আইনিউজ ডেস্ক
আপডেট: ২০:৪৫, ১৯ আগস্ট ২০২২
বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস আজ
১৮২৭ সালে ফরাসি উদ্ভাবক জোসেফ নিসেফোর নিপেক প্রথম ছবিটি তোলেন আর তাকেই বলা হয় ফটোগ্রাফির জনক।
আজ বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস। ছবিয়াল বা ফটোগ্রাফার, এক অতি পরিচিত নাম। কেউ শখ করে ছবি তোলে কেউবা পেশা হিসেবেই বেছে নিয়েছে এই কাজকে। মোবাইল থেকে শুরু করে দামী ডিএসএলআর ক্যামেরা, মাধ্যম যেটাই হোক কম বেশি ছবি সবাই তোলে।
অস্ট্রেলীয় আলোকচিত্রী কোরস সারা পৃথিবীর সব আলোকচিত্রকারদের একত্রিত করার লক্ষ্যে ‘ওয়ার্ল্ড ফটো ডে’ আয়োজন করে ২০০৯ সালে। এর মাধ্যমে ১৯ আগষ্ট, ২০১০ সালে প্রথম অনলাইন গ্যালারীর আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্বের ১০০ টি দেশ থেকে ২৭০ জন আলোকচিত্রী গ্যালারি শেয়ার করেন। এই ইভেন্টেই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি ডে’ হিসেবে পালিত হয়।
- আরও পড়ুন: পঞ্চাশ বছরে বিশ্বের অবনতি অনেক
সভ্যতার উৎকর্ষে যে কয়টি শিল্প মাধ্যম তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে ফটোগ্রাফি ধরে রেখেছে তার স্বতন্ত্র অবস্থান। ১৮২৭ সালে ফরাসি উদ্ভাবক জোসেফ নিসেফোর নিপেক প্রথম ছবিটি তোলেন। তাকেই বলা হয় ফটোগ্রাফির জনক। তিনি ছিলেন ফ্রান্সের একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা।
জোসেফ নিসেফোর নিপেকনাইসফোর নিপেক ও লুইস ডেগুরে ১৮৩৭ সালে, ডেগুরে টাইপ ফটোগ্রাফিক সিস্টেম আবিষ্কার করেন। এই উপায়ের নাম হলো ড্যাগুইররিয়ো টাইপ। বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যবহারিক এ উপায় আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই ছবি তোলার এই উপায়ের নাম দেয়া হয় ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফি।
- আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে দরিদ্র যে এলাকা
১৯৩৯ সালের ১৯ আগস্ট ফ্রান্স সরকার এটিকে স্বীকৃতি দান করে। তখন থেকেই ফটোগ্রাফিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তখন থেকে আজ ডিজিটাল যুগ পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে লাখো মানুষ কোটি কোটি ছবি তুলে। ১৮৩৯ সাল থেকে আগস্ট মাসের ১৯ তারিখকে আলোকচিত্রের দিন হিসেবে উদযাপন করে আসছে পুরো পৃথিবী। মুহূর্তগুলোকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখার চিন্তা কিন্তু মানুষের মাথায় বেশ অনেক আগেই এসেছিল। ১৮ শতকের প্রথম দিক থেকেই বিজ্ঞানীরা তাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন এমন কিছু আবিষ্কার করার জন্য যা মানুষের বা প্রকৃতির যে কোনো মুহূর্তকে ধরে রাখতে পারবে।
বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর১৮৩৯ সালের জানুয়ারীর ৯ তারিখে ফ্রেন্স একাডেমি অব সাইন্সেস আলোকচিত্রের এক উপায় আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। এই উপায়ের নাম হলো ড্যাগুইররিয়ো টাইপ। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তারা এই প্রক্রিয়াকে কয়েক মাস পর ১৯শে আগস্ট, ১৮৩৯ সালে সর্বসাধারনের সম্মুখে আনে। বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যাবহারিক এ উপায় আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই ছবি তোলার এই উপায়ের নাম দেয়া হয় ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফি।
১৮৩৯ সালের ১৯ শে আগস্ট ফ্রেন্স একাডেমি অব সাইন্সেস, প্যারিসে একটি জনসভা ডাকে এবং সেখানে এই উপায়ে ছবি কীভাবে তোলা হয় তা সবাইকে দেখানো হয়। মাত্র কয়েকদিনের মাঝে ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফির জনপ্রিয়তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফি মুক্তি লাভের সেই দিনটিকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের এই দিন বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।
১৮৩৯ সালের জানুয়ারীর ৯ তারিখে ফ্রেন্স একাডেমি অব সাইন্সেস আলোকচিত্রের এক উপায় আবিষ্কারের ঘোষণা দেন১৮৩৯ সাল থেকে আগস্ট মাসের ১৯ তারিখকে আলোকচিত্রের দিন হিসেবে উদযাপন করে আসছে পুরো পৃথিবী। ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফি মুক্তি লাভের সেই দিনটিকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের এই দিন বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। এছাড়াও শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ফটোগ্রাফির অগ্রযাত্রায় যেসব মানুষ নিরলস কাজ করে গেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই দিনটি পালন করা হয়।
বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস উপলক্ষে ১৯ আগস্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন ফটোগ্রাফার কমিউনিটি এর উদ্যোগে শোভাযাত্রা, আলোচনা অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ফটোগ্রাফারদের প্রযোজনায় আলোকচিত্রের বিবর্তন ও ভবিষ্যৎ বিষয়ে তথ্যচিত্র ও প্রদর্শিত হয়।
আইনিউজ/এসকেএস
দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি
শিশু কিশোরদের জন্য ফেসবুকের নতুন ‘নিয়ন্ত্রণ’ ফিচার
কৃষক হালচাষ করে, উৎসবে মেতে পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ায় ফিঙে পাখির দল | Drongo Birds | Farmer | Eye News
দুর্গা পূজা, দেবী বরণে প্রস্তুত শারদ প্রাঙ্গণ | Durgapuja 2021 | Moulvibazar
নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ