শাহরিয়ার অভি
আপডেট: ১৯:৪৭, ৭ জানুয়ারি ২০২৩
কিম পিক : যেভাবে মুখস্ত করেছিলেন ১২ হাজার বই!
লরেন্স কিম পিক
লরেন্স কিম পিক লিখে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে যে তথ্যটা আপনাকে অবাক করবে তাহল- তি নি ছিলেন অবিশ্বাস্যরকম স্মৃতিশক্তির অধিকারি। বারো হাজার বই যার মুখস্ত ছিলো। এটা কোনো কল্পকাহিনী বা গালগপ্প নয়। সত্যিই এই মানুষটির বারো হাজার বই মুখস্ত ছিলো। মানুষের এই বিশেষ ক্ষমতাকে বলে ফটোগ্রাফিক মেমোরি বলে।
আই নিউজের আজকের ফিচার গল্পে শাহরিয়া অভি লিখেছেন কিম পিকের বারো হাজার বই মুখস্ত রাখার নেপথ্যের রহস্য এবং ফটোগ্রাফিক মেমোরি নিয়ে। পুরো লেখাটি জুড়ে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য; তাই ফিচারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান চলচ্চিত্র রেইন ম্যান ১৯৮৯ সালে ৪টি অস্কারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ২৭টি পুরস্কার পেয়েছিলো। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টম ক্রুজ ও ডাস্টিন হফম্যান। অটিজম আক্রান্তদের নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার রেইন ম্যান বাস্তবেরই একজন। একজন আমেরিকান স্যাভান্ট; এক বিস্ময়মানব। যার নাম কিম পিক। যিনি ছিলেন অবিশ্বাস্যরকম স্মৃতিশক্তির অধিকারি এবং ১২০০০ বই যার মুখস্ত ছিলো।
আরও অদ্ভুত ব্যাপার হলো আমরা একটি বই মুখস্ত করতে একাধিকবার পড়লেও ওই লোকটি একটা বই একবারের বেশি পড়তেন না বা পড়া লাগতো না বলা যায়! একই সাথে দু চোখ দিয়ে বইয়ের দুই পৃষ্ঠা পড়তে পারতেন! একেক চোখে একেক পাতা করে। অর্থাৎ ডাস্টিন হফম্যান এর চরিত্রটি বাস্তবে কারো জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত।
আমরা যেখানে স্বাভাবিকভাবে একেকজন মানুষ ৩-৪ বছর বয়স থেকে কোনো কিছু মুখস্ত করতে শিখি, সেখানে তিনি মুখস্ত করতে শিখেছিলেন মাত্র ১৬-২০ মাস বয়সেই। এই বিস্ময় মানবের পুরো নাম লরেন্স কিম পিক, জন্ম ১১ নভেম্বর ১৯৫১ সালে আমেরিকার সল্টলেক সিটিতে। জন্ম থেকেই উনার সেরেবেলাম এর ড্যামেজ ছিলো। এবং তিনি মেগাস্যাভান্ট হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
অটিজমে আক্রান্ত এই বিস্ময়মানবের স্মৃতিশক্তি এত প্রখর থাকলেও স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিলো। নিজের দাঁত নিজেই ব্রাশ করতে পারতেন না, জামার বোতাম লাগাতে পারতেন না। চার বছর বয়স পর্যন্ত তিনি হাঁটতেই শিখেন নি। অথচ আইকিউ টেস্টে কখনো ৮৭ শতাংশের কম মার্কস পেতেন না।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি হাইস্কুলের শিক্ষা সম্পুর্ণ করে ১৮ বছর বয়সে চাকুরিতে যোগ দেন। সেখানে দেখা গেলো, ক্যালকুলেটর ছাড়াই জটিল জটিল হিসাব এমনিতেই করে ফেলতে পারতেন। তার এই আশ্চর্য্য ক্ষমতায় বিস্মিত হয়ে শেষে তাকেই একই সাথে দুইজন হিসাবরক্ষক এবং একটা কম্পিউটারের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
তার পরিবারের লোকেরা যেহেতু তার সম্পর্কে জানতেন, তাই তার বাবা কখনো তার সামনে বাড়ির কেয়ারটেকারের সাথেও কোনো লেনদেন করতেন না। তিনি অনেক পুরনো দিনের কথা ৯৮ শতাংশই মনে রাখতে পারতেন। শহরের নাম, জিপ কোড, বাড়ির নাম্বার, জুয়ার আসরে তাসসহ এসব কিছুই প্রায় হুবহু মনে রাখতে পারতেন। কেউ কেউ তার এই ক্ষমতার জন্য তার এই মেমোরিকে ফটোগ্রাফিক মেমোরি বলে থাকেন।
- এই ফিচারটি লিখেছেন বিজ্ঞান লেখক শাহরিয়ার অভি। চাইলে আপনিও আই নিউজের ফিচার পাতায় আপনার লেখা প্রকাশ করতে পারেন। এর জন্য আপনার পছন্দের বিষয়ে আপনার স্বরচিত ফিচারটি পাঠিয়ে দিন আই নিউজের মেইল ঠিকানায়। Email: [email protected]
আই নিউজ/এইচএ
নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ