ঝালকাঠিতে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের দাবি

ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এসএম কামাল উদ্দিনের (৪৫) গ্রেফতার দাবি করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার ঝালকাঠি সদর উপজেলার তেরআনা শাহমাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কামাল উদ্দিন নিজ বাসায় তার মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা তার স্ত্রী দেখে ফেললে সে তার স্বামী ও ধর্ষিতা উভয়কে জুতা পেটা করে। তার স্ত্রীর চিৎকারে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপরে কামাল উদ্দিন গা ঢাকা দেয়। গত রবিবার (১৮ আগস্ট) কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর হতে অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষিতা ছাত্রী কামাল উদ্দিনের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো এবং তেরআনা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। পুলিশ জানায়, কয়েক বছর ধরেই কামাল উদ্দিন গরীব মেয়েটিকে তার বাসায় রাখার সুবাদে নির্যাতন এবং ভোগ করতো। গত শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীটিকে কামাল উদ্দিনের মেঝো ভাই ওয়াহেদের বাসায় আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে পুলিশ শনিবার রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঝালকাঠিতে নিয়ে আসে। মেয়েটির বাড়ি বরিশালের বানাড়ীপাড়া উপজেলার করপাড়া গ্রামে। তেরআনা মাদ্রাসা সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগেও অধ্যক্ষ কামালের বিরুদ্ধে এই মাদ্রসার আলিম শাখার এক ছাত্রীকে ধষর্নের অভিযোগ উঠেছিলো। তখন বিষয়টি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে তিনি ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গাইন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রের্কড হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। এদিকে এ ব্যাপারে কামাল উদ্দিনের  মোবাইল মোবাইলে বার বার কল করা হলেও তার সেল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তার আত্মীয় স্বজনরাও এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। ঝালকাঠি প্রতিনিধি/ইএন