মো. রওশান উজ্জামান রনি
আপডেট: ১০:০৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাখাইন
কি ভুলে হাতছাড়া হয় রাখাইন, বাংলাদেশর মানচিত্রে কি আবারো যুক্ত হবে আরাকান?
রাখাইন। ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমারের বর্তমান রাখাইন রাজ্য একসময় ঐতিহাসিকভাবে ছিল বাংলাদেশের অংশ। চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য এলাকাগুলো ছিল এই রাখাইনের অংশ। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে মাত্র একটি ভুলের কারণে হাতছাড়া হয় প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই আরাকান। যার মাটির নিচে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ।
কিন্তু কি ভুলের কারণে হাতছাড়া হয় এই রাখাইন। বাংলাদেশ কি আবারো দখল করবে রাখাইন? কেনই বা বাংলাদেশের মানচিত্রে এই ভূখণ্ড যোগ করা হচ্ছে না। তা জানাবো আই নিউজের আজকের এই প্রতিবেদনে।
২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের আরাকান রাজ্যের বাংলার সঙ্গে ছিল গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের ফলে আজকের এই অবস্থা। তবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কখনো এতটা পরাধীন ছিল না। তাদেরও ছিল স্বাধীন এক রাষ্ট্র রাখাইন। যার আদি নাম আরাকান। সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন পার্শ্ববর্তী উপকূলে আশ্রয় নেন। আর তারা বলেন আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। সেই রহম থেকেই রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব হয়।
পরবর্তী সময়ে চাটগাইয়া, রাখাইন, আরাকানি, বার্মিজ, বাঙ্গালী, ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মানুষের মিশ্রনে এই জাতী চতুর্থ শতাব্দীতে পূর্ণাঙ্গ জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আজকের নির্যাতিত আরাকান মুসলমানদের রয়েছে গৌরবময় অতীত। ১৮২৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বারমা দখল করে। এরপর দীর্ঘ ১০০ বছর পর্যন্ত আরাকানিরা অনেকটাই শস্তিতে ছিল। কিন্তু ক্ষণিক সম্পদে কাল হয়ে দাঁড়ায় আরাকান অঞ্চলের জন্য। এখানে পেট্রোল, কয়লা ও তেলসহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদের বিশাল ভান্ডার রয়েছে। এমনকি সেখানে সোনা ও রুপার অস্তিত্ব থাকায় একেক সময় দখলে নিয়েছে একেক দেশ। কিন্তু ১৯৪২ সালে আরাকান জাপানিদের অধীনে চলে যায়। অবশেষে ১৯৪৫ সালে আবার ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে। এরপর ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগ করার সময় রাখাইন নেতারা জনাব মোঃ আলী জিন্নাহকে রাখাইন কে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করার অনুরোধ করেন। কিন্তু মোঃ আলী জিন্নাহর উদাসীনতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। মোঃ আলী জিন্নাহ আরাকানের ব্যাপারে সঠিক ভূমিকা গ্রহণ করলে আজ রোহিঙ্গাদের ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো। ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে আরাকান মিয়ানমার থেকে আলাদা হতে চেয়েছিল। কেননা ঐতিহাসিকভাবে আরাকান মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অংশই ছিল না। আরাকান এক সময় ছিল স্বাধীন ও বাংলার অংশ। অবশেষে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর অবহেলার কারণে বার্মিজরা আরাকান দখলে নিয়ে নেয়।
ব্রিটিশ উপনিবেশে ভারত পাকিস্তান স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় পূর্ব পাকিস্তান যা বর্তমান বাংলাদেশের সঙ্গে একই বোধ থেকে মধ্যে আরাকান নেতৃত্ব। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে ১৯৪৬ সালে আরাকান মুসলিম লীগ গঠন করে তারা। কিন্তু জিন্নাহর ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আরাকান বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি। সুতরাং রাখাইন রাজ্য কখনোই মিয়ানমারের অংশ ছিল না। তা ছিল বাংলাদেশের অংশ। বাংলাদেশের মানচিত্রে আরাকান কি আবারও যুক্ত হবে। জুলাই ২০০০ সালের রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হলে রোহিঙ্গাদের ভূমি রাখাইনকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন এক মার্কিন কংগ্রেস প্রতিনিধি। মার্কিন কংগ্রেসে এই সংক্রান্ত এক প্রস্তাব তোলেন। কংগ্রেসের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান ব্রাকশেরম্যান। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বলেছিল ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশ নিয়েই আমরা খুশি। অন্যের জমি নিয়ে আসা এবং অন্যের কোন প্রদেশ আমাদের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই না। রাখাইন বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হলে বাংলাদেশের কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হবে? প্রথমত রাখাইন এর অবস্থান এর একপাশে পাহাড়ি পর্বতমালা এবং অন্য পাশে বেঅফ বেঙ্গল। টুরিস্টের জন্য এটা হতে পারে চমৎকার একটি স্থান। কারণ আপনারা কি জানেন জাপান সরকার ৩০০ বিলিয়ন ডলার আয় করে শুধুমাত্র ট্যুরিজম খাত থেকে। আর দক্ষিণ এশিয়ার ৭০ পার্সেন্ট ট্যুরিজমের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ভারতের হাতে। আর সেখানে রাখাইনের মত একটি চমৎকার স্টেট বাংলাদেশের হাতে আসলে সেটা বাংলাদেশের ট্যুরিজমের জন্য হবে দারুন একটি সুখবর।রাখাইন এর বর্তমান আয়তন ৩৭ হাজার বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা মাত্র ৪১ লক্ষ। অর্থাৎ অনায়াসে আমরা সেখানে দুই কোটি বাংলাদেশিদের জন্য আভাস গড়ে তুলতে পারব। যেহেতু আমাদের দেশের আয়তন ছোট। সেখানে একরকম বলতে গেলে ফাঁকা একটি রাজ্যের সংযুক্তি দেশের জন্য একটি সুখবরই হবে। এবার আসি রাখাইনের সঙ্গে জড়িত লম্বা কোস্টাল এরিয়া। যা বাংলাদেশের কোস্টাল এরিয়া থেকেও সামান্য বেশি। যা আমাদের নীল অর্থনীতির জন্য দারুন একটি সুযোগ সৃষ্টি করবে।
মৎস সম্পদ তো রয়েছে। সেই সাথে সমুদ্র উপকূলে গ্যাস রিজার্ভ, তেল রিজার্ভের সবটাই তখন বাংলাদেশের। যার পরিমাণ আমাদের বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা যে পরিমাণ আছে তার সমান। এখন অবশ্য এটা সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয় করা হয়নি। এছাড়াও রাখাইনে রয়েছে একটি স্বর্ণের খনি। এরপর আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান। ভারতের সাথে আমাদের তিন দিক দিয়ে ঘেরা আছে। সময়ের সাথে সাথে ভারত শক্তিশালী হয়ে উঠবে সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে। কিন্তু রাখাইন পুরোপুরি ভারত মুক্ত একটি অঞ্চল। যার ফলে চাইলেই আমরা রাখাইনে অর্থনৈতিক রাজধানী গড়ে তুলতে পারবো। যা সুবিশাল ভারতের নাগালের বাহিরে থাকবে। উল্টোভাবে ভারতের ত্রিপুরা এবং আসামের দুই পাশে আমাদের অবস্থান ভারতকে চাপিয়ে রাখবে এবং মিয়ানমার চাইলেও সহজে রাখেন দখল নিতে পারবে না কিংবা আক্রমণ করতে পারবে না। কারণ রাখাইন এবং মিয়ানমারের মাঝের অংশে আছে দুর্গম পর্বত মালা। অর্থাৎ রাখাইন সুরক্ষিত থাকবে। অর্থনৈতিক স্থাপন করতে পারলে লাউস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার প্রতিটি দেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে। যা আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক সুবিধা হবে।
বঙ্গোপসাগরের একক কর্তৃত্বের মতো লোভনীয় একটি বিষয় কিভাবে অগ্রাহ করবেন। বাংলাদেশ চাইলে চায়নার বিশাল একটি বাণিজ্য রুট আটকে দিতে পারবে। এরকম অজস্র সুবিধা তো আছে তাহলে সমস্যাগুলো কোথায়। আর কেনই বা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সহযোগিতা করবে। আগেই বলেছি চায়না একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রোড বঙ্গোপসাগর উপর দিয়ে যাচ্ছে। এখন বঙ্গোপসাগর পুরোপুরি বাংলাদেশের দখলে চলে আসলে এবং রাখাইনকে বাংলাদেশের সাথে সংযুক্তির বিনিময়ে সেন্ট মার্টিন কিংবা রাখাইন সংলগ্ন কোন একটি দ্বীপে ঘাঁটি করতে দিলে চায়না বেসিক্যালি ভালোভাবেই গ্যারাকলে পড়বে। আর যুক্তরাষ্ট্র ঠিক উঠায় যাচ্ছে এবং ঠিক ওই জায়গাতেই বিরোধিতা করবে। আর এর সাথে রয়েছে ভারত। হিন্দু প্রধান রাষ্ট্রটিতে কিছুদিন ধরেই উত্থান হচ্ছে হিন্দু জাতীয়বাদীদের। তারা এই মুহূর্তে চায়না আর পাকিস্তান নিনে যথেষ্ট বিপদে রয়েছে। তাদের হাতে আছে প্রতিবেশী মিয়ানমার এবং বাংলাদেশী দুটোই। কিন্তু রাখাইন বাংলাদেশ সংযুক্তি ভারতের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ তখন ভৌগোলিকভাবে অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করার সুবিধা পাবে। এবং সমুদ্র বাণিজ্যের জন্য মিয়ানমারকে তখন বাংলাদেশের উপর নির্ভর করতে হবে। তাই মিয়ানমারকেও নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাবার ছুরি পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। যদি মিয়ানমারের সাথে এরপরেও একটি ভালো সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমার যদি কয়েক টুকরো হয়ে যায় তাহলে সেই স্বাধীন দেশগুলোর উপর ভারতের তুলনায় বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে বাংলাদেশ। একই কথা খাটে ভারতের ত্রিপুরা আসাম এবং অন্যান্য পূর্বঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য। তার মানে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এবং চায়না কিছুতেই সিদ্ধান্তের পক্ষে থাকবে না। আর ভারত না চাইলেও রাশিয়াও থাকবে না। কিন্তু সত্যিই যদি বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে রাখাইন ইস্যুতে কোন বড় ধরনের ক্রাইসিস সৃষ্টি হয় তাহলে কি করতে পারে।
ভারত কিংবা চায়না কি মিয়ানমারের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে? যেহেতু ভারত এবং চায়না সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক আছে এবং রাশিয়ার সাথেও বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে তাই এরা কেউ সরাসরি বিরোধিতা করতে যাবে না। বরং নিরপেক্ষভাবে যুদ্ধভাবার চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের পক্ষে যদি ঘুরতে থাকে তাহলে কোরিয়া কিংবা থাইল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান বেশি প্রভাব রাখবে এখানে। জুড়িয়ে পড়তে পারে তারাও যদি না বাংলাদেশ এখানে বহুমুখী কূটনৈতিক সাপোর্ট অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। এতো গেলো সম্ভাব্য লাভ এবং পলিটিক্স। তাহলে সম্ভাব্য ক্ষতিটা কোথায়? আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী ২০৩০ সালে আমরা প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলারে অর্থনীতিতে চলে আসব। আমাদের পিসিআই হবে ৫৭০০ ডলার। আর ২০২১ সালের পর থেকে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ১০% বা তার বেশি হারে প্রবৃদ্ধি হলে এই সংখ্যাটা এক ট্রিলিয়ন এবং .২০০বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তখন পিসিআই হবে সাত হাজারের আশেপাশে। যে জন্য আমাদের বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই দরকার হবে। যেখানে গত অর্থনৈতিক বছরে এর পরিমাণ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। আর এই পরিমাণ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে আমাদের ইনভার্সট্রাকচারের ডেভেলপমেন্টের দিকে মনযোগ দিতে হবে। ডিফেন্স বাজেট বর্তমানে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ডিফেন্সের দিকে নজর দিলে আপনার অর্থনীতি হয়ে পড়বে দুর্বল। মানে আমরা কোন যুদ্ধ করার মতো অবস্থাতেই নেই। যদি না কোন বড় ভাই এসে ওটা প্লেটে করে আমাদের সাজিয়ে দিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত যে ইস্যুটা মারাত্মকভাবে উদ্বেগ সৃষ্টি করবে সেটা হচ্ছে আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর। যা দিয়ে আমরা মেজরিটি পরিমাণ আমদানি এবং রপ্তানি করে থাকি। বলাই বাহুল্য চট্টগ্রাম বন্দরের ধারণক্ষমতা ১৮টিএফইউ। যেখানে বর্তমানে প্রায় ২১ টিএফইউ এর মত সার্ভিস দিচ্ছে। যা আমাদের মংলা এবং পায়রা দিয়ে হবে না। মাতার বাড়ির কথা ভুলে যান ওটা এখনো আরও রিস্কি থাকবে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে যদি কোন কারণে এই অঞ্চলে লম্বা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে দেশের আমদানি এবং রক্তনদীর ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এবং সে আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ চায়না এবং ভারত অবশ্যই মিয়ানমারকে ভিতরে ভিতরে সাপোর্ট দিবে। যাতে এই যুদ্ধ কন্টিনিউ হয় এবং বাংলাদেশ এখান থেকে নিজেকে উইথ ড্র করে নেয়। কারণ বর্তমান যুগটাই এখন পলিটিক্স যুদ্ধের। আরকানিরা এতই সহজে কি দুই কোটি বাঙালি কে ওদের রাজ্যে মেনে নেবে? কারণ বাংলাদেশ থেকে ওখানে মাইগ্রেশন ঘটবেই। তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের মতো আরেকটি ইসু কি বাংলাদেশের মধ্যে ক্রিয়েট হবেনা। আর এখানে দুটি সশস্ত্র বিপ্লবী সংগঠন রয়েছে। তাদের কিভাবে থামাবে। অশিক্ষিত বর্বর আরকানিদের কিভাবে সভ্য করবে। নতুন একটি বিশাল অংশের ডেভেলপমেন্ট ব্যয়, আলাদা ডিফেন্স বাজেট এগুলো কিভাবে ব্যয় করবে আমাদের এই ছোট অর্থনীতি। যাইহোক লাভ ক্ষতি তো অনেকেই জানালাম এছাড়াও আরো অনেক লাভ ক্ষতি রয়েছে। তবে এটা শিওর যে বাংলাদেশ সরকার কখনো রাখাইন দখল করতে যাবে না। রাখাইন মায়ানমারের আর মায়ানমারেরই থাকবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি আরাকান রাজ্যের সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে। কোথাও কোনো তথ্যগত ভুল কিংবা আপনার পরামর্শ থেকে থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আই নিউজ/আর
আরো পড়ুন
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ