হেলাল আহমেদ
আপডেট: ১৪:৫৬, ২ জুলাই ২০২২
অমরজিৎকে বলা যেতে পারে ‘সর্বকণিষ্ঠ’ ভারতীয় সিরিয়াল কিলার
শিশুমন, নিষ্পাপ। কথাটি হরহামেশাই শোনা যায়। বলা যায় শিশুদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ এটি। কিন্তু শিশুমন নিষ্পাপ হবার পাশাপাশি যেদিক খুশি সেদিক টানা যায় বিধায় এই নিষ্পাপ শিশুদের দিয়ে অপরাধ সংঘটিত হবার ঘটনাও নেহাত কম শোনা যায় না পৃথিবীর ইতিহাসে। অমরজিৎও তেমনি এক চরিত্র। যেই চরিত্রে বাস্তব জীবনের অমরজিৎ মাত্র আট বছর বয়সেই বনে যায় ধুরন্ধর এক সিরিয়াল কিলার! খেলার বয়সে যার হাত লাল হয়েছে নিজের বোনে রক্তে।
অমরজিৎকে 'সর্বকণিষ্ঠ' ভারতীয় সিরিয়াল কিলার বলা যেতেই পারে। ওর জন্ম ১৯৯৮ সালে বিহারের বেগুসরাইয়ে। জন্মের পরতার পরিবার মুশাহারিতে চলে যায় ১৯৯৮ সালে বিহারের বেগুসরাইয়ে জন্ম তার। পরে তার পরিবার মুশাহারিতে চলে যায়। অমরজিতের বিরুদ্ধে যখন প্রথম খুনের অভিযোগ ওঠে তখন ওর বয়স মাত্র আট বছর।
২০০৬ ও ২০০৭ সালের মধ্যে তিন শিশুকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল অমরজিৎ। যখন ১০ বছর বয়স, সে সময় নিজের আট মাসের বোনকেই খুন করে ফেলে অমরজৎ। ছ’মাসের এক বোনকেও হত্যা করেছিল দেশের এই কনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার। একটা সময় অমরজিতের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকত বেগুসরাইয়ের মুশাহারি গ্রাম।
পুলিশের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল অমরজিৎ। দেখা গিয়েছে, এক বছরের কম বয়সি শিশুদেরাই ছিলো তার শিকার। কিন্তু এতোগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটলেও অমরজিতকে একবারের জন্যও কেউ বিশ্বাস করেনি। আট বছরের একটা শিশু খুন করবে তাও সিরিয়ালি তা আর কে বিশ্বাস করবে? তাই অমরজিৎ যে একজন তুখোড় হত্যাকরী প্রথমে তা বিশ্বাসই করতে পারেননি পুলিশকর্মীরা। যদিও পরে গ্রামবাসীদের কিন্তু পরে গ্রামবাসীরা অমরজিতের এই ভয়াল কীর্তির কথা পুলিশকে জানায়।
অমরজিতকে যখন গ্রেফতার করে এসব খুনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয় অকপটে তা স্বীকার করে নেয় অমরজিৎ। যা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুলিশমহল। জানা যায়, অমরজিতের হাতে শেষ খুন হয়েছিল ছ’মাসের শিশু খুশবু। খুনের পর মাটিতে তাকে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল।
খুশবুর মা জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে ঘুমাচ্ছিল। কাজের জন্য বাইরে তিনি মেয়েকে ঘুমে রেখেই বাইরে চলে যান। ফিরে এসে দেখেন খুশবু নেই। খুশবুর সন্ধান নিজেই জানায় অমরজিৎ। গ্রামবাসীদের বলে যে, তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে সে পুঁতে দিয়েছে। এর পর গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়। অমরজিতকে আটক করা হয়।
থানায় জেরার সময় পুলিশ যখন অমরজিতকে জিজ্ঞাসা করে যে, সে কেন এমন অপরাধ করল, জবাবে অমরজিৎ হেসে বলেছিল, সে ক্ষুধার্ত, তাই কিছু খাওয়ার প্রয়োজন। এরপর তাকে বিস্কুট দেন পুলিশকর্মীরা। বিস্কুটে কামড় দিয়ে অমরজিৎ জানিয়েছিল, বাচ্চাদের প্রথমে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ইট দিয়ে মুখে মারে সে। যতক্ষণ না মৃত্যু হচ্ছে, ততক্ষণ ইট দিয়ে মারতে থাকে সে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পাতা, মাটি দিয়ে দেহ ঢেকে দেয়।
২০১৬ সালে ১৮ তম জন্মদিনে অমরজিৎকে মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে তার বয়স ২২। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর সে কোথায় আছে, তা নিয়ে রহস্য রয়েছে।
আইনিউজের আরও ফিচার-
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ