হেলাল আহমেদ
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন | উক্তি এবং মৃত্যু রহস্য | Eye News
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। যাকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানপ্রিয় মানুষের আগ্রহের কোনও কমতি নেই। বিজ্ঞানে অবদানের ক্ষেত্রে যেমন আইনস্টাইন আজও প্রাসঙ্গিক তেমনি আজও প্রাসঙ্গিক আইনস্টাইনের বিভিন্ন সময় বলা বিভিন্ন কথা বা উক্তি।
পেশাজীবনে বা গবেষণা জীবনে আকাশচুম্বী সাফল্য পাওয়া এই বিজ্ঞানী ব্যক্তিজীবনে ছিলেন অনেকটাই রহস্যময় এবং দুঃখী। ছেলের মানসিক সমস্যার কারণেও জীবনে প্রচুর ভোগেছেন আইনস্টাইন। কিন্তু তাতে কী? আইনস্টাইন তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা, মেধা দিয়ে আজও বিশ্বে সেরা জ্ঞানীগুণীদের একজন। আই নিউজের আজকের এই প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে আইনস্টাইনের বিখ্যাত কিছু উক্তি দিয়ে। যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী মানুষের মনে দাগ কাটে।
শিক্ষা আসলে কী? এ নিয়ে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছিলেন- স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা থাকে তা-ই হলো শিক্ষা।
ভালো-খারাপ মানুষদের ব্যাপারে আইনস্টাইন বেশ দার্শনিক একটি কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন- এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না, যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সেরা কিছু উক্তি
- আমাদের রহস্যময়তার পরীক্ষণে প্রাপ্ত সবচেয়ে সৌন্দর্যময় জিনিসগুলো হলো শিল্প, বিজ্ঞান এবং বন্ধুত্ব।
- যে কখনও ভুল করেনা, সে নতুন কিছু করার চেষ্টা করে না।
- একজন সুন্দর, আকর্ষণীযয়া রমণীর পাশে ২ ঘণ্টা বসে থাকুন, দেখবেন সময় উড়ে চলে গেছে! এবার গ্রীষ্মের গরমের মাঝে রাস্তায় ২ মিনিট হাঁটুন, মনে হবে আপনি অনন্তকাল ধরে হাঁটছেন!
- বোকামি আর প্রতিভার মধ্যে পার্থক্য হল- প্রতিভার সীমা আছে, বোকামির কোন সীমা নেই।
- যারা আমাকে সাহায্য করে নাই,আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ কারন তারা সাহায্য না করার কারনে আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি।
- আপনি যদি অন্যদের অনুসরন করে তাদের সাহায্য নিয়ে চলতে থাকেন তবে হয়তো একদিন তার জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি নিজের পথটা নিজেই তৈরী করে চলেন তাহলে হয়তো এমন এক সাফল্যমন্ডিত যায়গায় পৌঁছাবেন যেখানে আজ পর্যন্ত কেউই পৌঁছাতে পারেনি।
- গতকাল থেকে শিখুন, আজকের দিনটিকে নিয়ে বেঁচে থাকুন, আশাটা করুন আগামীকালের জন্য। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রশ্ন করা থামাবেন না।
- মহৎ ব্যক্তিরা সব সময় ভয়ানক বাধার সম্মুখীন হয় সংকীর্ণ চিন্তার মানুষদের কাছে থেকে।
- যারা আমাকে সাহায্য করেননি, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
মৃত্যুর পর আইনস্টাইনের মাথার খুলি চুরি!
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন জীবিত অবস্থায় তাঁর গবেষণা এবং বিভিন্ন তথ্য আর জ্ঞানের জন্য যেমন আলোচিত ছিলেন মৃত্যুর পরও আলোচিত ছিলেন সমানতালে। কারণ মৃত্যুর পর তাঁর মস্তিষ্কটি চুরি হয়ে গিয়েছিলো বলে শোনা যায়।
সালটা ১৯৫৫, এপ্রিলের ১৮ তারিখ। সবার অলক্ষ্যে ঘটে গেল এক অবিশ্বাস্য চুরি। এ চুরি কোনও সোনাদানা বা টাকাপয়সা নয়। বরং বলা যায় তার থেকেও অনেক অনেক বেশি দামি। চুরি যাওয়া জিনিসটি ছিল একটি মানুষের মস্তিষ্ক! সেই মস্তিষ্কটি আবার যে-সে কারও নয়। স্বয়ং আলবার্ট আইনস্টাইনের।
১৯৫৫ সালের ১৫ এপ্রিল আইনস্টাইন অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জন্য নিউ জার্সির প্রিন্সটন হাসপাতালে ভর্তি হন। ৩ দিন পর তিনি মারা গেলে তাঁর দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। যে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য আইনস্টাইনের শরীর পাঠানো হয় সে হাসপাতালের প্যাথোলজিস্ট টমাস হার্ভে কাউকে কিছু না বলে আইনস্টাইনের মাথা থেকে তাঁর মস্তিষ্কটি বের করে নেন। এমনকি তাঁর চোখ দু’টিও তিনি তুলে নিজের কাছে রেখে দেন।
জানা যায়, প্যাথোলজিস্ট টমাস হার্ভের উদ্দেশ্য ছিল এই অমূল্য মস্তিষ্কটিকে নিয়ে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইনস্টাইনের অসীম জ্ঞান ও বুদ্ধির রহস্য খুঁজে বের করা। নিউ জার্সির ট্রেনটনে একটি ক্রিমেটোরিয়ামে যখন তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে, তখনও পর্যন্ত আইনস্টাইনের আত্মীয়স্বজনেরা জানতেনই না যে তাঁর মৃতদেহের মাথা পুরোপুরি ফাঁকা।
মস্তিষ্কটির কয়েকটা ছবি তুলে একটি কাচের জারে ফর্ম্যালিনে ডুবিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন ডাক্তার হার্ভে। পরবর্তীকালে তিনি মস্তিষ্কটির ২৪০টি খণ্ড করেন। তৈরি করেন স্লাইডও। মস্তিষ্কের বাকি অংশ সযত্নে সংরক্ষিত করে রাখেন নিজের কাছে।
মৃত্যুর আগে আইনস্টাইন জার্মান ভাষায় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের কিছু কথা বলেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় নার্সরা কেউই জার্মান ভাষা জানত না। ফলে মহান বিজ্ঞানীর শেষ কথাগুলি চিরকালের জন্য হারিয়ে যায়। মৃত্যুর পর কেন যে আইনস্টাইনের দেহ ময়না তদন্তে গিয়েছিল এবং কার নির্দেশেই বা গিয়েছিল, সে তথ্য কিন্তু আজও অজানা।
আই নিউজ/এইচএ
এই বিভাগের আরও লেখা-
- বিশ্বের শীতলতম স্থান অয়মিয়াকন | Eye News
- ঝগড়া করে প্রেমিকাকে কে টে ৩৫ টুকরা করে ফেলে দিয়েছিলেন এই যুবক!
- কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার এবং অজানা নৃশংস কাহিনী
নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ