নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৮, ৪ জুন ২০২০
আপডেট: ০৩:১৪, ৪ জুন ২০২০
আপডেট: ০৩:১৪, ৪ জুন ২০২০
করোনায় মামুলি জ্বরেও যদি মনে ভয় ধরে
করোনা আতঙ্কে মানুষ ভুলেই গিয়েছেন সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার কথা। প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে যে নিয়ম করে আসে। এ বছরও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি এবং তা বাড়ছেও ক্রমাগত।
সাধারণ ফ্লুয়ের সঙ্গে এ বছর যোগ হয়েছে বাড়তি ভয়।একটু গা-গরম হলেই এখন টেনশন। সঙ্গে কাশি ও গলাব্যথা থাকলে তো কথাই নেই।
কিন্তু সত্যিই কি এত ভয় পাওয়ার কিছু আছে?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে হালকা থেকে মাঝারি জ্বরের সঙ্গে গা ম্যাজম্যাজ, একটু সর্দি ভাব, কখনও নাক দিয়ে জল পড়া বা নাক বন্ধের মতো উপসর্গ থাকে। কাশিও হতে পারে তবে তা এমন যাতে মনে হয় কফ তোলার জন্য কাশছে, কিন্তু কফ উঠছে না।
চিকিৎসকরা বলেন,এ অবস্থায় খুব একটা চিন্তার কিছু নেই।ঘরে বিশ্রামে থাকুন। গরম জলের ভাপ নিন। হালকা খাবার ও পর্যাপ্ত তরল খাবার খান। জ্বর বাড়লে প্যারাসিটামল খান। মাল্টিভিটামিনও খেতে পারেন। মাস্ক পরে বাড়ির অন্যদের থেকে দূরে থাকুন। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে পরিবারের অন্য কারও সূত্রে করোনা ঘরে এলে সবার প্রথমে তা রোগীর শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।“
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার জ্বর ও কষ্ট মোটামুটি ২-৩ দিন থাকে। তার পর কমে যায়। বা কমতে শুরু করে। কিন্তু যদি তা না হয়, ৪-৫ দিন পরও জ্বর থাকে ও জ্বর বাড়তে শুরু করে, রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন কিংবা ডায়ারিয়া, সর্দি কমে গিয়ে শ্বাসকষ্ট বা কাশির মাত্রা বাড়তে থাকে তা হলে সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের পরীক্ষা করা উচিত।”
কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন?
• খুব বেশি জ্বর হবে এমন কোনও কথা নেই। হালকা গা গরম থেকেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ভাইরাল ফ্লু।
• জ্বরের সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, দুর্বল লাগা, স্বাদে অরুচি এগুলি অসুখের অন্যতম লক্ষণ।
• জ্বরের সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা অনুভব বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থাকে।
• অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে নাক দিয়ে কাঁচা জল ঝরা, সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে।
তা হলে কি জ্বর হলেই পরীক্ষা করে নেওয়া ভাল? কারণ পরে যদি ধরা পড়ে যে কোভিড ছিল, তত দিনে তো অনেক মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে যাবে?
চিকিৎসকদের মতে, “সেটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে এমনিতেই শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তার উপর গা ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টেস্ট করালে সেখান থেকেই রোগ এসে যেতে পারে। সংক্রমণের প্রথম অবস্থায় রিপোর্টেরও আবার ফলস পজিটিভ, ফলস নেগেটিভ আছে। তাই এক বার পরীক্ষা হলেই তা নিয়ে নিশ্চয়তার কিছু নেই। তাই জ্বর এক দিন দু’দিন থাকলেই তা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তাছাড়া এমনিতেও কো-মর্বিডিটি না থাকলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোভিড এত হালকা ভাবে থাকে যে প্যারাসিটামল খেলে ও একটু বিশ্রামে থাকলেই ঠিক হয়ে যায়। কাজেই জ্বর এলেও প্রতিটি সিদ্ধান্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো নিন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
সর্বশেষ
জনপ্রিয়