সীমান্ত দাস
আপডেট: ১৪:৩৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২১
আরে মিয়া দফা তো একটাই, একটু ঘুরাইয়া ছয় দফা কইলাম: বঙ্গবন্ধু
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ছয় দফা পেশ করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। (ছবি: সংগৃহীত)
জুন মাসের সাত তারিখ, দিনটি অন্যান্য দিনগুলোর মতো মনে হলেও এটি বাঙালিদের এক স্মরণীয় দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে এদিনটি গুরুত্বপূর্ণভাবে জড়িত। ৭ জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস।বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অনন্য একটি দিন। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফা ধীরে ধীরে বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করে। রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ৬ দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
তৎকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু সবার প্রাণে সাড়া জাগালেও, এটি যেনো শুরু হয়েছিলো ছয় দফা আন্দোলন থেকেই। এ বিষয়ে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তার লেখায় বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা হচ্ছে বাঙালির ম্যাগনা কার্টা। কিন্তু ছয় দফার ভূমিকা ছিল ম্যাগনা কার্টার চেয়ে অনেক বিশাল। ম্যাগনা কার্টা ইংল্যান্ডে রাজাদের স্বৈরশাসন বন্ধ করেছিল। আর ছয় দফা বাংলাদেশে পাকিস্তানের সামরিক ও স্বৈরশাসকদের অত্যাচার নিবারণ, পাকিস্তানি বিগ বিজনেসের বাংলাদেশের রক্ত শোষণ বন্ধ করা এবং নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি-রাষ্ট্রের উত্থানের পথ তৈরি করেছিল। ছয় দফার আন্দোলনই শেখ মুজিবকে বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতায় পরিণত করে। তিনি হন বঙ্গবন্ধু।
দিবসটির তাৎপর্য বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ছয় দফা জনগণের সামনে বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক ছয় দফা বাঙালির মুক্তির পথ দেখিয়েছে, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই লক্ষে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। বাঙালির মানস পরীক্ষা করতে ৬ দফার বীজ বপন করেছিলেন। ৬ দফাই স্বাধীনতার অভিযাত্রা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপরেখা ছিল ৬ দফা।তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফাই মূলত আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।
ছয় দফার উৎস
পাকিস্তানি জোঁকদের শোষণে রক্তশূন্য হয়ে পড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জাতির তখন মৃতপ্রায়, ঠিক এমন একটি সময় বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। দলের গণ্ডি পেরিয়ে পূর্ব-বাংলার গণমানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়ে গেছেন তিনি ততদিনে। তাই শেখ মুজিব যখন পরাহত বাঙালিকে প্রাণের বাণী শোনালেন, দেশজুড়ে সাড়া পড়ে গেলো, জেগে উঠতে শুরু করলো আশাহত জাতি। এক চিরন্তন মুক্তির আশায় বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে লুফে নিলো আমাদের পূর্বপুরুষরা।
ছয় দফাকে বাঙালির স্বাধীনতার ভিত্তি বলে অভিহিত করা হয়। আপামর জনগণকে নাড়া দিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত এই দাবিগুলো। প্রতিটি বাঙালি ধারণ করেছে যে, এই দাবিগুলো আদায় করা প্রয়োজন। আর দাবিগুলো ছিল এমন যে, এসব দাবি পূরণ করার জন্য আসলে স্বাধীনতা প্রয়োজন। এ কারণে ছয় দফা ঘোষণার পর যেভাবে বাঙালি জাতি জেগে উঠতে শুরু করে, তা আগে কখনো দেখা যায়নি। আর এই জাগরণের কারণেই ১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় একচেটিয়াভাবে ভোট দেয় জনতা।
ঢাকার ইডেন হোটেলে ছয় দফার মঞ্চ থেকে জনগণের কাছে ৬ দফা ব্যাখ্যা করছেন বঙ্গবন্ধু, ২০ মার্চ ১৯৬৬।
আসল দফা একটাই: স্বাধীনতা
আসলে এই ছয়টি দফার মধ্যে কোথাও সরাসরি স্বাধীনতা শব্দটি না থাকলেও, প্রতিটি মানুষ বুঝে গিয়েছিল যে, বন্দুকের নলের মুখে স্বাধীনতার পথে যাত্রা শুরু হয়েছে, ছয় দফার অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে মুক্তি অর্জন করতেই হবে। ফলে ৭০-এর নির্বাচনে জিতে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরাসরি স্বাধীনতার পথে ধাবিত হয় বাঙালি জাতি।
বঙ্গবন্ধু নিজেও একাধিক স্থানে ছয় দফার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি একে অফিসিয়ালি ছয় দফা হিসেবে ঘোষণা করলেও, নিজে এই দফাকে এক দফা হিসেবেই বিশ্বাস করতেন। আর সেই এক দফাটি হলো- স্বাধীনতা অর্জন।
বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পর পূর্ব-পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি এই যে ৬ দফা দিলেন, তার মূল কথাটি কী? আঞ্চলিক ভাষায় এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, ‘আরে মিয়া বুঝলা না, দফা তো একটাই। একটু ঘুরাইয়া কইলাম।’
ছয় দফা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সব্যসাচী সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হককে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার দফা আসলে তিনটা। কতো নেছো (নিয়েছ), কতো দেবা (দিবে), কবে যাবা?’ বঙ্গবন্ধু এখানেও কিন্তু ওই এক দফার কথাই বলেছেন। পাকিস্তানিরা বাংলার কতো অর্থ শোষণ করেছে, সেখান থেকে কতো ফেরত দেবে, তারপর কবে বাংলা ছেড়ে চলে যাবে। তার মানে, বাঙালির স্বাধীনতা।
ছয় দফা আন্দোলন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬ দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ৬ দফাকে স্থান দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ উপেক্ষা করে ৬ দফার প্রতি আয়োজকপক্ষ গুরুত্ব না দিয়ে তা প্রত্যাখান করে। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ওই সম্মেলনে আর যোগ দেননি। তবে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬ দফা উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু।
এরমধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা তকমা দিয়ে সংবাদ ছাপানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে ১৩ মার্চ ৬ দফা এবং দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি দলের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।
৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় আওয়ামী লীগের আন্দোলন। হরতালও ডাকা হয়। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।
ক্রমেই ৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন তৈরি হয়। জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়।
৬ দফাভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। সর্বোপরি ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের একচেটিয়া রায় প্রদান করেন। জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
৬ দফার মূল বক্তব্য ছিল - প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক ও সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
কি ছিলো সেই ছয় দফায়?
মূলত দুই ধরনের দাবি ছিল বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা কর্মসূচিতে। একটি হলো- রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কিত, অন্যটি অর্থনৈতিক। ছয় দফার প্রথম দুই দফা হলো রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাঠামো বিষয়ক; বাকি চার দফা অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত।
ছয় দফাকে প্রয়োজনের অস্ত্রের ভাষায় মোকাবেলার হুমকি দিয়েছিলেন সামরিক শাসক আইয়ুব খান।
রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কিত বিষয় দুটি হলো:
- (১) পাকিস্তানের এককেন্দ্রীক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে ফেডারেল রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করা।
- (২) কেন্দ্রীয় সরকারের এখতিয়ারে কেবল প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রীয় বিষয় থাকবে। অবশিষ্ট সব বিষয়ে শতভাগ নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রদেশগুলির হাতে।
অর্থনীতি সম্পর্কিত বিষয় চারটি হলো:
- (৩) প্রতিটি স্বতন্ত্র প্রদেশের জন্য পৃথক ও অবাধে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা চালু। কিংবা, যদি একক মুদ্রা ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রে এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে মুদ্রা পাচার রোধ করার উপায় থাকতে হবে।
- (৪) রাজস্ব আদায় ও বণ্টনের মূল দায়িত্ব থাকবে প্রদেশের হাতে।
- (৫) প্রতিটি প্রদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে থাকবে।
- (৬) প্রতিটি প্রদেশকে নিজস্ব মিলিশিয়া বাহিনী থাকবে।
ছয় দফাই একত্রিত করে বাঙালিকে
মূলত, ছয় দফা কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘এক দেশ, এক অর্থনীতি-ভিত্তিক অর্থনৈতিক’ কাঠামোকে ‘দুই অর্থনীতি-ভিত্তিক অর্থনৈতিক’ কাঠামোতে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে পূর্ব বাংলার বাঙালিদের চূড়ান্ত রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায় এই দাবিগুলো। এর প্রসারের মাধমে এই উপমহাদের ‘দ্বি-জাতি তত্ত্বের’ মৃত্যু পর্যবেক্ষণ করে, এবং দ্বি-অর্থনীতি ভিত্তিক তত্ত্বের উন্মেষ দেখে।
বঙ্গবন্ধু জানতেন, স্বাধীনতা ছাড়া এসব লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। ষাটের দশকের গোড়ার দিকে তৎকালীন নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মণি সিং এবং খোকা রায়ের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন বঙ্গবন্ধু, তখন তার ভাবনায় ছিল কেবল একটি ধারণা। আর তা হলো- পূর্ব বাংলার বাঙালির স্বাধীনতা। সেই বৈঠকে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘গণতন্ত্র-স্বায়ত্তশাসন এসব কোনো কিছুই পাঞ্জাবিরা দেবে না। কাজেই স্বাধীনতা ছাড়া বাংলার মুক্তি নাই। স্বাধীনতাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য।’ এবং সেই হিসেবেই, তিনি ছয় দফা নিয়ে গ্রাম বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে প্রান্তরে ছুটেছেন। চূড়ান্ত মুক্তির জন্য জাগ্রত করেছেন চেতনা, প্রস্তুত করে তুলেছেন জনগণকে।
আইনিউজ/এসডি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ