স্বাস্থ্য ডেস্ক
ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
ওসিডির অন্যতম লক্ষণ
সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। বিশেষ করে মহামারি থেকে বাঁচার একমাত্র রক্ষা কবচই হচ্ছে নিজে এবং ঘর বাড়ি পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত রাখা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে সবাই এর উপর জোর দিচ্ছেন। তবে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি যখন খুঁতখুঁতিতে পরিণত হয়, তখনই সমস্যা দেখা দেয়।
বারবার হাত ধোয়া, ঘনঘন ঘর বাড়ি পরিষ্কার করা কিংবা আলমারি গোছানো। এগুলো উদ্বেগজনিত ব্যাধির লক্ষণ হতে পারে। একে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার বা ওসিডি। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যুক্তিহীন অবসেশন এবং কম্পালসনের এক চক্রের মধ্যে আটকে পড়েন। এর ফলে অবাঞ্ছিত চিন্তার সৃষ্টি হয়। যা মানসিক যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। ওসিডি-র লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তবে জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন আপনি ওসিডিতে আক্রান্ত-
• মহামারির এই সময় বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তবে জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়ার ভয়ে অতিরিক্ত হাত ধোয়া ওসিডির লক্ষণ হতে পারে। আপনার যদি দিনে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হাত ধোওয়ার বা স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাস থাকে, তবে তা সত্যিই ভাবনার বিষয়।
• সবকিছু বারবার চেক করা। ঘর থেকে বের হবেন কিংবা বাসায় থাকছেন। বারবার গিয়ে দরজা লক করা কিনা, গ্যাস বন্ধ আছে কিনা এবং অন্য সবকিছু বারবার চেক করা এই ব্যাধির লক্ষণ হতে পারে। ওসিডি-তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩-৪ ঘণ্টা অন্তর সবকিছু পুনরায় চেক করা একটি সাধারণ আচরণ।
• কারো কারো অভ্যাস আছে সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় গুনতে থাকা বা নিউমেরিকাল প্যাটার্ন অনুযায়ী কাজ করা। এই আচরণগুলো বেশিরভাগই কুসংস্কার ভিত্তিক। তারা আশঙ্কা করে যে, তারা যদি এই কাজটি না করে তবে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। এটি কিন্তু ওসিডির অন্যতম লক্ষণ।
• ওসিডি-তে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে সবকিছু করে। যেমন ধরুন, ডেস্কের বামদিকে ফোন এবং ডানদিকে পানির বোতল রাখা। সবসময় একইভাবে এক জিনিস রাখা। এদিক ওদিক করবে না কিছুই। তারা তাদের চারপাশের জিনিসপত্রের স্থান নির্ধারণ এবং সেগুলোর পরিবর্তনের বিষয়ে তারা খুব খুঁতখুঁতে।
• ওসিডি-তে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই সবকিছুতে নিখুঁত থাকতে চান। তারা তাদের লুক বা শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশের ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকেন। ধরুন আপনি একবার চুল বেঁধেছেন। মনে হলো একটু বুঝি এলোমেলো লাগছে। আবারো খুলে চুল বেঁধে নিলেন। একদম পারফেক্ট হওয়া চাই সব কিছু। এটি কিন্তু ওসিডির অন্যতম লক্ষণ।
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর