শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে ব্যায়াম

করোনাভাইরাস এত তাড়াতাড়ি পৃথিবীর বুক থেকে যাচ্ছে না। তাই একে সঙ্গী করেই আমাদের জীবনযাপন করতে হবে। করোনা প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ম মানতে বলছে। করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সচেতনতা।

এরই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি সুষম খাবার, ফুসফুসের এক্সারসাইজ, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং বুকে জমে থাকা কফ বের করে তাদের সুস্থ করে তুলতে রেসপিরেটরি ফিজিওথেরাপিস্ট সাহায্য করছেন, আর এতে সুফলও মিলছে।

বয়স্করা শারীরিক কাজকর্ম না করার ফলে রক্তে থাকা খারাপ হরমোন-কর্টিসল, পিএআই এর পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্ত জমাট বাধার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতে তারা হার্টের রোগ এবং ব্রেইনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই প্রোন পজিশনে থেকে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন।

যাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে তাদের পেটের চর্বির জন্য ফুসফুসের নিচের অংশের কার্যক্ষমতা কমে যায়। বাসায় থেকে পেটের এক্সারসাইজ, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ (হাঁটাহাঁটি, জগিং, সিঁড়িতে ওঠানামা করা), স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ, রেসিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ (ডাম্বেল অথবা থেরাব্যান্ড দিয়ে) করতে পারেন।

এই ধরণের ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। এ সময় ব্রিদিং এক্সারসাইজ করার জন্য নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে তা ৫ সেকেন্ড ধরে রাখবেন এবং মুখ দিয়ে তা ধীরে ধীরে শ্বাস ছেড়ে দেবেন। ৫ বার করার পর ৬ষ্ঠ বারের সময় কাশি দেবেন। এর ফলে ফুসফুসের দূরবর্তী ক্ষুদ্ররন্ধ্রে থাকা কফ কাশির মাধ্যমে বের হয়ে আসবে।

বয়স্করা অনেক ক্ষেত্রেই ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রকম হৃদরোগ ও শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত। এসব রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে মেডিসিনের পাশাপাশি থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ করতে পারেন।

হার্ট একটি মাংসপেশি। এর সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমেই ওষুধের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট  অ্যারোবিক এক্সারসাইজ, স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ, রেসিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

সিঁড়িতে ১০টি ধাপ ওঠানামা করুন অন্তত ২-৩ বার। এতে ফুসফুস এবং হার্টে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকবে। নাক দিয়ে যে সময় ধরে শ্বাস নেবেন, মুখ দিয়ে তার চেয়ে বেশি সময় ধরে শ্বাস ছেড়ে দেবেন। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন।

আইনিউজ/এসডিপি