স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেট: ১৬:৪২, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
ন্যাচারোপ্যাথি আসলে কী?
‘ন্যাচারোপ্যাথি’ পদ্ধতিতে চিকিৎসার খবর প্রায়শই শোনা যায়। দিনদিন বাড়ছে এ পদ্ধতিতে সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপকরণকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সংমিশ্রণে তৈরি এ পদ্ধতিকেই অনেকেই বলছেন ভবিষ্যতের চিকিৎসা। তাই সহসাই মনে প্রশ্ন জাগবে-
এই ‘ন্যাচারোপ্যাথি’ ব্যাপারটা আসলে কী?
শরীরের মধ্যেই রয়েছে সকল রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। যদি শরীরকে দেয়া যায় তার প্রকৃতপক্ষে যা প্রয়োজন যেমন- সঠিক খাদ্য, নিরাপদ পানি, দূষণমুক্ত বাতাস, সূর্যের আলো, ব্যায়াম এবং বিশ্রাম। শরীর, মন ও উদ্যম একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। ন্যাচারোপ্যাথি সে কথাই বলে।
প্রকৃতির শক্তিই প্রকৃত শক্তি আর সেই শক্তি নিয়েই সমস্ত শারিরিক, মানসিক ও আত্নিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কার ও উদ্ভাবনই প্রকৃতি নির্ভর।
আকুপাংচার
পারমাথেরাপি কী?
পারমাথেরাপি হলো স্থায়ীভাবে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় ব্যবস্থা। পারমাথেরাপি বর্তমানে বিশ্বে যত রকম রোগ নিরাময় ব্যবস্থা আছে তার নির্যাস। পারমাথেরাপি মতে পৃথিবীতে এমন কোন রোগ নেই যার চিকিৎসা বা নিরাময় ব্যবস্থা নেই।
পারমাথেরাপি প্রাচীন লোকায়ত নিরাময় জ্ঞান ও পদ্ধতির সাথে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমন্বয় করেছে। এ পদ্ধতি যে কোন রোগের স্থায়ী নিরাময় ব্যবস্থার পরামর্শ ও ব্যবস্থা দিয়ে থাকে।
পারমাথেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিরাপদ প্রযুক্তি ও প্রাচীনকালের আবিষ্কৃত নিরাময় পদ্ধতি একই সাথে প্রয়োগ করে, ফলে রোগ স্থায়ীভাবে নিরাময় ত্বরান্বিত হয় এবং শরীরে দূর্ভেদ্য প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। ন্যাচারোপ্যাথি ও পারমাথেরাপির মূল বিষয়াবলী হলো প্রকৃতির শক্তি দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ও স্থায়ী নিরাময়।
আপনি জানেন কি?
এমন অনেক রোগব্যাধি , শারীরিক ও মানসিক জটিলতা আছে যার সঠিক চিকিৎসা বা নিরাময় ব্যবস্থা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে নেই। একইভাবে কালের বিবর্তনে শিল্পায়নের ফলে বর্তমানে এমন অনেক জটিল, কঠিন ও নুতুন নুতন রোগব্যাধি এবং মানসিক ও শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে যার নিরাময় ব্যবস্থা প্রাচীন লোকায়ত চিকিৎসা পদ্ধিতেও নেই, অথচ পৃথিবীতে যত প্রকার রোগব্যাধি আছে তা নিরাময়ের জন্যে বিধি-বিধান এবং প্রাকৃতিক উপকরণও আছে।
এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রাচীন লোকায়ত জ্ঞান ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার সমন্বয়ে ড. নিম হাকিম, প্রতিষ্ঠাতা- ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড হারবাল রিসার্চ এন্ড ডেভেলোপমেন্ট (আইসিআইএইচআরডি) কর্তৃক উদ্ভাবিত ন্যাচারোপ্যাথি ও পারমাথেরাপি পদ্ধিতে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় ব্যবস্থা দিয়ে থাকেন।
ন্যাচারোপ্যাথি ও পারমাথেরাপি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মৌলিক আবিষ্কার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। কপিরাইট নং ১৪৪৯৪- সিওপিআর।
ন্যাচারোপ্যাথি ও পারমাথেরাপি নিরাময় ব্যবস্থায় কোন বিপরীতমুখী ও পার্শ্বপতিক্রিয়া নেই, সম্পূর্ন নিরাপদ এই পদ্ধিতে আপনিও উপকৃত হতে পারেন।
ন্যাচারোপ্যাথি চিকিৎসার রয়েছে বিভিন্ন শাখা
- আকুপাংচার
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি একটি চীনা পদ্ধতি। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এর চাহিদা ব্যাপক। এই পদ্ধতিতে শরীরের অভ্যন্তরীণ চ্যানেলের বিভিন্ন বিন্দুতে সূঁচ প্রয়োগ করে রোগের চিকিৎসা করা হয়।
- আকুপ্রেশার
প্রায় আকুপাংচারের মতোই। কিন্তু এই পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ চ্যানেলের বিন্দু সুচের বদলে কাঠ জাতীয় বস্তু দিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়।
- নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট (Nutrition & Diet)
আমরা দেহের প্রয়োজনেই খাদ্য গ্রহণ। কিন্তু নির্দিষ্টের বেশি পরিমাণে খাদ্য নিলে যেমন অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে তেমনি কম নিলেও ঝুঁকি থাকে।
তাই দৈনিক খাদ্যতালিকায় খাদ্য ও পুষ্টির সুষম পরিমাণ নির্ধারণের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট থেরাপি।
- রিফ্লেক্সোলোজি
আমাদের শরীরের সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরই একটি কেন্দ্র রয়েছে। গ্রন্থিগুলোর কেন্দ্র রয়েছে হাতের তালু এবং পায়ের তলায়। রিফ্লেক্সোলজিতে তাই হাত এবং পায়ের তলায় থেরাপি করে চিকিৎসা করা হয়।
- মাটি চিকিৎসা
আমরা প্রকৃতির শ্রেষ্ট জীব হলেও এটাও মনে রাখতে হবে আমরা এই পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই আমাদের শরীরের সাথে সম্পর্ক রয়েছে প্রকৃতির। মাটি, বায়ু, সূর্য সবই প্রকৃতির মৌলিক উপাদান এবং শক্তি। এদের রয়েছে শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান, যা মানব দেহের রোগ নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যেমন, সূর্যরশ্মি ভিটামিন ’ডি’ সংশ্লেষণে সাহায্য করে।
যোগ বা ইয়োগা
ইয়োগার যে চর্চা আমাদের দেশে দেখা যায় সেগুলো মূলত, ইয়োগার একটি অংশ, ইয়োগা আসনসমূহ। প্রকৃত অর্থে ইয়োগা বা যোগের ক্ষেত্রটি ব্যাপক। BNYS কোর্সে ইয়োগার দর্শন, উৎপত্তিসহ সকল শাখার তাত্ত্বিক অধ্যয়ন এবং ব্যবহারিক অনুশীলন শেখানো হয়। প্রাচীন ইয়োগা গুরু মহাঋষি পতঞ্জলীর মতে, ইয়োগার ৮ টি অনুশীলন ধাপ রয়েছে । সেগুলো হলো
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর