Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

মো. রওশান উজ্জামান রনি

প্রকাশিত: ১০:৪১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খনিজ সমৃদ্ধ দেশ আফগানিস্তান

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

আফগানিস্তানে ইসলামী ইমারতের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক নেয়ামতের ভান্ডার খুলে যাচ্ছে দেশটিতে। আর এটাই বোধহয় আল্লাহর রহমত! যারা গোটা দুনিয়ার রক্ত চুক্ষু উপেক্কা করে এক আল্লার বিধান বাস্তবায়নে নিজদের উৎসর্গ করে, তাদের জন্যে মহান আল্লাহ তায়ালা এভাবেই রাস্তা খুলে দেন। বর্তমান আফগানিস্তান যার জলজন্ত উদাহরণ। 

আফগানিস্তানে আনুমানিক ১৪০০-র অধিক বিভিন্ন খনিজ ক্ষেত্র রয়েছে। খনিজ কয়লা ও তেলের পর এবার দেশটিতে সন্ধান মিলেছে মহামূল্যবান পান্না, শুরু হয়েছে উত্তলোনও। শুধু তাই নয়  দেশটিতে নেওয়া হচ্ছে পর এক মহা প্রকল্প, যেমন আফগানিস্তানের রুক্ষ-শুষ্ক উত্তরাঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে কুশটেপা নামে একটি খাল খুঁড়ছে তালেবান। এবং সারপোল প্রদেশে তেলের খনি ইত্যাদি। এছাড়াও মাটির তলায় কী পরিমাণ ‘গুপ্তধন’ রয়েছে আফগানিস্তানে? এগুলো রপ্তানি করে কতটা ধনি হবে রাস্ট্রে পরিণত হবে আফগানিস্তান? তা জানাবো আই নিউজের আজকের এই প্রতিবেদনে।

আফগানিস্তানের পঞ্চশীল প্রদেশে খোঁজ মিলেছে বিরাট পান্না খনির। যেখান থেকে ইতিমধ্যে পান্না উত্তোলনাও শুরু করে দিয়েছে সেই দেশের তালিবান সরকার। পঞ্চশীলের খনি ও পেট্রোলিয়াম বিভাগ জানিয়েছে মোট ৭৫০ টি পান্না খনি রয়েছে এবং ২০টি নতুন খনি নতুন ভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে। পঞ্চশীলের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন যে, তারা পান্না খনি উত্তোলনের কাজ করার জন্য ২০০ জনকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং ৩০০ জনের লাইসেন্স খুব শীঘ্রই জারি করা হবে।

পঞ্চশীলের কয়েকজন বাসিন্দা জানান বর্তমান পরিস্থিতিতে খনিতে কাজ করাই তাদের আয়ের একমাত্র উপায়। এই মহামূল্যবান পান্না রপ্তানি করে ব্যাপক আর্থিক লাভের আশায় আছে আফগানিস্তান সরকার। এবং সেই লাভের টাকা দেশটির পুনর্গঠন এবং অন্যান্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে। যার সুফল দেশটির সাধারণ জনগণ ভোগ করবে।

তারই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানে নেয়া হচ্ছে একের পর এক মহা প্রকল্প। যেমন আফগানিস্তানের রুক্ষ শুষ্ক উত্তরাঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে পুষ্টিপা নামে একটি খাল খুঁড়ছে তালেবান। এই বিশাল প্রকল্পে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ ও তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করছে। তালেবানের আশা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তানের সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি সবুজ কৃষি জমিতে রূপান্তরিত হবে।

এবং আমদরিয়া নদীতে সন্ধান পাওয়া কাশকারীর তেল খনি থেকে তেল উত্তোলনা শুরু করেছে ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তান। যেখানে নয়টি তেলের কূপ রয়েছে। যার দৈনিক তেল উত্তোলন সক্ষমতা প্রায় ৩৫০ টন। এছাড়াও আফগানিস্তানের কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের খনিজ সম্পদ মজুদ আছে। যেখানে রয়েছে লিথিয়াম সোনা ও লোহার মতো মূল্যবান ধাতু। আফগানিস্তানের এই সম্পদের পরিমাণ নিয়ে অধ্যায়ন করা ভূতত্ত্ববিদ জানিয়েছেন জানিয়েছেন এই খনিজ সম্পদ থেকে আয় করতে আফগানিস্তানের আরো ৭ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে। তালেবান যেহেতু শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে ফলে নিজেদের সম্পদের সর্বোচ্চ সৎ ব্যবহার করে অদূর ভবিষ্যতে তারা পৃথিবীর পরাশক্তি হয়ে উঠবে আশা করা যায়।

আই নিউজ/আর

আরও পড়ুন

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়