হেলাল আহমেদ
রাষ্ট্রপতির কাজ কী?
বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে মো. আবদুল হামিদের। সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু। রাষ্ট্রপতি হিসেবে জনাব মো. আবদুল হামিদের জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো একজন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব কী? সহজ করে বললে- রাষ্ট্রপতির কাজ কী?
রাষ্ট্রের একটি গুরত্বপূর্ণ অঙ্গ রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়ে বাংলা সংবিধানে আলাদা করে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ আছে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব, ক্ষমতা, কার্যপরিধি ইত্যাদি নিয়ে। আই নিউজের পাঠকদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনে জানাবো রাষ্ট্রপতি এবং তার কাজ নিয়ে।
১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের মধ্য দিয়ে দেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। রাষ্ট্রপতিকে পরোক্ষে রাষ্ট্রের প্রধান বলা হলেও মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালুর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি নামমাত্রই দেশের শাসকের ভূমিকা পালন করেন। প্রকৃত ক্ষমতা থাকে দেশের মন্ত্রিপরিষদ এবং তাদের বিভিন্ন বিভাগের উপর।
১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী দ্বারা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু সংবিধানের এই নীতি অচিরেই ১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দ্বাদশ সংশোধনী আইনের দ্বারা গণভোটের মাধ্যমে বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। এই ব্যবস্থার দেশের প্রকৃত ক্ষমতা থাকে জাতীয় সংসদের সদস্য প্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদের হাতে। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ তাদের কাজের জন্য সংসদের নিকট দায়ী থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চলমান আছে।
যেভাবে করা হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। বলা যায়, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতিশাসিত ও সংসদীয় উভয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি মাঝেমধ্যে পরিবর্তিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ভবন, ঢাকা
১৯৭২ সালের সংবিধানের দ্বিতীয় তফসিল মোতাবেক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতেন সংসদ সদস্যদের গোপন ভোটে। পরবর্তীকালে সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী অনুসারে প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান প্রবর্তিত হয়। পরে সংবিধানের (১২তম সংশোধনী) আইন ১৯৯১ অনুসারে সংসদীয় পদ্ধতি চালু হলে পরোক্ষ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়। বর্তমানে অনুচ্ছেদ ৪৮ অনুসারে সংসদ-সদস্যদের দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির কাজ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) ধারা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতি সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুসারে কার্যনির্বাহ করে থাকেন। বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ অংশের ৪৮-৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কিত বিধানাবলি বিধৃত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত এবং তিনি সংবিধান ও আইন বলে তাঁর উপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। অধিকন্তু সরকারের যাবতীয় নির্বাহী কার্যাদি রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদন করা হয়। তত্ত্বীয়ভাবে সকলের ঊর্ধ্বে থাকলেও বাস্তবে তিনি নামমাত্র নির্বাহী হিসেবে শুধু আনুষ্ঠানিক কার্যাদি সম্পন্ন করেন।
এসব ছাড়াও রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। রাষ্ট্রপতিই মূলত সরকারের কার্যক্রম বণ্টন ও কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিধি প্রণয়ন করেন। রাষ্ট্রপতি অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদেরও নিয়োগ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের দায়িত্বও রাষ্ট্রপতির। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সার্ভিসের সর্বাধিনায়ক।
বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতার উৎস। এতে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যতর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত শাস্তি মার্জনা, স্থগিত, বিলম্বিত ও হ্রাস করতে পারেন।
বিধানিক ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুসারে রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন আহবান স্থগিতকরণ ও ভেঙ্গে দিতে পারেন। সংসদে ভাষণ প্রদানের এবং বাণী প্রেরণের অধিকার রাষ্ট্রপতির আছে। সংসদে গৃহীত প্রতিটি বিলের জন্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন। কারণ, রাষ্ট্রপতির সম্মতি ব্যতীত কোনো বিল আইনে পরিণত হয় না। সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হলে বা সংসদ অধিবেশন চালু না থাকলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে আইন তৈরি করতে পারেন এবং এসব অধ্যাদেশ সংসদে গৃহীত আইনের মতোই কার্যকর বলে গণ্য।
আর্থিক ক্ষমতা অর্থবিল বা সরকারি ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত যেকোন বিল রাষ্ট্রপতির সুপারিশ ব্যতীত সংসদে পেশ করা যাবে না। রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত কোনো অনুদান দাবি করা যাবে না। অনুপূরক বা অতিরিক্ত অনুদান হিসেবে সমন্বিত তহবিল থেকে ব্যয় অনুমোদনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে। জাতীয় সংসদ কোন অর্থ বছরে অনুদান মঞ্জুরে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সমন্বিত তহবিল থেকে ঐ বছরের বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে উলেখক্রমে অনূর্ধ্ব ৬০ দিনের ব্যয় সংকুলানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে পারেন।
বিবিধ ক্ষমতা উপর্যুক্ত ক্ষমতা নির্বাহের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করানোর মতো কিছু কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে সংবিধানের তৃতীয় তপসিল অনুসারে রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করান। অনুরূপভাবে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের প্রেরণ ও গ্রহণ করেন। বৈদেশিক রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সম্পাদিত যাবতীয় চুক্তি, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও মহা হিসাবনিরীক্ষকের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয় এবং তিনি সেগুলো সংসদে পাঠান।
বিমুক্তি সংবিধানের ৫১ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে তার দায়িত্ব পালনকালে ত্রুটি বিচ্যূতির জন্য আদালতে জবাবদিহি থেকে বিমুক্তি দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যকালে তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি কার্যবিধি রুজু করা যাবে না এবং কোনো আদালত তাকে গ্রেপ্তার বা আটকের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না।
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ
সংবিধান মতে রাষ্ট্রপতি কর্মভার গ্রহণ করার তারিখ থেকে পাঁচ বৎসর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবেন। একাদিক্রমে হোক বা না হোক কোন ব্যক্তি দু’মেয়াদের (৫+৫=১০ বছর) বেশী পদে তিনি বহাল থাকতে পারবেন না।
তবে রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর উত্তরাধিকারী ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ততিনি স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতির কার্যমেয়াদে তিনি অন্য কোন পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। কিন্তু নিজ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশুনা করতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতির অভিশংসন
রাষ্ট্রপতি তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য করো কাছে দায়ী নন। কোন আদালতের নিকটও জবাবদিহি করেন না। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে সংবিধান লংঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে অভিশংসিত করা যায়। সংবিধান লংঘন কিংবা গুরুতর অসদাচরণের কারণে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে তাঁকে অভিযুক্ত করা যায়।
পদত্যাগ করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি স্পীকারের নিকট স্বীয় পদত্যাগ পত্র পেশ করতে পারেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী মামলা দায়ের করা চলে না। এছাড়া তাঁকে গ্রেফতারও করা যায় না।
বাংলাদেশে মোট রাষ্ট্রপতির সংখ্যা
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২২জন রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। যাদের মধ্যে সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু।
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৭২ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। পরে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবারও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এবং একই বছরের ১৫ আগস্টের নারকীয় হ ত্যা র দিন পর্যন্ত তিনিই ছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই দেশে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা চলে যায় বাংলার ইতিহাসে মীর জাফর খ্যাত খন্দকার মোশতাকের কাছে।
এছাড়াও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মুহামমদ উল্লাহ, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, জিয়াউর রহমান, আব্দুস সাত্তার, এ.এফ.এম আহসান উদ্দিন চৌধুরী, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, সাহাবুদ্দিন আহমদ (ভারপ্রাপ্ত), আব্দুর রহমান বিশ্বাস, এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা, জমিরউদ্দিন সরকার (ভারপ্রাপ্ত), ইয়াজ উদ্দিন আহমদ, জিল্লুর রহমান, মো. আবদুল হামিদ।
আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শাসন বিভাগের শীর্ষে অবস্থিত। শাসন বিভাগীয় যাবতীয় কার্যাদি তাঁর নামে পরিচালিত হয়। দ্বাদশ সংশোধনীর পর থেকে রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ৫ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন। সর্বমোট তিনি দু’মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য পদস্থ ব্যক্তিদের তিনি নিয়োগ দান করেন। আইন, বিচার, অর্থ ও বিবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তবে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়।
আই নিউজ/এইচএ
দেখুন আই নিউজ ভিডিও গ্যালারী
হানিফ সংকেত যেভাবে কিংবদন্তি উপস্থাপক হলেন | Biography | hanif sanket life documentary | EYE NEWS
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ