নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ০৪:০৯, ২৬ মে ২০২০
চর্বিযুক্ত খাবার পরিহারে বাড়বে মনোযোগ
যারা স্বাস্থ্য সচেতন বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা সব সময়ই চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। তবে চর্বিযুক্ত খাবার কি শুধুই ওজন বাড়াতে দায়ী?
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক এক গবেষণায় জানানো হয়,যেসব খাবারে শরীরের জন্য ক্ষতিকর চর্বিতে ভরপুর সেগুলো ওজন বাড়ায়।সাধারণত পাই ক্রাসট এবং অন্যান্য বেইক করা খাবারে ট্র্যান্স ফ্যাট থাকে।প্রক্রিয়াজাত করা এবং শস্য খাওয়া পশুর মাংসে স্যাচারেইটেড ফ্যাট থাকার পাশাপাশি অত্যধিক ক্যালোরি থাকে যা শেষ পর্যন্ত শরীরের পুষ্টির সীমারেখায় ক্ষতিগ্রস্ত করে।আর চর্বিযুক্ত এসব খাবার শুধু যে ওজন বাড়ায় তাই-ই নয়,এগুলোর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মানব মস্তিষ্কেও।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও গবেষণা বিষয়ক পত্রিকা সায়েন্সডেইলির প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়,সম্প্রতি এক দল গবেষক ৫১ জন নারীর ওপর একটি গবেষণা চালান। এতে অংশগ্রহণকারীদের সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত তেলে তৈরি খাবার আলাদাভাবে খেতে দেওয়া হয়।পরে তাঁদের একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়।
এতে দেখা যায়,অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণকারী নারীরা অন্যদের চেয়ে ভালো করছেন।অর্থাৎ,চর্বির ধরনের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মস্তিষ্কের।
গবেষকেরা রক্তের সঙ্গে অন্ত্রীয় ব্যাকটেরিয়া মিশে গেলে মনোযোগ প্রভাবিত হয় কিনা,তাও পরীক্ষা করে দেখেন। এতে দেখা যায়,অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের শারীরিক অবস্থা এমন যে,তাদের শরীরের অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া রক্তের সঙ্গে মিশছে,তাদের মনোযোগ অন্যদের তুলনায় কম।এক্ষেত্রে যেকোনো খাবার গ্রহণের পরই তাঁদের এই মনোযোগ হারানোর ঘটনাটি ঘটে।
সাধারণত উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।আর এতে অবসাদগ্রস্ততা দেখা দেয়।ফলে স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।এক্ষেত্রে খাদ্যতালিকা থেকে তেলযুক্ত খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চ চর্বিযুক্ত বাদ দেয়া উচিত।
অসম্পৃক্ত তেল হিসেবে ব্যবহার করা সূর্যমুখী তেলে বেশ ভালো মাত্রার চর্বি রয়েছে।তাই কম পরিমাণে অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এ ক্ষেত্রে আরও ভালো ফল দিতে পারে।'
আবার তেলজাতীয় সব খাবারই যে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর সেটা ভাবলে ভুল হবে।যেমন-অলিভ অয়েল।অলিভ অয়েলে আছে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধকরা পলিফেনল উপাদান ও হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক মনোআনস্যাচারেইটেড ফ্যাট।
সম্প্রতি স্থূলতা বিষয়ের উপর করা এক গবেষণায় জানা যায়- শর্করা বা আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি খাবার শরীরে অ্যাডিপোনেক্টিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।অ্যাডিপনেক্টিন হচ্ছে এমন একটি হরমোন যা শরীর থেকে চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং যত বেশি অলিভ অয়েল খাওয়া হবে ততবেশি বিএমআই কমার প্রবণতা থাকবে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর