Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২১ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ২৩:৩২, ২১ এপ্রিল ২০২১

পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কী করবেন?

করোনা রোগীর চিকিৎসা। ফাইল ছবি

করোনা রোগীর চিকিৎসা। ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসে বিপন্ন মানবজাতি। ভাইরাসটি প্রতিদিন গোটা বিশ্বজুড়ে কেড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার প্রাণ। এর প্রভাবে বাংলাদেশও বিপর্যস্ত। দেশে আক্রান্ত এবং শনাক্ত বাড়ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

করোনাভাইরাস এমন এক ভাইরাস, যা সাধারণ ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতোই প্রথমে আক্রমণ করে ফুসফুসে। এই ভাইরাস থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। আর ভাইরাসটি একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায়। তাই পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর ঝুঁকি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ভয় নয়, ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনামতো পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।

করোনা শনাক্ত হলেই যেতে হবে আইসোলেশনে

আক্রান্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে

পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা তার মধ্যে ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে তাকে আইসোলেশনে পাঠাতে হবে। কেননা সংক্রমণ এড়াতে হলে আইসোলেশনের বিকল্প নেই।

সাধারণত করোনাভাইরাস একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে আইসোলেশনে থাকলে সংক্রমিত ব্যক্তির শরীর থেকে ভাইরাসটি কোথাও ছড়াতে পারে না। ফলে এক পর্যায়ে ভাইরাসটি ধ্বংস হয়ে যায়। তাই কমপক্ষে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে কোভিড রোগীকে।

পরিবারের বাকি সদস্যদের খেয়াল রাখা

করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদেরও খেয়াল রাখতে হবে। তারা যেনো কোনোভাবেই সংক্রমিত ব্যক্তির পাশে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের।

আক্রান্ত ব্যক্তি বয়স্ক হলে সেবাদানকারীকে সাবধানতার সাথে সকল কাজ করতে হবে। কেননা যে সেবা দিবে তার শরীরে করোনা ছড়াতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

আক্রান্ত রোগীকে সময়মতো খাবার-ওষুধ দিতে হবে

আক্রান্ত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখা

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখলেই হবে না। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। হালকা উপসর্গ থাকলে বাসায় থেকেই করোনামুক্ত হওয়া যায়। তবে উপসর্গ বাড়তে থাকলে দেরি না করে হাসপাতালে নিতে হবে।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন বলেছেন, প্রত্যেক শনাক্তকারী রোগীকে যদি প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে তাদের অবস্থা গুরুতর হবে না। আর এতে রোগ সংক্রমণ এবং মৃত্যু কমে যাবে।

পরিবারের সকলের মধ্যে হাত ধোঁয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সকলকেই

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, করোনা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বাসায় কেউ আক্রান্ত হলে তার পাশাপাশি অন্য সদস্যদেরও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

২০ মিনিট পর পর হাত ধোয়াসহ বাসা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পরিবারের সবার মধ্যে গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ বাড়ে এমন খাবার খেতে হবে নিয়মিত।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সবসময়

যেকোনো প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবারের প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক নিতে হবে পরামর্শ নিতে হবে।

তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত হলে ভয় না পেয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত পরিকল্পনা থাকলে মহামারি মোকাবেলায় সফল হওয়া সম্ভব।

ডাক্তারের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখুন

মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে

বর্তমানে দেশে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগকে নিতে হচ্ছে হাসপাতালে। এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা দিয়েছে সিট-আইসিইউ সংকট। তাই পরিবারের সবাইকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা রোগীকে যেকোনো সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়ে পারে।  এছাড়া কিছু টাকা জোগাড় করে রাখুন, কাজে লাগতে পারে।

তবে সবচেয়ে বড় বিষয় কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকে জোগাতে হবে সাহস। তার মনোবল ভাঙতে দেয়া যাবে না। তাই সুস্থ থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। কেননা আপনার সুস্থতা আপনার হাতে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়