Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১১, ১৭ মে ২০২১
আপডেট: ০৯:৪৭, ১৮ মে ২০২১

জেনে নিন কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

কিডনির সমস্যা যেকোনো বয়সের ব্যক্তির মধ্যেই হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কিডনি খারাপ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে কিডনি ড্যামেজ হলে শরীরে কোন কোন লক্ষণগুলো দেখা দেয়।

তাই কিডনি ড্যামেজের লক্ষণগুলো জেনে নেয়া ভালো। তাহলে প্রথম থেকেই চিকিত্সা করানো সহজ হবে আর কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।

পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া

হঠাৎ করে পায়ের পাতা এবং গোড়ালি ফুলে যাওয়া কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়, যার কারণে পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলে যেয়ে থাকে।

খাবারে অরুচি

বিভিন্ন কারণে খাবারে অরুচি হতে পারে। কিন্তু একটু ঘন ঘন খাবারে অরুচি হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়াকে অবহেলা করবেন না। শরীরে বিষাক্ত পদার্থ উৎপাদন হওয়ার কারণে এই ধরণের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

প্রস্রাবে সমস্যা

তুলনামূলকভাবে প্রস্রাব কম হওয়া কিডনি রোগের অন্যতম একটি লক্ষণ। শুধু তাই নয় রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগও কিডনি সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ করে। সাধারণত কিডনির ফিল্টার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।

প্রস্রাবে রক্ত

সুস্থ কিডনি সাধারণত শরীরের ভিতরে রক্তে থাকা বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রস্রাবের সাথে ব্লাড সেল বের হয়ে যায়। সাধারণত কিডনি পাথর, কিডনি ইনফেকশন হলে এই সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এছাড়া প্রস্রাবে অনেক বেশি ফেনা দেখা দিলে বুঝতে হবে যে, প্রস্রাবের সাথে প্রোটিন বের হয়ে যাচ্ছে। প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নামক প্রোটিনের উপস্থিতির জন্যই এমন হয়।

প্রস্রাবের সময় ব্যথা

প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া কিডনির সমস্যার আরেকটি লক্ষণ। মূলত প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া- এগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ। যখন এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর হয় এবং পিঠের পেছনে ব্যথা করে।

চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া

যখন কিডনি থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়, তখন চোখের চারপাশ ফুলে যায়। তাই এই সমস্যাকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

মাংসপেশিতে টান

আপনি হয়তো শুনে থাকবেন ইলেক্ট্রোলাইট উপাদানের ভারসাম্যহীনতার কারণে কিডনি সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই উপাদানটি কমে গেলে মাংসপেশী টান, খিঁচুনি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

ত্বকে র‍্যাশ এবং চুলকানি দেখা দেয়া

রক্তে মিনারেল এবং পুষ্টি উপাদান ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে ত্বকে র‍্যাশ এবং চুলকানি দেখা দিয়ে থাকে। মূলত কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে মিনারেল এবং পুষ্টি উপাদানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়ে থাকে।

অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব হওয়া, মনোযোগ কমে যাওয়া

কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে রক্তে দূষিত এবং বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয়। যার কারণে আপনি ক্লান্ত, দুর্বল অনুভব করেন। এমনকি কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। এই সময় রক্ত স্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে। দুর্বলতা অনুভব করার আরো একটি কারণ এটি।

ছোট ছোট শ্বাস

কিডনি রোগে ফুসফুসে তরল পদার্থ জমা হয়। এ ছাড়া  কিডনি রোগে শরীরে রক্তশূন্যতাও দেখা দেয়। এসব কারণে শ্বাসের সমস্যা হয়, তাই অনেকে ছোট ছোট করে শ্বাস নিন।

এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিডনি পরীক্ষা অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ একটি ছোট অবহেলা কেড়ে নিতে পারে আপনার জীবন।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়