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। বরং ইতিহাস বিকৃত না করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এ দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা জরুরি।
পাশাপাশি দেশের বিজয়ের জন্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে আত্মদানকারী সব শহিদদের স্মরণ ও দোয়া মুনাজাত করা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ঈমানের একান্ত দাবী।
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ