Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ৪ জুন ২০২০
আপডেট: ০১:০০, ৪ জুন ২০২০

করোনা মহামারির মধ্যেও সন্তানকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি বিশ্বব্যাপী ভীতিকর ও অনিশ্চিত এক পরিস্থতি তৈরি করেছে। অনেক অভিভাবক জানতে চাইছেন,এই মহামারির সময়ে সন্তানের নিয়মিত টিকা নেওয়ার কি হবে?

কোভিড-১৯ আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যাহত করলেও,কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও সন্তানকে নিয়মিত টিকা দেওয়া উচিত। যেখানে সেবা মিলছে সেখান থেকেই সন্তানকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করুতে হবে। শিশু ও নবজাতককে সঠিক সময়ে তাদের টিকাগুলো দিয়ে ফেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টিকা শিশুদের জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে। এর অর্থ হলো, একটি শিশু যখন অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে যাবে, তখন কিছু রোগের সংক্রমণ থেকে তারা সুরক্ষিত থাকবে।

কোথা থেকে টিকা নিতে হবে যদি তা জানা না থাকে অথবা টিকাদান কার্যক্রম যদি চালু না থাকে, তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর স্মরণাপন্ন হতে হবে। কারণ, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেবা প্রদান পদ্ধতিও বদলে ফেলছেন। শিশুর নির্ধারিত পরবর্তী টিকা নিতে যদি ক্লিনিকে যেতে না পারলে; এই সেবা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চেষ্টা করার জন্য কোথাও একটি নোট লিখে রাখতে হবে।

টিকা কতটা মূল্যবান তা এই করোনাভাইরাসের মহামারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। মহামারির এই পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, যখন কোনো রোগের টিকা থাকে তখন অবশ্যই শিশু ও আমাদের নিজেদের যথা সময়ে সেই টিকা নেওয়া উচিত। আর টিকা নেওয়া না থাকলেই মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। যেমন, হাম ও অন্য কিছু রোগ এখনো মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, এসব রোগের টিকা রয়েছে।

টিকা আমাদের শরীরে একটি জীবাণুকে (ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাস) নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে তার সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় করতে সহায়তা করে। যতক্ষণ ওই জীবাণু নিষ্ক্রিয় থাকে ততক্ষণ সেটি আমাদের অসুস্থ করতে পারে না।

মোট কথা, টিকা আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এরপর কোন জীবাণু যদি আবার সংক্রমণ করে, তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই, কেননা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জানে কীভাবে তার সাথে যুদ্ধ করতে হবে। 

 

সূত্র: ইউনিসেফ  

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়