মো. আজিজুল ইসলাম
বাঙালির বিজয়ের ৪৯ বছর
বিজয়ের ৪৯ বছর
১৯৭১ সাথে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে বিজয় অর্জন করে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
আমাদের বিজয় একদিনে আসেনি, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো প্রাণের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার জন্য যারা তাদের জীবন বির্সজন দিয়েছে তাদেরকে জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্বাধীনতা দিবস থাকলেও বিজয় দিবস নেই। বাংলাদেশ এই সৌভাগ্যের অধিকারী দেশ। ১৯৪৭ সালে ইংল্যান্ড থেকে মুক্তি পেয়ে ধর্মের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তান ( বর্তমান পাকিস্তান) নিয়ে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র গঠিত হয়।
মুক্তির আশায় নতুন রাষ্ট্র গঠিত হলেও ফল হয় তার বিপরীত। শুরু হয় নতুন করে শোষণ, নির্যাতন। এই শোষণের হাত থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন, সংগ্রামে ফেটে পড়ে। দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের পর রণাঙ্গনে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করে।
আজ আমাদের স্বাধীনতার ৪৯ বছর। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এটি খুব বেশি সময় না হলেও একটি জাতির অগ্রগতির জন্য একবারে কম সময় নয়। কিন্তু প্রশ্ন আসে,যে লক্ষ্য আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে?
স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল সব ধরনের অধীনতা থেকে মুক্তি এবং সমাজে গণতন্ত্র, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা। সব নাগরিকের মৌলিক চাহিদা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বাহাত্তরের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আমরা সেখানে পারি নি।
একদলীয় শাসন কিংবা সামরিক শাসন বারবার আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়। ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় ব্যবস্থাকে সংহত রাখা সম্ভব হয় নি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা,ধর্মীয় উগ্রতা, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি, ধর্ষণ নিপীড়ন উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করে।
নানাবিধ বাধার মধ্যে দিয়েও বাংলাদেশ সরকার তার দক্ষতার সাথে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট, মেট্রোরেল প্রকল্প সহ আরও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প। যা বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নে রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করে।
মো. আজিজুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ