স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেট: ২৩:২৩, ৪ মে ২০২১
যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হলে সহজে কোনো রোগ আক্রান্ত করতে পারে না। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একবার দুর্বল হয়ে গেলে চিকিৎসা ও ওষুধ ছাড়া উপায় নেই।
রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার চাইতে রোগকে প্রতিরোধ করা উত্তম। আর এই কাজে সবচাইতে কার্যকর হলো আমাদের শরীরের ‘ইমিউন সিস্টেম’ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
তাই সুস্থ থাকতে করোনাভাইরাসের এই সময়টাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। কিন্তু তার আগে জানতে হবে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কি-না। আসুন জেনে নিই কীভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে-
পেটের সমস্যা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, “রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি বড় অংশ থাকে মানুষের অন্ত্রে। ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল ট্র্যাক্ট’য়ে অসংখ্য উপকারী ব্যাক্টেরিয়া থাকে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সরবরাহ করে। অন্ত্রের এই ব্যাক্টেরিয়ার মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে সংক্রমণের শিকার হওয়া আশঙ্কা বেড়ে যাবে স্বভাবতই। পাশাপাশি বাড়ে বিভিন্ন ‘অটোইমিউন ডিজিজ’ ও প্রদাহের আশঙ্কা।
অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া খাবার হজম করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এদের অভাবে বিভিন্ন পেটের সমস্যা বেড়ে যাবে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার পূর্বাভাস।
মুখের আলসার
জিহ্বা বা গালের ভেতরের অংশে কামড় বসিয়ে দিলে মুখে আলসার হতে দেখা যায়। তবে কারণে অকারণে ঘন ঘন আলসার হওয়াও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ।
এছাড়া মানসিক চাপে থাকলেও মুখে ঘা হতে পারে। সেটাও প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।
প্রায়ই অসুস্থ হওয়া, সেরে উঠতে সময় বেশি লাগা
ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া মানে যে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল সেটা বোঝার জন্য সামান্য সাধারণ জ্ঞানই যথেষ্ট। এই দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে প্রবেশ করা ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছেনা বলেই আপনি অল্পতেই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি সুস্থ হতেও সময় লাগবে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বছরে যদি কারও তিনবার সর্দি লাগে আর তা সেরে উঠতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সময় লাগে, তবে বুঝে নিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এছাড়া কাটাছেড়া বা অন্যান্য ক্ষত সারতে দেরি হওয়াও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপসর্গ।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজজি’র মতে, “কারও যদি বছরে দুবার অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয় কিংবা সামান্য ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ যদি গুরুতর আকার ধারণ করে তবে বুঝতে হবে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাজনীত রোগ হয়েছে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।”
প্রচণ্ড অবসাদ
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামের পরও যদি কারও নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় তবে সেটাও হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বল হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস।
যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাই দেহের সাধারণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। ফলে আপনি সবসময় অবসাদগ্রস্ত থাকেন।
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর