শ্যামলাল গোঁসাই
আপডেট: ১৭:১০, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
যে দশ গুণে গুণান্বিত বাঙালি নারী
ছবি: অনলাইন
গরবিনী আবেগী, স্বাধীনচেতা
গরবিনী, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা– এই তিনটি বিশেষণই পাওয়া যাবে একটি বাঙালি নারীর মধ্যে। আবেগ যেমন দ্রুত স্পর্শ করে তাঁদের, তেমনি স্বাধীনতার প্রশ্নেও তাঁরা সত্যিকার অর্থে অনড়৷ তবে এটাও বলতে হবে নিজের কোনোকিছু নিয়ে অহংকারবোধটাও তাঁদের আছে বটে। তবে এই অহংকারকেও ছাপিয়ে যায় বাঙালি নারীর ধৈর্য শক্তি।
শাড়িতে বাঙালি ললনা
চলমান আধুনিক সময়ে এসে আধুনিক অনেক পোশাক পরিধানের প্রবণতা বাড়লেও শাড়িতে বাঙালি নারীর যে সৌন্দর্য ধরা পড়ে তা অন্য পোশাকে হয় না। বাঙালি নারীর সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শাড়ি৷
শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে দারুণ ভাবে৷ বাঙালি নারীদের শাড়ি পরায় রয়েছে ভিন্নতা।
উৎসব প্রেমী
ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন৷ নববর্ষ, ঈদ কিংবা দুর্গা পূজা – সব উৎসবই যেন বাঙালি নারীর জন্য তৈরি৷ আর প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে এবং সেই উৎসবের উপযুক্ত রান্নায় পারদর্শী তাঁরা৷
একারণেই হয়তো কেউ কেউ বলে থাকেন- বঙ্গতদেশীয় নারী লাজুক প্রকৃতির হলেও যে কোনো উপলক্ষ্যেই প্রাণ খোলা হাসি উপচে পড়ে তাঁদের৷
'নো ডায়েট'
বাঙালি নারী ‘ডায়েট’ করছেন, এমনটা বেশ বিরল৷ তাই খাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা বেশ উদার৷ কথায় বলে না, মাছে-ভাতে বাঙালি? অবশ্য মাছ-ভাতের পাশাপাশি ফুসকা কিংবা চটপটি পেলে তো আর কথাই নেই৷ আসলে টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, এমনকি তেতোও পছন্দ এই নারীদের৷
সেরা রাঁধুনি
দেশনেত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে পাড়া গাঁয়ের সাধারণ নারীর হাতে রয়েছে রসনাই এর জাদু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ সামলানোর কঠিন দায়িত্ব পালনের মাঝেও রান্না ঘরে যেতে ভোলেন না তিনি৷ এদিকে আমাদের পরিবার-পরিজনদের তিনবেলা রান্নার কাজটিও আমাদের ঘরের অন্নপূর্ণাই করে থাকেন।
অল্পতেই সন্তুষ্ট
বাঙালি মেয়েদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা কি খুব কঠিন? না৷ সকলেই জানেন যে, কাজটা সহজই৷ একটি লাল গোলাপ পেলে কিংবা প্রিয় রেস্তোরাঁয় নিয়ে গেলেই তাঁরা সন্তুষ্ট৷ ডয়চে ভেলের পাঠক রন্জু খালেদের মতে, বাঙালি নারীর মধ্যে ‘একইসাথে দৃঢ়তা ও নমনীয়তা এবং প্রজাপতির চপলতা’ রয়েছে৷
কাজল কালো চোখ
জীবনানন্দ দাসের ‘বনলতা সেন’ কিংবা রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ – বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখের প্রশংসা পাবেন অনেক কবির কবিতাতেই৷ সত্যি বলতে কি, বাঙালি নারীর চোখ পুরুষকে টানে সবচেয়ে বেশি৷
বাকপটু
বাংলাদেশের কিংবা ভারতের মেয়েরা চুপ করে বসে আছেন – এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন৷ তাঁরা কথা বলতে ভালোবাসেন৷ রান্না থেকে রাজনীতি – সব বিষয়েই একটা মতামত আছে তাঁদের৷ ডয়চে ভেলের পাঠক জিএনএস নয়নের কথায়, ‘‘নারী পুরুষের যে কোনো কষ্ট অতি সহজে ভুলিয়ে দিতে পারে৷ এই গুণই আমাকে মুগ্ধ করে, আবার সাথে অবাকও করে৷’’
নারীবাদী
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী৷ বিতর্কিত বাঙালি লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁদের অনেকেরই প্রিয়৷ নাসরিনের ‘আমার মেয়েবেলা’ পড়েনি এমন নারী পাওয়া মুশকিল৷
ভ্রমণপ্রিয়
বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি নারীর গুণ কি আর অল্পতে জানানো যায়, বলুন? কিছু গুণ না হয় অজানাই থাক৷ তবে একটির কথা বলে শেষ করি, বাঙালি মেয়েরা কিন্তু ঘুরতে খুব ভালোবাসেন৷
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ