নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৪:৩০, ২৬ আগস্ট ২০২০
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই আবজাল কারাগারে
ফাইল ছবি
৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী আবজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ আগস্ট) আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে আবজালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। সংশ্লিষ্ট কোর্ট অফিসার মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২৭ জুন আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ২৮৪ কোটি টাকা পাচার, ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আট কোটি টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঢাকা-১-এ করা মামলা দুটির মধ্যে প্রথমটিতে রুবিনার সঙ্গে তার স্বামীকে আসামি করা হলেও দ্বিতীয়টিতে শুধু আবজালকে আসামি করা হয়।
মামলাগুলো মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনের ২৬ (২) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
এক মামলায় বলা হয়, রুবিনা খানম ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা মানিলন্ডারিং (পাচার, স্থানান্তর ও রূপান্তর) করেছেন। আর তথ্য গোপন করেছেন পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার। এ ছাড়া ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এজাহারে বলা হয়, আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানম নিজ নামে ট্রেড লাইসেন্স খুলে তার স্বামীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঠিকাদারি শুরু করেন। তারা কথিত ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সংশ্লিষ্ট মালামাল সরবরাহের নামে অবৈধ প্রক্রিয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেন।
রুবিনা তার স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করার পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিজ নামে, তাদের মালিকানাধীন রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও রূপা ফ্যাশনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৭টি হিসাব খোলেন। ওইসব হিসাবে সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে ২৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৩ টাকা জমা হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এসব টাকা পাচার ও পাচারের যড়যন্ত্র করেন আবজাল-রুবিনা।
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর