স্বাস্থ্য ডেস্ক
তরুণরা এখন কোলন ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন!
কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার সাধারণত ৪০ কিংবা ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের হতে দেখা যায়। কিন্তু নতুন একটি জরিপে মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর থেকে কম বয়সী মানুষেরা গত কয়েক বছরে রোগটিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রোগটি আবার মধ্যবয়সীদের কম হচ্ছে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত ৫০ বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অর্ধেক রোগীর বয়সই ৬৬ বছরের কম। দুই তৃতীয়াংশের বয়স ৪৯’র ভেতরে।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪৫ বছর বয়স হলেই নিয়মিত চেকআপ করা উচিত। কিন্তু অন্য বিশেষজ্ঞরা তাদের গাইডলাইনে আগের মতো ৫০ বছর রেখেছেন।
হওয়ার কারণ: পরিবেশ ও জিনগত কারণে বৃহদন্ত্র ও মলাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি পায়। খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি, ধূমপান ও মদ্যপান এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
স্থূলকায় ব্যক্তিদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে ব্যায়াম ( বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে) এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। বৃহদন্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সার হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস রোগটির সম্ভাবনা বাড়ায়। বিশেষ করে মা, বাবা, ভাই কিংবা বোনের বৃহদন্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সার হওয়ার ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ে। এ ছাড়া অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
লক্ষণ: প্রাথমিকভাবে কোলন ক্যান্সার নির্ণয় অত্যন্ত কঠিন। কেননা প্রথমদিকে রোগটির তেমন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না।
কোলন বা মলাশয়ের কোন জায়গায় ক্যান্সার রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে উপসর্গের বিভিন্নতা দেখা যায়।
মলের সঙ্গে রক্ত কিংবা পেটে ব্যথা নিয়ে অধিকাংশ রোগী প্রথম চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন ( কখনও ডায়রিয়া, কখনও কষা), রক্তশূন্যতা (দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট) ইত্যাদি রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ।
অবস্থা গুরুতর হলে- অতিরিক্ত ওজনশূন্যতা, পেটে চাকা, পেটে পানি, কাশির সঙ্গে রক্ত ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে আসেন।
প্রতিরোধে করণীয়: কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত আঁশযুক্ত, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ও খনিজযুক্ত খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, মদ্যপান ও ধূমপান পরিহার করাও এই ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রোগনির্ণয়ের জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো জরুরি।
এই সময়ে কোলন ক্যান্সারের খুব ভালো চিকিৎসা দেশেই রয়েছে। চিকিৎসায় শত শত রোগী বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থভাবে জীবন যাপন করছে। সুতরাং প্রতিরোধ ও প্রতিকারযোগ্য এই ক্যান্সারকে প্রতিহত করার জন্য দরকার একটুখানি সতর্কতা ও সচেতনতা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা।
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর