আইনিউজ ডেস্ক
রাঙ্গা চোর থেকে ভয়ানক এরশাদ শিকদার হয়ে উঠার গল্প
বহু হত্যাকাণ্ডের দায়ে খুলনা কারাগারে এরশাদ শিকদার নামে এক সন্ত্রাসীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয় ২০০৪ সালের ১০ই মে। তার আগে কয়েক বছর ধরে বেরিয়ে আসছিল তার হত্যা আর নির্যাতনের একের পর এক রোমহর্ষক কাহিনী। বাংলাদেশের সবচাইতে আলোচিত একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন এরশাদ শিকদার। আর খুলনা শহরে তার প্রাসাদোপম বাড়িটি পরিণত মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রস্থল।
বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে আসে তার জীবনের এক একটি মোড় ঘোরানো কাহিনী; তার নিষ্ঠুর সফলতার গল্প।
এরশাদ শিকদারের উত্থান হয়েছিল খুলনা ডকইয়ার্ডের একজন সাধারণ কুলি হিসাবে। পরবর্তীতে সেখানে তিনি ঘাট সর্দার বা কুলিদের সর্দার হয়ে উঠেন।
এরপর ১৯৮২ সালে এইচএম এরশাদের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন খুলনার আরেক এরশাদ শিকদার।
তার বিরুদ্ধে অন্তত ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগ ছিল। অনেককেই তিনি হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে ফেলতেন। ফলে মৃতদেহও পাওয়া যেতো না, কোন মামলাও হতো না।
এরশাদ সরকারের পর বিএনপি, এরপর আওয়ামী লীগ- কখনোই এরশাদ শিকদারের ক্ষমতায় ভাটা পড়েনি।
কিন্তু ১৯৯৯ সালে তার বিরুদ্ধে খুলনার একজন যুবলীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর দান উল্টে যায়। তার বিরুদ্ধে রাজস্বাক্ষী হয় তার নিজের দেহরক্ষী। সেই হত্যার অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
- আরও পড়ুন - ঘূর্ণিঝড়ের কোন সতর্ক সংকেতের কী মানে?
কুলি থেকে এরশাদ শিকদার হয়ে ওঠা
এরশাদ শিকদার ১৯৭৭ সালের দিকে যখন খুলনার ঘাটে কুলি হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন, তখন তার ডাক নাম ছিল 'রাঙ্গা চোর', বিবিসিকে বলছিলেন খুলনার একজন সাংবাদিক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।
'খুলনার জল্লাদ: এরশাদ শিকদার' নামে একটা বই লিখেছেন মি. তৈয়ব। এরশাদ শিকদারের ঘটনাপ্রবাহ সামনে আসার পর থেকে তার ফাঁসি হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে বহু রিপোর্ট করেছেন মি. তৈয়ব। সেই সময় তিনি ঢাকার পত্রিকা মানবজমিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধি এবং স্থানীয় লোকসমাজ পত্রিকার খুলনা ব্যুরো প্রধান হিসাবে কাজ করতেন। এখন তিনি কাজ করেন বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে।
তার বই ও ওইসময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটিতে, ১৯৬৭ সালে তিনি খুলনায় চলে যান। সেখানে রেলস্টেশনে কুলির কাজের পাশাপাশি রেললাইনের পাত চুরি করে বিক্রি করতেন। এই কারণেই তিনি 'রাঙ্গা চোর' হিসাবে পরিচিতি পান।
সেই সময় তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে খুলনা রেল স্টেশন, চার ও পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
আবু তৈয়ব বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''১৯৮২ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতার পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার। তাদের প্রশ্রয়ে এরশাদ শিকদার খুলনার ঘাট দখল করে সাম্রাজ্য তৈরি করতে শুরু করে। সেই সরকারে প্রশ্রয়েই তার উত্থান হতে শুরু করে।''
সেই সময় খুলনার জাহাজের ঘাটে তিন-চার হাজার শ্রমিক করতো। এদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন এরশাদ শিকদার।
জাতীয় পার্টির সভা-সমাবেশে ঘাট থেকে তিনি শ্রমিকদের কর্মী হিসাবে সরবরাহ করতো।
''তাৎক্ষণিকভাবে সে ৩/৪ হাজার মানুষ যোগাড় করে ফেলতে পারতো। এই কারণে রাজনৈতিক দলে তার কদর ছিল। এরশাদ সরকারের সময়েও সে সেটা পেয়েছে, পরে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও সেই সুবিধা পেয়েছে। ফলে সে নিজে তো বটেই, অন্যরাও মনে করতে শুরু করেছিল যে, এরশাদ শিকদার সব আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে,'' আবু তৈয়ব বলছিলেন।
এভাবে রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ক্ষমতার পাশাপাশি বরফকল, শহরে স্বর্ণকমল নামের প্রাসাদোপম বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে এরশাদ শিকার।
''তার অপরাধের কথা সবাই জানতো। কিন্তু কোথাও কোন প্রমাণ থাকতো না। কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস করতো না, কেউ সাক্ষী দিতে চাইতো না। এমনকি সে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলায় মৃতদেহও পাওয়া যেত না,'' বলছিলেন আবু তৈয়ব।
তিনি বলছেন, এরশাদ শিকদারের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশাসন বা পুলিশের লোকজনও সহায়তা করতো।
তার অপরাধের কথা সবাই জানতো, কিন্তু কোন দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যেতো না।
উনিশশো অষ্টাশি সালে খুলনার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারও নির্বাচিত হন এরশাদ শিকদার। ফাঁসীতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন তিনি।
কিন্তু কমিশনার হওয়ার পর তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থামেনি।
রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের অসংখ্য অপরাধে তিনি জড়িয়ে পড়েন।
''তখন খুলনার বিজনেস এলাকা ছিল সাত ও চার নম্বর ঘাট এলাকা। কিন্তু শুধুমাত্র একটা লোকের অত্যাচারে এই ঘাট স্থানান্তরিত হয়ে নোয়াপাড়ায় চলে যায়'' বলছেন আবু তৈয়ব।
সেই সময় এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে যেসব প্রতিবেদন তিনি করেছিলেন, নিরাপত্তার জন্য 'কমল লাল মজুমদার' ছদ্মনামে সেসব প্রতিবেদন লিখতেন তিনি।
এইচএম এরশাদের পতনের পর বিএনপিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার। আবার ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেয়।
নিজের এতো অপরাদের মধ্যেও এরশাদ শিকদারকে গ্রেপ্তার হতে হয়নি।
খুলনার কেন্দ্রস্থলে স্বর্ণকমল নাম একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন এরশাদ শিকদার, যেটিও তার নির্যাতনের অন্যতম কেন্দ্র বলে মনে করা হতো। সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এরশাদ শিকদারের ঘটনাপ্রবাহ সামনে আসার পর এই স্বর্ণকমল নামের বাড়িটি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়।
আজো বহু মানুষ খুলনা গেলে শহরের অভিজাতক এলাকা সোনাডাঙ্গা রোডের এই বাড়িটির সামনে একবার ঢুঁ মারতে ভোলে না।
খালিদ হোসেন হত্যা
এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে ২৪টি হত্যাকাণ্ড করার সাক্ষ্য দিয়েছেন তার দেহরক্ষী। কিন্তু তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এরশাদ শিকদার ৬০টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা।
এসব মৃতদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হতো অথবা ইটের ভাটায় পুড়িয়ে ফেলা হতো।
কিন্তু যুবলীগ নেতা খালিদ হোসেনের হত্যাকাণ্ড তাকে টেনে নিয়ে যায় ফাঁসির কাষ্ঠে।
উনিশশো নিরানব্বই সালের ১১ই অগাস্ট চার নম্বর ঘাট এলাকায় গিয়েছিলেন যুবলীগ নেতা খালিদ হোসেন, ব্যবসায়ী সৈয়দ মনিরসহ চারজন।
তাদের ওপর হামলা করে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে খালিদ হোসেনকে হত্যার পর বস্তায় ভরে সংলগ্ন ভৈরব নদে ফেলে দেয়া হয়।
মৃতদেহের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কারও ফেলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে খালিদ হোসেনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরশাদ শিকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু মামলায় কোন সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছিল না।
খুলনার সাংবাদিক আবু তৈয়ব বলছেন, ''সেই সময় খুলনার কমিশনার ছিলেন আনোয়ারুল ইকবাল। তিনি বললেন, তোমরা এতো অপরাধের কথা লিখছো, কিন্তু আমি তো কোন সাক্ষী পাই না।''
তখন এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এগিয়ে আসেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দেহরক্ষী নূরে আলম।
পুলিশ তদন্তে নেমে একজন আইনজীবীর সহায়তায় আদালতে দায়ের করা আরও তিনটি মামলার সন্ধান পায়
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয় এরশাদ শিকদারকে।
এরপর এরশাদ শিকদারকে গ্রেপ্তারে অভিযাগ শুরু করা হলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
আবু তৈয়ব বলছেন, ''তখনকার আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্বাসে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে আত্মসমপর্ণ করে এরশাদ শিকদার। তার ধারণা ছিল, কিছুদিন পরেই আবার জামিনে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু সেই যে কারাগারে ঢুকলো, এরপর একেবারে ফাঁসির পর লাশ হয়ে তাকে বের হতে হয়েছে।''
বিচার চলার সময় তার নামে ৪৩টি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে সাতটি মামলায় তার ফাঁসি হয়।
নূরে আলমের সাক্ষ্য
এরশাদ শিকদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দেহরক্ষী নূরে আলম তার বিরুদ্ধে আদালতে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, সেখানে উল্লেখ করেছিলেন যে, এরশাদ শিকদারর ২৪টি হত্যাকাণ্ড তিনি দেখেছেন। এর বাইরে সব মিলিয়ে ৬০টি হত্যাকাণ্ড করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
আবু তৈয়ব বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমাদের নিউজ দেখে নূরে আলম আমাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। সে-ই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন আমার মধ্যস্থতায় কেএমপির (খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ) বাইরে একটি স্থানে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা হয়। সেখানেই নূরে আলম সাক্ষ্য দিতে রাজী হয়।''
মি. তৈয়ব বলছেন, "নূরে আলমের স্ত্রী সুন্দরী ছিলেন। তাকে ধর্ষণ করতে শুরু করেছিল এরশাদ শিকদার। এমনকি তার উপস্থিতিতেই শারীরিক নির্যাতন করতো। ভয়ে সেটা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল নূরে আলম। কিন্তু গোপনে সে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে"।
এর পরেই নূরে আলম এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে প্রথমদিকে এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীদের রাজী করানো সহজ ছিল না।
আবু তৈয়ব বলছেন, ''তখন পুলিশ লাইনে সাক্ষীদের এনে ভুরিভোজ করান পুলিশ কমিশনার আনোয়ারুল ইকবাল। এরপর তাদের সামনে এরশাদ শিকদারকে এনে পেটানো হয়। সাক্ষীদের বলা হয়, তোমরাও মারো। এভাবে তার তাদের ভয় ভাঙিয়ে দেয়া হয়। তারপর তারা সাক্ষ্য দিতে রাজী হন।''
- আরও পড়ুন - যাকাত নিয়ে আটটি বিশেষ প্রশ্ন
এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড
দুই হাজার সালের ৩০শে এপ্রিল এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে খুলনার আদালত।
তবে আপিল এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার পর্ব পার হয়ে সেই ফাঁসি কার্যকর হয় ২০০৪ সালের ১০ই মে।
সেই সময় খুলনার কারাগারের কর্মকর্তাদের সহায়তায় একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে প্রবেশ করেছিলেন সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু। বর্তমানে তিনি ডিবিসি নিউজের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জায়েদুল আহসান পিন্টু বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''কারাগারে আমার পরিচিত কর্মকর্তাদের সহায়তায় একজন কর্মীর ছদ্মবেশে আমি কারাগারে ঢুকি। কারণ এরশাদ শিকদারের ফাঁসির ব্যাপারে সারা দেশের মানুষের একটা আগ্রহ ছিল। সেই ঘটনা আমি নিজের চোখে দেখতে চেয়েছিলাম।''
তিনি বলছেন, রাত ১২টা এক মিনিটে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
আবু তৈয়ব বলছেন, এর আগ পর্যন্ত তার ধারণা ছিল, তার হয়ত বা ফাঁসি হবে না। কিন্তু ফাঁসি হবে এটা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
''আমি তো মরে যাবো, চলেই যাবো...'' কথার একটি গান তখন এরশাদ শিকদারের গান বলে পরিচিত হয়ে ওঠে।
জায়েদুল আহসানও জানাচ্ছেন, কারাগারে থাকার সময় এই গানটি এরশাদ শিকদার প্রায়ই গুনগুন করে গাইতেন।
ফাঁসি কার্যকরের পরে কিছুক্ষণের জন্য কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে এরশাদ শিকদারের মৃতদেহ রাখা হয়।
জায়েদুল আহসান পিন্টু বলছেন,''এর কারণ জানতে চাইলে জেলার আমাকে বলেছিলেন, বাইরে অনেক গুজব আছে যে, এরশাদ শিকদারের ফাঁসি হয়নি, তার বদলে অন্য আরেকজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে ইত্যাদি। সেইসব সন্দেহ সংশয় নিরসনের জন্য মৃতদেহ আমরা খানিকক্ষণ গেটের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে সাংবাদিকরা দেখে অন্তত নিশ্চিত হতে পারে।''
এরশাদ শিকদারের গ্রেপ্তারের পর ফাঁসি হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সব সংবাদ মাধ্যমে খুব গুরুত্বের সঙ্গে এসব খবর ছাপানো হতো। সারা দেশেই একটি প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল এরশাদ শিকদার। একজন সন্ত্রাসীর বিচার নিয়ে এতো আলোচনার পেছনে কী কারণ ছিল?
জায়েদুল আহসান পিন্টু বলছেন, ''আশির দশকের শুরুর পর আসলে পারিবারিক বা জমি, নানা হত্যার সাজা হলেও এরশাদ শিকদারের মতো বড়, আলোচিত সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড হয়নি। আবার তার অপরাধ এতো নৃশংস, ভয়াবহ ছিল যেসব সেসব নিয়ে সারা দেশে একটা আলোচনা তৈরি হয়েছিল। তার ফাঁসি হবে, নাকি হবে না, এসব নিয়ে আলোচনা ছিল।''
''ফলে এরশাদ শিকদারের বিচারের প্রতি সারা দেশের মানুষের আগ্রহ ছিল, গণমাধ্যমেরও আগ্রহ ছিল। এই কারণে সেই সময় প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমে এটি গুরুত্বের সঙ্গে ফলোআপ করা হতো। আর যেদিন মৃত্যুদণ্ড হলো, সেদিন সব কাগজের প্রধান শিরোনাম ছিল সেই ফাঁসির খবরটি।''
আইনিউজ/এমজিএম
আইনিউজ ভিডিও
কারুকার্যখচিত ঈদগাহের আলোকসজ্জা
ব্রাহ্মণবাজার : হাজারো মহিষ ওঠে এই বাজারে
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ