স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেট: ১৩:৫০, ২৩ জুলাই ২০২০
যেসব লক্ষণে বুঝবেন অ্যাপেন্ডিক্স বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে
ফাইল ছবি
বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট থলের মতো অঙ্গ অ্যাপেন্ডিক্স। এই অঙ্গটি অতিরিক্ত একটি অঙ্গ। আমাদের দেহে এই অঙ্গের কোনো কাজ নেই। তবে বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের জন্য এই অঙ্গটি জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি তৈরি করে। যে রোগের নাম অ্যাপেনডিসাইটিস।
অ্যাপেনডিসাইটিস এর কারণে আপনার মৃত্যুও হতে পারে। শ্লেষ্মা, পরজীবী বা পায়খানা আটকে যদি অ্যাপেন্ডিকিক্সের মুখ বন্ধ হয়ে যায় তখনেই বিপত্তিটা ঘটে। এর ফলে হঠাৎ করেই তীব্র প্রদাহ তৈরি হয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা সংক্রমিত হয়।
আর তখনই অ্যাপেনডিসাইটিসের প্রথম লক্ষণ দেখা দেয়। আর প্রথম লক্ষণ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আর নয়তো বিপদ ঘটে যাবে। দেরি হলেই অ্যাপেনডিক্স বিস্ফোরিত হয়ে তলপেটসহ পুরো পাকস্থলিতেই ঝিল্লির প্রদাহ ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে রক্তে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
প্রথমে নাভির চারপাশে হালকা ব্যথা দিয়ে শুরু হবে এই ব্যথা। পরে তা তলপেটের ডান পাশে তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়বে। বাম পাশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাঁটলে, পা বা তলপেট নাড়ালে, হাসলে, কাশি দিলে বা হাঁচি দিলে অথবা উঁচুনিচু রাস্তায় গাড়িতে যাওয়ার সময় ঝাঁকি খেলে এই ব্যথা আরো বাড়তে থাকে।
অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা খুব দ্রুত বাড়ে। অনেক সময় মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। অনেক সময় এই ব্যথা এত তীব্র হয় যে তা রোগীকে গভীর ঘুম থেকেও জাগিয়ে তুলতে পারে।
এই লক্ষণগুলো সাধারণত নির্দেশ করে যে আপনার দেহের কোথাও সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে যদি তলপেটে তীব্র ব্যথা থাকে তাহলে এসব লক্ষণ নিশ্চিতভাবেই অ্যাপেনডিসাইটিসের বহিঃপ্রকাশ।
পাকস্থলিতে সংক্রমণ হলেও এমন লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু কেউ যদি টানা ১২ ঘণ্টা ধরে বারবার বমি করতে থাকে এবং তলপেটে তীব্র ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়াও হয় তাহলে ধরে নিতে হবে তার অ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে।
পেট ফোলা বা ফাঁপা এবং অনবরত বায়ুত্যাগের ঘটনা কখনো সখনো স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে। কিন্তু টানা আট ঘণ্টা ঘুমানোর পরও যদি পেট ফাঁপা দূর না হয় এবং পরের কয়েকদিন ধরে থাকে তাহলে আপনার অ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে। এর পাশাপাশি আপনার তলপেটেও ব্যথা থাকবে।
এসবের কোনো একটি বা একাধিক লক্ষণ দেখা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে ও হাসপাতালে চলে যান। কারণ কোনো ওষুধে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়। এর একমাত্র চিকিৎসা হলো বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেনডিক্স নামের ওই অদরকারি অঙ্গটি কেটে ফেলে দেয়া।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর