স্বাস্থ্য ডেস্ক
ঘরোয়া উপায়ে সাইনাস দূর করবেন যেভাবে
ফাইল ছবি
শীতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আগে থেকে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোও এই সময় একেবারে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে সাইনাসের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে।
চিকিৎসা পরিভাষায় এটিকে বলা হয় ‘সাইনোসাইটিস’। এই প্রকোষ্ঠগুলোর ঝিল্লিপর্দায় বায়ু চলাচল স্বাভাবিক না থাকলে অথবা মিউকাস জমলে প্রবল প্রদাহ হয়। ফলে সাইনাসে ব্যথা হয়। অনেকের নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এই সমস্যা হয়। আবার অ্যালার্জির কারণেও সাইনোসাইটিস হয়।
জানেন কি? সাইনাস কোনো রোগ নয়, সাইনাস আমাদের মাথায় অবস্থিত একটি প্রকোষ্ঠ, যার কাজ ভেন্টিলেশনকে ঠিক রাখা। সেই ভেন্টিলেশনের কাজে বিঘ্ন ঘটলে যে সমস্যা হয় তাকেই ‘সাইনাস’ বলা হয়।
এক্স-রে করলে সাইনাসের জায়গাটি ঘোলাটে দেখালেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন সমস্যা। এই ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উত্তম। তবে ঘরোয়া কিছু উপায়ে সাইনাসের সমস্যা দূর করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব-
গরম খাবার খান
সাইনাসের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার গরম খাবার। এক্ষেত্রে তরলজাতীয় খাবার যেমন স্যুপ, চা বেশি কাজ করে। এতে নাসারন্ধ্রে জমে থাকা মিউকাস অনেক তরল হয়ে যায়। দূর হয় কপালে চাপ ধরে থাকা ব্যথাও।
গরম ভাপ নিন
ধোঁয়া ওঠা ফুটন্ত গরম পানিতে এক-দুই ফোঁটা এসেনশিয়াল ইউক্যালিপটাস অয়েল ফেলে সেই পানি ইনহেল করুন। এই সময়ে মাথা একটা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিলে পুরো বাষ্পটাই গিয়ে ধাক্কা মারবে জমে থাকা মিউকাসে। ফলে উপকার পাবেন তাড়াতাড়ি।
বিশ্রাম নিন
যদি খুব বেশি ব্যথা হয়, মাথা তুলতে না পারা যায়, তাহলে শুধু ভালো করে বিশ্রাম নিলে ব্যথা সেরে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভালো করে ঘুমালেও কাজ দেয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক দুই ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল আঙুলে নিয়ে নাকের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ঘুমের সময়টুকু আরাম পাবেন।
প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
প্রচুর পরিমাণ পানি খান। এতে অ্যাসিডিটি এড়ানো যাবে। অ্যাসিডিটি যত কমবে ততই কমবে মিউকাস। এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, হাফ চামচ হলুদ, সামান্য আদা কুচি, লেবু, সামান্য গোলমরিচ, তিন চার কোয়া রসুন দিয়ে পানি ফোটান। ফুটে গেলে আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে খান। এতে মধুও দিতে পারেন।
নাক দিয়ে পানি টানা
নাক দিয়ে পানি টানার চেয়ে ভালো ঘরোয়া পদ্ধতি সাইনাসের ক্ষেত্রে আর কিছু নেই। তবে এটা একদিনে অভ্যাস করা মুশকিল। সামান্য উষ্ণ গরম পানি হাতে নিয়ে এক নাক দিয়ে টেনে, অন্য নাক দিয়ে বার করে দিতে হয়। এই পদ্ধতিতে শ্বাসনালি পুরো পরিষ্কার হয়ে যায়। খুব তাড়াতাড়ি সাইনাসের রোগী আরাম পান।
ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন
ক্রনিক সাইনাস থাকলে দুগ্ধজাতীয় খাবার, ময়দা, ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারে পেঁয়াজ, রসুন, আদার ব্যবহার বাড়ান। শরীর শুকিয়ে গেলে সাইনাস শুকিয়ে যাবে। তাই শরীরকে আর্দ্র রাখা জরুরি। সারাদিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি খেলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি খেলে আরো ভালো। এটি ন্যাজাল মিউকাস ভেলোসিটি বাড়িয়ে সাইনাস বের করতে সাহায্য করে।
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর