Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১২ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৯ ১৪৩১

পাভেল পার্থ

প্রকাশিত: ০০:০১, ৯ আগস্ট ২০২১
আপডেট: ২১:০১, ১৬ আগস্ট ২০২১

কাউকে পেছনে ফেলে নয়, কীভাবে সম্ভব?

প্রতি বছর ৯ আগস্ট বৈশ্বিকভাবে পালিত হয় আদিবাসী দিবস। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম জাতিসংঘ ঘোষিত এ বছরের প্রতিপাদ্যের বাংলা করেছে, ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়, আদিবাসী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকারের আহবান’। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার মূল সুর এবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্যে। ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’। করোনা মহামারিকালে জাতিসংঘ স্বীকার করলো ‘আদিবাসী জনগণ’ পিছিয়ে আছে।

বলা ভাল পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এর সাথে ক্ষমতা, উপনিবেশ, বৈষম্য বাহাদুরি, অধিপতি মনস্তত্ত্ব, বর্ণবাদ, দখল, বাণিজ্য, লুটতরাজ, বিস্মৃতি নানাকিছু নিদারুণভাবেই জড়িত। এখন পিছিয়ে থাকা বা পিছিয়ে রাখা জনগণকে উন্নয়নের ময়দানে এক কাতারে আনতে হলে কী দরকার?

সংকট ও প্রান্তিকতার ধরণ জানাবোঝা জরুরি, রাজনীতি ও ক্ষমতার গণিতকে প্রশ্ন করা জরুরি, স্বীকৃতি ও মর্যাদার সংহতির সংস্কৃতি বিকশিত করা জরুরি। আর এসব কিছুই হয়তো ‘নতুন সামাজিক অঙ্গীকারের প্রসঙ্গ’। এই সামাজিক অঙ্গীকার কার দায়, কার দায়িত্ব? ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সকলকেই এই সামাজিক অঙ্গীকার পূরণে সক্রিয় হতে হবে। সাহসী, সৃজনশীল ও সংবেদনশীল হতে হবে। কাউকে পেছনে না রেখে এগিয়ে যাওয়ার যে বিশ্ববীক্ষা আজ ঘোষিত হয়েছে, সেখানে মানুষ কোনো সংখ্যা নয়, এক জীবন্ত ঐতিহাসিক প্রাণসত্তা। আদিবাসীসহ সকল মানুষের এই মানবিক মর্যাদা ও সম্মানের স্বীকৃতিই আজকের ‘নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’।

একটা সহজ উদাহরণে যাওয়া যাক, দেশে অনেক ধর্মবিশ্বাস প্রচলিত আছে। প্রতিষ্ঠিত প্রবল ধর্মবিশ্বাসীরা নানা সময়ে তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত এসেছে বলে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু প্রান্তিক ধর্মবিশ্বাসীরা তা কখনো পারেন না। কারণ অধিপতি ব্যবস্থায় সেসব ‘ধর্মদর্শন’ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত নয়। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, ক্যাং উপাসনালয়ে কোনো হামলা হলে তুমুল প্রতিবাদ হয়। কিন্তু যখন হরহামেশা একটি কারাম গাছ, বটগাছ, নাগেশ্বর, বনাক গাছ কেটে ফেলা হয় বা কোনো মিদ্দিআসং বা জাহেরথান চুরমার করে দেয়া হয় তখন কী কোনো প্রতিবাদ হয়?

এইসব বৃক্ষ বা পবিত্রস্থলও কিন্তু কোনো না কোনো মানুষের ধর্মীয় উপাসনালয়। আমরা খুব সহজে যাদের ‘প্রকৃতি পূজা’ বলে দেই। তাহলে যিনি কারাম বৃক্ষ উপাসনা করেন তিনি পেছন থেকে সামনে কীভাবে আসবেন? কারাম গাছকে ফেলে রেখে না সাথে নিয়ে? মিদ্দিআসং যার উপাসনালয় তিনি কীভাবে উন্নয়নের ময়দানে দাঁড়াবেন? মিদ্দিআসং গুঁড়িয়ে নাকি একে সুরক্ষিত রেখে? কিংবা ধরা যাক চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো জনগণ জুমে ডেংপ্লি ধান আবাদ করেন বা নেত্রকোণায় হাজংরা হাতিবান্ধা ধান, এখন নিজস্ব উৎপাদন রীতি আর প্রাণসম্পদ ফেলে কী তাদের পক্ষে পেছন থেকে সামনে আসা সম্ভব? ইনাফি, দকমান্দা, পাজন, লেবা, চু, খারি, গপ্পা এরকম নিজস্ব বস্ত্রবয়ন কী রন্ধনসংস্কৃতি নিয়েই তো একজন আদিবাসী মানুষকে সামনে আসতে হবে।

চলতি আলাপে আমরা চলমান কিছু ঘটনার উল্লেখ করবো, বোঝার চেষ্টা করবো কী এমন সামাজিক অঙ্গীকারের ভেতর দিয়ে এসব ঘটনায় আদিবাসীরা পেছনে থাকবেন না। তারা উন্নয়নের ময়দানে স্বতন্ত্র স্বত্তা আর আত্মপরিচয় নিয়ে গর্বের সাথে এক কাতারে দাঁড়াবেন। পেছন থেকে সামনে আসা নিশ্চয়ই কেবল ‘শারিরীক’ উপস্থিতি নয়, একজন মানুষ তার ঐতিহাসিকতা, স্মৃতি, আত্মপরিচয়, উৎপাদন সম্পর্ক, সংষ্কৃতি সব নিয়েই তো একজন মানুষ। পেছন থেকে সামনে আসতে গেলে এসব পরিচয় আর চিহ্ন নিয়েই তো তাকে সামনে আসতে হবে। তা না হলে মানুষ হিসেবে কেবল একটি সংখ্যা সামনে আসতে পারে, জীবন নয়।

মাংরুদাম ও সাংসারেক মান্দি

মান্দি বা গারোদের ভাষায় ‘মাংরুদাম’ মানে শ্মশান। টাঙ্গাইলের মধুপুর ক্ষয়িষ্ণু শালবনের তিন হেক্টর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে আরবোরেটাম উদ্ভিদ উদ্যান। প্রাকৃতিক বনের ভেতর বনবিভাগ আবারো চারদিকে ইটের দেয়াল ও ব্যারাক নির্মাণ করছে। আরবোরেটামের জায়গায় রয়েছে আদি সাংসারেক ধর্মবিশ্বাসী মান্দি বা গারোদের একটি প্রাচীন মাংরুদাম। ক্যাজাই গ্রামের কানচ নকরেকের বাবা রামমোহন চিরান, জলইয়ের রজনী হাগিদকের মা রেংজি হাগিদক, রাজাবাগির নিরলা চিরানের দাদু মংলা চিচাম ও দাদি জিজি চিরান, গায়রার অনতি নকরেকের বাবা থিনেন্দ্র সিমসাং এমন সহস্র পূর্বজন ঘুমিয়ে আছেন এই মাংরুদামের তলায়।

মলাজানির চিজিং জেংচাম ছিলেন হাবিমার (মধুপুরকে মান্দিরা বলে হাবিমা মানে মায়ের মাটি) বড় খামাল (পুরোহিত)। চিজিংয়ের শিষ্য সাইন্যামারীর খামাল তুষান মৃ, বাঙালিরা ডাকতো সুলতান কবিরাজ। একদিন টেলকি মাংরুদামের কাছে তার পথ আটকে ছিল বিশাল সব তিথেং আর গেনালেরা। মুখে ফেনা নিয়ে একদিন বেঁহুশ পড়েছিলেন বিশাল এক আজুগি গাছের তলায়। মাংরুদাম থেকে ফেরার পর বাড়িতে নারীরা রাও (এক ধরনের লাউপাত্র) থেকে চু (ঐতিহ্যগত পানীয়) ঢেলে ‘সামরাংগালা’ কৃত্য করতেন। আর সুর টেনে টেনে আত্মাকে বলতেন, ‘কোনো সকশ শয়তান যেন বাড়িতে না আসে, আমরা সবকিছু যমকে মাংরুদামে দিয়ে এসেছি’। মৃতের স্মরণে মাংরুদামে স্থাপিত হতো নানা মাপের ও নকশার স্মৃতিস্মারক ‘খিমা’।

প্রতিটি মাংরুদাম ঘিরে এমন শত সহস্র আখ্যান মিশে আছে মধুপুর শালবনে। অবশ্যই আরবোরেটাম দরকার, কিন্তু মাংরুদাম কী দরকার নেই? একজন সাংসারেক মান্দি তাহলে তার সহস্রদিনের মাংরুদাম সংস্কৃতি ছিন্ন করে কীভাবে পেছন থেকে সামনে আসবেন? 

ছয়ানিপাড়ার রাখাইন ও পায়রা বন্দর

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নে ছয়ানি রাখাইনপাড়ার কাছে ইটবাড়িয়ায় রাবনাবাদ চ্যানেলসংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে গড়ে ওঠেছে  বাংলাদেশের তৃতীয় ও দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর পায়রা। ২০১৩ সনের ১৯ নভেম্বর এর ভিত্তিফলক স্থাপিত হয়, ২০১৬ সনের ১৩ আগস্ট বন্দরটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ৫ নভেম্বর পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৩ অনুমোদিত হয়। পায়রা সমুদ্রবন্দর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ছয়ানিপাড়ার রাখাইনদের কৃষিজমি তাদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও অধিগ্রহণ করেছে।

টিয়াখালী ইউনিয়নের ছয়ানিপাড়াটি গড়ে ওঠে খৃষ্টীয় ১৭৬০ সনের দিকে। পৌও মাতবর যখন ছয়ানিপাড়ার প্রধান ছিলেন তখন এখানে ৬৫ পরিবার রাখাইন ছিলেন। ২০১৭ সনের মার্চে দেখা যায় ১০ পরিবারে ৩০ জন মানুষ। আর পায়রা বন্দর নির্মাণ কাজ শুরুর পর এখন আছেন মাত্র ৮ পরিবার। অবশ্যই আমাদের পায়রা বন্দর দরকার, কিন্তু ছয়ানিপাড়ার রাখাইনদের এক ৩০০ বছরের প্রাচীন গ্রামের চিহ্ন মুছে কীভাবে পেছন থেকে উন্নয়নের সামনের ময়দানে দাঁড়ানো সম্ভব? 

চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো সভ্যতা

বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়। চিমবক ম্রোর নামে পরিচিতি পেয়েছে এই পাহাড়। যদিও ম্রো আদিবাসীদের কাছে পাহাড়টির নাম ইয়াংবংহুং। চিম্বুকের কাছেই আরেক পাহাড়ের ম্রো নাম শোংনামহুং। মারমা ভাষায় নাইতং। বাঙালিরা এখন এই পাহাড়ের নাম দিয়েছে ‘চন্দ্রপাহাড়’। আর এই পাহাড়েই বিলাসবহুল পাঁচতারকা মার্কিন ম্যারিয়ট হোটেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে চিম্বুক পাহাড়ে জনমনে আশংকা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বান্দরবান জেলা পরিষদের ভাষ্য, পর্যটনের জন্য শোংনাম বা নাইতং পাহাড়ের ২০ একর ভূমি ৪০ বছরের জন্য লীজ দেয়া হয়েছে। যদিও ২০১২ সনে এই ভূমি লীজ বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল আঞ্চলিক পরিষদ। এই বিলাসী উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে গেলে কাপ্রুপাড়া, কলাইপাড়া, এরা পাড়া, দলা পাড়া ম্রো গ্রামগুলি নিরুদ্দেশ হবে।

আশংকা, ভবিষ্যতে ম্রোদের ১১৬টি পাড়ার প্রায় ১০ হাজার মানুষ সংকটে পড়বে এবং বিপন্ন হয়ে ওঠবে হাজার একর পাহাড়ি বাস্তুসংস্থান। ৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে ম্যারিয়ট হোটেল বন্ধ এবং জীবন-জীবিকা সুরক্ষার দাবিতে বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কে প্লুং বাঁশী বাজিয়ে ‘কালচারালাল শোডাউন’ করেছে ম্রোরা। এই ধরণের করপোরেট বাহাদুরি সামলে চিম্বুক পাহাড়র ম্রোরা কিভাবে পেছন থেকে সামনে আসবেন? 

শঙ্কিত পানপুঞ্জি

খাসি, মান্দি, কোচ, লেঙাম জনগোষ্ঠীর মতো খুব কম মাতৃসূত্রীয় সমাজ আজ টিকে আছে পৃথিবীতে। সিলেট বিভাগের পাহাড়িটিলায় নিজেদের গ্রামকে খাসিরা বলেন ‘পুঞ্জি’ । হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় কিছু পানপুঞ্জি থাকলেও মৌলভীবাজার জেলায় পানপুঞ্জি আছে প্রায় ৭৩টি। এর ভেতর কুলাউড়ায় ৩০টি, বড়লেখা ১৯টি, শ্রীমঙ্গলে ১২টি, কমলগঞ্জে ৬টি, জুড়িতে ৪টি ও রাজনগরে ২টি।

খাসিদের পাশাপাশি এসব পানপুঞ্জির বাসিন্দা মান্দি, লালেং (পাত্র) ও কিছু বাঙালি পরিবার। সিলেট বিভাগের আদি পানপুঞ্জি গুলো আর আগের মতো টিকে থাকতে পারছে না। মূলত চাবাগান থেকে উপ-ইজারা নেয়া এসব পানপুঞ্জির প্রাচীন গাছ ও পানজুম কেটে পুঞ্জিবাসীদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বহাল রেখেছে চাবাগান কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি কুলাউড়া ও বড়লেখার বনাখলা, আগার ও কাঁকড়াছড়া পানপুঞ্জি গুলোতে আবারো নির্বিচার গাছ কাটা, পানজুম ধ্বংস এবং জবরদখলের নিদারুণ ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রশাসন একটি পুঞ্জি জবরদখলমুক্ত করে খাসিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও পানপুঞ্জিতে বহিরাগত হামলা ও গাছ কাটা থামেনি। সিলেট বিভাগের পানপুঞ্জিগুলো এমনি এক উচ্ছেদ শংকায় আছে সবসময়। কারণ আমরা নির্মমভাবে উচ্ছেদ হতে দেখেছি হবিগঞ্জের বৈরাগী, শীতলাপুঞ্জি থেকে শুরু করে শ্রীমঙ্গলের জানকীছড়া ও জোলেখা পুঞ্জি। পানপুঞ্জিগুলো কেবল পান ও ফলফলাদি উৎপাদন করে না, স্থানীয় বাস্তুসংস্থান ও  পরিবেশ সংরক্ষণে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

চা বাগান সম্প্রসারণ কিংবা বহিরাগত বাঙালির জবরদখল যদি না থামে তাহলে কীভাবে খাসি জনগোষ্ঠী পেছন থেকে উন্নয়নের সামনের ময়দানে এক তালে এক লয়ে মিলবেন?

কীভাবে সম্ভব?

বাংলাদেশের চারটি অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন চারটি উন্নয়ন প্রসঙ্গ এখানে টানা হলো। উত্তরাঞ্চল কী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বা দেশের অন্যান্য আদিবাসী অঞ্চলের প্রসঙ্গও টানা যেত। প্রবল মতাদর্শ আর বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বারবার নানাভাবে আদিবাসী জীবনকে পিছন থেকে আরো পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। এই প্রান্তিকতার খাদ থেকে যদি আদিবাসীদের সামনে আসতে হয় বা রাষ্ট্র যদি আনার উদ্যোগ নেয় তাহলে অবশ্যই আদিবাসী জীবনের স্মৃতি, সংস্কৃতি, উৎপাদন, প্রাণসম্পদ, জ্ঞানপ্রবাহ, আত্মপরিচয় সবকিছুর স্বীকৃতি ও সুরক্ষা জরুরি।

আদিবাসী জীবন যদি সুরক্ষিত আর নিরাপদ থাকে তাহলেই কেবল কেউ পিছনে থাকবে না, সবাই সমাজ রূপান্তরের এক এক উজ্জ্বল আলোকশিখা হয়ে বাংলাদেশকে আরো গর্বিত করে তুলবে। সম্মান, মর্যাদা আর স্বীকৃতির সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমেই কেবল এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।

পাভেল পার্থ, লেখক ও গবেষক

  • খোলা জানালা বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। eyenews.news-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে eyenews.news আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়